ফিরলেন মোস্তাফিজ, জিতলো দল
বিপিএলে মোস্তাফিজের ভাগ্যটা খুবই খারাপ। ২০১৫ সালে নিজের প্রথম আসরে ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে খেলার পর গত বছর পুরোটাই বসে থাকতে হয়েছে মাঠের বাইরে। বল যেখানে নিত্যসঙ্গী হওয়ার কথা তার, সেখানে ইনজুরি হয়ে গেছে নিত্যসঙ্গী। একের পর এক ডাক্তারের ছুরি-কাঁচির নিচে যেতে হচ্ছে আর সপ্তাহের পর সপ্তাহ রিহ্যাব করতে হচ্ছে।
এবারও বিপিএলটা পুরোপুরি মিস হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল মোস্তাফিজের। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে অনুশীলনের সময় পায়ের গোড়ালিতে ব্যাথা পেয়েছিলেন তিনি। এরপর ৬ সপ্তাহের বিশ্রাম-পূনর্বাসন। অবশেষে সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরলেন কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান।
শঙ্কা ছিল, ফেরার দিন কেমন বোলিং করেন বাংলাদেশের এই পেস বিস্ময়! কুমিল্লার বিপক্ষে খেলা শুরু হওয়ার আগেই অবশ্য রাজশাহীর কোচ সারওয়ার ইমরান জাগো নিউজকে বলেছিলেন, ‘যে কোনো সময় স্বরূপে ফিরতে পারে মোস্তাফিজ।’ তবে, ভক্ত-সমর্থকদের খুব বেশি অপেক্ষায় রাখেননি তিনি। প্রথম ম্যাচেই আংশিক জ্বলে উঠেছেন কাটার মাস্টার। ৩.১ ওভার বল করে ৩২ রান দিলেও নিয়েছেন ২টি উইকেট।
মোস্তাফিজের ব্যাক্তিগত পারফরম্যান্স খুব আশা জাগানিয়া হয়তো নয়; কিন্তু তিনি দলে ফিরলেন, আর জয়ের ধারায়ও ফিরেছে তার দল। এর আগে খুলনা টাইটান্স এবং ঢাকা ডায়নামাইটসের কাছে টানা দুটি ম্যাচ হেরেছিল রাজশাহী। তার আগে সিলেটের বিপক্ষে একটি ম্যাচ জিতলেও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কাছে হারতে হয়েছিল মুশফিক এবং ড্যারেন স্যামির দলকে।
টানা দুই পরাজয়ের পর আজ রাজশাহী খেলতে নামে উড়তে থাকা কুমিল্লার সামনে। এমন ম্যাচে হারের শঙ্কাই ছিল বেশি। তবে, ড্যারেন স্যামির ক্ষণিকের ঝড় আর মোহাম্মদ স্যামির বিধ্বংসী বোলিংয়ে উড়ে গেল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। রাজশাহীর এমন অসাধারণ জয়ে কিছুটা হলেও অবদান রয়েছে মোস্তাফিজের। ২টি উইকেট তো নিয়েছেন তিনি।
সবচেয়ে বড় কথা জয়ের ফিনিশিং টাচটা এসেছে তার হাত ধরেই। ইনিংসের শেষ ওভারটা করার জন্য যে তার হাতেই বল তুলে দিয়েছিলেন স্যামি! প্রথম বলেই মেহেদী হাসানকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গেই জয় নিশ্চিত হয়ে যায় রাজশাহীর।
আইএইচএস/জেআইএম