সাকিবের টানা দুই না মাশরাফির চার?
জাতীয় দলের তিন ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব এখন সাকিব ও মাশরাফির কাঁধে। দুইজন প্রতিনিধিত্ব করেন বাংলাদেশের। তবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) পঞ্চম আসরে সাকিব নেতৃত্ব দিচ্ছেন ঢাকা ডায়নামাইটসের, মাশরাফি রংপুর রাইডার্সের। ফাইনালে আজ একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী। শিরোপার লড়াইয়ে সাকিবের টানা দুই না মাশরাফির চার হবে এখন সেটাই দেখার অপেক্ষায় লাখো-কোটি ক্রিকেটপ্রমী।
বিপিএলের গত চার আসরের টানা তিনবারই শিরোপা জিতেছে মাশরাফি বিন মর্তুজা। এর মধ্যে দুইবার ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের হয়ে। আরেকবার (২০১৫ সালে) মাশরাফি শিরোপা জিতেছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে। একই সঙ্গে এবার নিয়ে পাঁচ আসরের মধ্যে চারবারই ফাইনালে খেলছেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।
বিপিএলের গত চার আসরের শিরোপা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন মাশরাফি এবং সাকিব। যদিও অধিনায়ক হিসেবে শিরোপা জয়ের দিক থেকে মাশরাফি অনেক এগিয়ে। প্রথম দুই আসরে তার নেতৃত্বেই শিরোপা ঘরে তোলে ঢাকা গ্লাডিয়েটরস। প্রথমবার বরিশাল বার্নাস ও দ্বিতীয়বার চিটাগং কিংসকে হারায় মাশরাফির ঢাকা। ২০১৫ সালে তৃতীয় আসরে মাশরাফিকে দলে ভেড়ায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। পুরো আসরে দাপট দেখিয়ে ফাইনালে বরিশাল বুলসকে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তোলে তারা।
‘বিপিএলে শিরোপা জিততে চাও, মাশরাফিকে দলে ভেড়াও।’ বিষয়টা যেন এমন করেন টাইগারদের ওয়ানডে অধিনায়ক। তাই হয়তো খরা কাটাতে ম্যাশকে চলতি মৌসুমে দলে নেয় উত্তরবঙ্গের দলটি। হিসেবে যে বিন্দুমাত্র ভুল করেনি রংপুর টুর্নামেন্টের পরতে পরতে সেই প্রমাণ দিয়েছেন মাশরাফি। ব্যাটে বলে দারুণ নৈপুণ্যের পাশাপাশি দূরদর্শী অধিনায়কত্বে দলকে তুলেছেন ফাইনালে। ১২ ম্যাচে ৬ জয় নিয়ে কোনোভাবে শেষ চারে জায়গা পাওয়া রংপুরই এখন শিরোপার শক্ত দাবিদার!
তবে গত বছর মাশরাফির সম্রাজ্যে হানা দেন সাকিব। ঢাকা ডায়নামাইটস চ্যাম্পিয়ন হয় বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের নেতৃত্বে। চলতি বছরও কাইরোন পোলার্ড, সুনীল নারাইন, এভিন লুইস, শহিদ আফ্রিদিদের নিয়ে মাঠে দুর্দান্ত সাকিবের ঢাকা ডায়নামাইটস। গোটা আসরে দাপট দেখানো দলটি গ্রুপ পর্বের ১২ ম্যাচে ৭ জয়ের বিপরীতে হেরেছে মাত্র ৪টিতে। কোয়ালিফারে কুমিল্লার বিপক্ষে ৯৫ রানের বিশাল জয় নিয়ে ফাইনালে পা রেখেছে তারা।
সবদিক বিবেচনায় শক্তির খুব বেশি তারতম্য নেই দু'দলের। তাই ফাইনালের উত্তাপটাও একটু বেশি। এখন দেখা যাক ট্রফিটা কে উঁচিয়ে ধরেন, সাকিব না মাশরাফি।
এমআর/পিআর