শচীনের সাফল্য নিয়ে প্রশ্ন দ্রাবিড়ের!

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৩২ পিএম, ২২ ডিসেম্বর ২০১৭

ভারতীয় ক্রিকেটকে কোথায় নিয়ে গিয়েছেন শচীন টেন্ডুলকার এবং রাহুল দ্রাবিড়, তা ইতিহাসই বলবে। শুধু ভারত কেন, বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটিং স্তম্ভ ছিলেন এই দু’জন। শচীনকে বলা হয় রেকর্ডের বরপুত্র। তার ব্যাটে একের পর এক রেকর্ড ভেঙেছে শুধু। অন্যদিকে রাহুল দ্রাবিড়কে বলা হতো, ‘দ্য ওয়াল’। ধীর-স্থির ব্যাটিংয়ের জন্য এই নাম পেয়ে গিয়েছিলেন দ্রাবিড়।

সেই রাহুল দ্রাবিড়ই শচীনের সাফল্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বলেছেন, ‘শচীনের সাফল্যের চেয়ে ব্যর্থতাই বেশি।’ তবে , পুরো বিষয়টাই ইতিবাচক অর্থে। কোনো নেতিবাচক অর্থে নয়।

ব্যর্থতাকে আপনি কিভাবে দেখছেন, সেটাই আপনার সাফল্যের বড় ভিত। এমন মত দিতে গিয়েই নিজের ব্যর্থতার সঙ্গে শচীন টেন্ডুলকারের ক্যারিয়ারকেও টেনে আনলেন রাহুল দ্রাবিড়।

বেঙ্গালুরুর এক স্পোর্টস কনক্লেভের মঞ্চে বুধবার বক্তব্য দিতে ওঠেন ভারতীয় ব্যাটিংয়ের এক সময়ের বড় ভরসা, ‘দ্য ওয়াল’। টেস্ট এবং ওয়ানডে মিলিয়ে দ্রাবিড়ের মোট রান ২৪,১৭৭। মোট সেঞ্চুরি ৪৮টি; কিন্তু সাফল্যের চেয়েও যে তার ব্যর্থতা অনেক বেশি, সেটাই বোঝানোর চেষ্টা করেন তিনি।

দ্রাবিড় বলেন, ‘আমাদের সময় হাফ সেঞ্চুরিকে ন্যুনতম ভাল স্কোর বলে বিবেচনা করা হত। সব ফরম্যাটের ক্রিকেট মিলিয়ে আমি ভারতের হয়ে ৬০৪ বার ব্যাট করেছি। এর মধ্যে ৪১০ বারই ৫০ রানের গণ্ডি পেরোতে পারিনি। আমি যত না সাফল্য পেয়েছি, তার থেকে বেশি ব্যর্থ হয়েছি। সাফল্যের তুলনায় আমার ব্যর্থতাই বেশি।’

একই কথা শচীন টেন্ডুলকারের ক্ষেত্রেও প্রায় একইভাবে প্রযোজ্য বলে উল্লেখ করেন তিনি। দ্রাবিড় বলেন, ‘আমার সময়কার সেরা ব্যাটসম্যান শচীন টেন্ডুলকার। সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি করেছে সে; কিন্তু ভারতের হয়ে সব ফরম্যাটের ক্রিকেট মিলিয়ে ৭৮১ বারের মধ্য ৫১৭ বারই হাফ সেঞ্চুরি করতে পারেননি তিনি। ফলে শচীনেরও সাফল্যের তুলনায় ব্যর্থতাই বেশি।’

কেন এমন উদাহরণ টেনে আনলেন রাহুল? তার মতে, ভবিষ্যত প্রজন্মকে শিখতে হবে যে, ব্যর্থতাকেই সাফল্যের মূল ভিত্তি হিসেবে ধরে এগিয়ে যেতে হবে। ব্যর্থতার পথ ধরেই আসে সাফল্য।

আইএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।