আরিফুলের ব্যাটে খুলনার রুদ্ধশ্বাস জয়

ক্রীড়া প্রতিবেদক ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:০৬ এএম, ২১ নভেম্বর ২০১৭

ম্যাচটা একটা সময় মনে হচ্ছিলো হেরেই যাচ্ছে খুলনা টাইটান্স। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ আউট হবার পর দল গিয়ে দাঁড়ায় খাদের কিনারায়। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলে আরিফুল হকের সেই আগ্রাসী ব্যাটিং। আর খুলনা ৪ বল হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় ২ উইকেটের।

২০তম ওভারে যখন স্মিথ বল করতে আসেন তখন খুলনার দরকার ৬ বলে ৯ রান। পুরো মাঠে পিনপতন নীরবতা। ব্যাটসম্যান আরিফুল হক। স্মিথের প্রথম বলটিই ফুলটস। আর এমন বলকে লেগ সাইডে দিয়ে ছয়ে পরিণত করতে একটুকুও ভুল করেননি আরিফুল। সাথে সাথে উল্লাসে ফেটে পড়ে খুলনার সমর্থকরা।

এরপর খুলনার জয়ের জন্য দরকার ছিল ৩টি রান। কিন্তু আরিফুল উইকেট কিপারের পাশ দিয়ে বলটিকে পাঠিয়ে দিয়েই ছুটতে শুরু করেন খুলনার সাজঘরের দিকে। সেদিক থেকে ছুটে আসেন মাহমুদুল্লাহরা। কারণ বলটি যে চারে পরিণত হয়েছিল। রাজশাহীর ১৬৬ রানের জবাবে খুলনা করে ১৬৮ রান।

এর আগে খুলনার জয়ের মূল ভিত্তিটি গড়ে দিয়ে যান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তিনি খেলেন ৪৪ বলে ৫৬ রানের ইনিংস। যাতে ছিল ৮টি চার ও একটি ছয়ের মার। আর জয়ের মূল নায়ক আরিফুল হক করেন ১৯ বলে হার না মানা ৪৩ রান। যাতে ছিল ২টি ছয় ও চারটি চারের মার।

রাজশাহীর হয়ে মোহাম্মদ সামি নিয়েছে ৩টি উইকেট আর ফ্রাঙ্কলিন পেয়েছেন ২ উইকেট। আর একটি করে উইকেট নিয়ে সন্তুষ্ট ছিল মিরাজ, হোসেন আলি ও স্মিথ।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে বিপাকে পরলেও, পরে দলের হাল ধরে স্মিথ ও মুশফিকুর রহীম। দু'জনে মিলে গড়েন ৭৬ রানের জুটি। এই জুটির উপর ভর করেই ২০ ওভার শেষে রাজশাহীর সংগ্রহ দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ১৬৬ রান।

এমএএন/এমএমআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।