দুইয়ে থাকার লক্ষ্য মোসাদ্দেকের
ইতোমধ্যেই শেষ চার নিশ্চিত হয়ে গেছে খুলনা টাইটান্স এবং ঢাকা ডায়নামাইটসের। ১১ ম্যাচ শেষে বিপিএলের পয়েন্ট টেবিলে ঢাকা আর খুলনার অবস্থান যথাক্রমে দ্বিতীয় এবং তৃতীয়। যদিও দু’দলের পয়েন্ট সমান, ১৩ করে। রান রেটের ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে ঢাকা। দু’দলেরই হাতে আছে একটি করে ম্যাচ।
হিসেব-নিকেশ বলছে, শীর্ষস্থান নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। এখন লড়াই দ্বিতীয় স্থানের। দ্বিতীয় স্থান নিশ্চিত করে শেষ চারে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে দু’দলের সামনেই। যেহেতু তারা পরস্পর মুখোমুখি হচ্ছে না, সেহেতু দু’দলেরই শেষ ম্যাচ জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। যদি তেমনই হয়, তাহলে স্থান নির্ধারণ হবে রান রেটের ভিত্তিতে। সুতরাং, শেষ ম্যাচে ঢাকা এবং খুলনার শুধু জয়ের লক্ষ্যই নয়, একই সঙ্গে রান রেট বাড়ানোর মিশনও কাজ করবে তাদের মধ্যে।
ঢাকা ডায়নামাইটস শেষ ম্যাচে মোকাবেলা করবে মাশরাফি বিন মর্তুজার দল রংপুর রাইডার্সের। আর খুলনা টাইটান্স আগামীকাল মাঠে নামবে শীর্ষে থাকা দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে। খুলনা যদি জেতে তাহলে তাদের দ্বিতীয় হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। সে ক্ষেত্রে ঢাকাকে হারতে হবে রংপুরের কাছে। আর যদি ঢাকা জিতে যায় রংপুরের বিপক্ষে, তাহলে তারাই হয়তো হবে দ্বিতীয়। অন্যদিকে খুলনা এবং ঢাকা দুই দলই যদি হেরে যায়, তাহলে রংপুরও হয়ে যেতে পারে দ্বিতীয়।
এ কারণেই বিপিএলে এখন সেরা চার দলের মধ্যে তিন দলেরই প্রধান লক্ষ্য দ্বিতীয় স্থানের লড়াই। ঢাকার অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও জানালেন, দ্বিতীয় স্থানেই থাকার লক্ষ্য তাদের। আজ (সোমবার) অনুশীলন করার আগে বিসিবি একাডেমি মাঠে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
দ্বিতীয় স্থানে থাকলে সরাসরি ফাইনাল খেলার সুযোগ বেশি থাকবে। এ কারণে সেদিকেই নজর ঢাকার। মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, ‘শেষ চার নিশ্চিত হয়েছে। এবার আমাদের লক্ষ্য রেসে এক বা দুইয়ে থাকা। যেহেতু এক নম্বরে যাওয়ার এখন আর সুযোগ নেই। দ্বিতীয় স্থানে যেতে পরের ম্যাচটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জিততে পারলে আমরা ন্যূনতম দুইয়ে থাকবো। দুইয়ে থাকলে আমাদের সুযোগ থাকবে বেশি। দুটা ম্যাচ খেলার সুযোগ থাকবে। তাই আমাদের মূল লক্ষ্যই এখন ওদিকে।’
ঢাকায় দেশিদের চেয়ে বিদেশিরা ভালো করছে- এটা নিয়ে খুব একটা হতাশ নন মোসাদ্দেক হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমরা যে ম্যাচগুলো জিতেছি তার বেশির ভাগেই বিদেশিরা খেলে দিয়েছে। তাই ওদের ওপরই বেশি আস্থাবান হয়ে উঠছি। ওরা যেদিন পারফর্ম করছে, সেদিন আমাদের রান অনেক বেশি হয়ে যাচ্ছে। আর ওরা যেদিন খেলতে পারছে না আমাদের নিচের দিকে ব্যাকআপটি তেমন পাচ্ছি না। সে জন্যই আমার মনে হয় শেষ কয়েকটি ম্যাচে আমরা হেরেছি।’
এমএএন/আইএইচএস/আরআইপি