টসের পর জুমার নামাজে মুশফিক-নাসির-সাব্বিররা

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৮:৪৩ এএম, ১৭ নভেম্বর ২০১৭

পবিত্র জুমার নামাজের কারণে প্রতি শুক্রবার নির্ধারিত সময়ের আধ ঘন্টা পর বিপিএলের খেলা শুরুর ব্যবস্থা আগে থেকেই। গতবারও জুমারদিন (শুক্রবার) দুপুরের ম্যাচটি নির্ধারিত সময়ের ৩০ মিনিট পর শুরু হয়েছে। উদ্দেশ্য এক ও অভিন্ন যারা জুমার নামাজ পড়েন, তারা যাতে নামাজ পড়েও খেলা দেখতে আসতে পারেন বা টিভিতে দেখলেও প্রথম বল থেকে দেখা যায়।

এটা হলো খালি চোখের হিসেবে। এর বাইরেও কথা আছে। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের বড় বা মূল অংশই নামাজি। তারা এমনিতেই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন। সেই ক্রিকেটাররা দেশের বাইরে সফরে গিয়েও মসজিদে জুমার নামাজ পড়েন। মোট কথা ক্রিকেটাররাও যাতে জুমার নামাজ আদায় করে খেলায় অংশ নিতে পারেন, সেটাও শুক্রবার খেলা শুরুর অন্যতম উদ্দেশ্যে ছিল।

সে পরিকল্পনা যে অমূলক নয়। তার প্রমাণ মিললো আজও। এদিন শেরেবাংলায় টসের পর জুমার নামাজ পড়তে গেলেন মুশফিকুর রহীম, নাসির হোসেন, সাব্বির রহমান, মুমিনুল হক, তাইজুল ইসলাম ও নুরুল হাসান সোহানরা।

শেরেবাংলায় টসের পর বিসিবি একাডেমিতে জুমার নামাজ পরে তারপর মাঠে নামলেন রাজশাহী কিংসসিলেট সিক্সার্স ক্রিকেটারদের বড় র্অংশ। এমনিতে বিসিবি অফিসের নিচে মসজিদ আছে। সেখানে প্রত্যেক সপ্তাহে জুমার জামাত হয় বেশ কয়েক বছর ধরেই।

তবে গতবারও বিপিএলের ম্যাচ ডে‘তে এই জামাতের স্থান পাল্টে একাডেমিতে স্থানান্তর করা হয়েছিল। এবারো তাই হলো। আজ জামাত হলো একাডেমির ভিতরে ডাইনিংয়ের ঠিক বাইরের জায়গায়। অন্তত শ‘দুয়েক নামাজী নামাজ আদায় করলেন করলেন সেখানে।

ক্রিকেটাররা যাতে জুমার নামাজ আদায় করতে পারেন, সেদিকে লক্ষ্য রেখে নামাজ শুরুর সময়েও পরিবর্তন আনা হলো। এমনিতে বাংলাদেশের সর্বত্রই প্রায় শুক্রবার দুপুরে সোয়া একটা থেকে বেলা দেড়টায় জুমার জামাত হয়। কিন্তু ক্রিকেটারদের কথা চিন্তা করে বিসিবি একাডেমির জামাত ১০ মিনিট পিছিয়ে ১ টা ৪০ মিনিটে করা হলো।

কারণ দেড়টায় টস। টস করে সোজা অধিনায়ক এবং অন্যান্য্য ক্রিকেটাররা যাতে সরাসরি জামাতে শরিক হতে পারেন, সে কারণেই দেড়টার বদলে নামাজ শুরু হলো বেলা একটা ৪০ মিনিটে।

এআরবি/এমআর/আইআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।