আমি তো রোবট নই : কোহলি

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:১৭ পিএম, ১৫ নভেম্বর ২০১৭

টানা খেলার মধ্যে রয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ভারতের তিন ফরম্যাটেরই এখন অধিনায়ক তিনি। যে কারণে, সব ফরম্যাটেই প্রতিটি খেলায় অংশ নিতে হচ্ছে তাকে। সেই ২০১৬ সালের শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত।

ইএসপিএন ক্রিকইনফো হিসেব করে দেখিয়েছে, ২০১৬ সালের শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত বিশ্বের আর কোনো ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলির চেয়ে বেশি বল খেলেননি। কোহলি খেলেছেন মোট ৪৮০৩ বল। এছাড়া রবিচন্দ্র অশ্বিন এবং রবীন্দ্র জাদেজার চেয়ে বেশি বল করেনি আরে কোনো বল। অশ্বিন করেছেন ৭০৩২ এবং রবীন্দ্র জাদেজা করেছেন ৬৩৪৬টি বল।

বোঝাই যাচ্ছে, বিরাট কোহলি, রবিচন্দ্র অশ্বিন এবং রবীন্দ্র জাদেজাদের ওপর কতটা লোড যাচ্ছে, কতটা চাপে রয়েছেন তারা। এ কারণেই সম্ভবত, ভারতীয় দলটিতে এত বেশি রোটেশন নীতি প্রচলিত। বিশেষ করে তাদের বোলারদের ক্ষেত্রে।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কলকাতায় প্রথম টেস্টের আগেরদিন বিকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এ বিষয়ইটিই তুলে এনেছেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তিনি ব্যাখ্যা করে দেখিয়েছেন, কেন দলের কিছু কিছু খেলোয়াড় মাঝে-মধ্যে বিশ্রাম চান।

কোহলি বলেন, ‘ম্যাচ খেলেন ১১ জন খেলোয়াড়। তবে সবাই তো আর ওয়ানডেতে ৪৫ ওভার ব্যাট করতে পারে না, কিংবা টেস্টে ৩৫ ওভার বল করতে পারে না। যে সব ক্রিকেটার এ কাজটা নিয়মিতই করে যাচ্ছে, তাদেরকে মাঝে-মধ্যেই বিশ্রামের সুযোগ দেয়া উচিৎ। কারণ, তাদের শরীর তো আর রোবট নয় যে, বিশ্রাম ছাড়াও চলতে পারবে।’

এ সম্পর্কে কোহলি আরও বলেন, ‘মানুষ হয়তো দেখে কোনো কোনো ক্রিকেটার খেলেছেন ৪০ ম্যাচ। কিন্তু তারা তো দেখে না, ক্রিকেটাররা ক্রিজে কতটা সময় কাটিয়েছে, কিংবা কতবার উইকেটের মধ্যে তাকে দৌড়াতে হয়েছে। কিংবা কতটা ওভার ওই বোলারকে বল করতে হয়েছে। কখনও কখনও তো কঠিন কোনো কন্ডিশনও থাকে।’

কোহলিকে জিজ্ঞাসা করা হলো, তার বিশ্রাম প্রয়োজন কী না। জবাবে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আমার বিশ্রাম প্রয়োজন আছে। কেন নয়? যখন আমি মনে করবো, এ সময় আমার শরীরের বিশ্রাম প্রয়োজন, তখন তো বিশ্রাম নিতেই হবে। আমি তো রোবট নই। আপনি চাইলে আমার শরীর কেটে দেখতে পারেন, রক্ত বের হবে।’

আইএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।