বিপিএল ঘিরে চলছে ভয়ঙ্কর জুয়ার কারবার

ক্রীড়া প্রতিবেদক ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:০৩ পিএম, ০৭ নভেম্বর ২০১৭

বাড্ডার একটি ছোট্ট সেলুন। একটু পর পরই সেলুনের মালিক মোবাইলের কল রিসিভ করছেন। আবার কখনও বলছেন, চিটাগং দুই হাজার, কখনও বলছেন কুমিল্লা তিন হাজার। বুঝতে বাকী রইল না, বিপিএলের ম্যাচ ঘিরে চলছে জুয়ার তুমুল আয়োজন। এতো গেল শুধু বিপিএলে কোনো ম্যাচের জুয়ার হিসাব-নিকাশ। বিপিএলে ম্যাচ শুরু হলে প্রতি ওভারে, প্রতি বলে শুরু হয় জুয়ার আসর। স্থান, কাল এবং পাত্র ভেদে বল প্রতি ২ টাকার বাজিও ধরা হয়। আবার কোথাও এক লাখ টাকাও বাজি ধরা হয়।

বিপিএল নিয়ে যে ঢাকার অলিতে-গলিতে জুয়ার আসর বসে, বিষয়টা সামনে এসেছে বাড্ডায় বিপিএল জুয়া নিয়ে এক তরুনের নিহত হওয়ার পর। আগেও বিপিএলের জুয়া কেন্দ্র করে বেশ কয়েকবার সংঘর্ষ হয়েছে। এখনও সিলেট পর্বই শেষ হয়নি। বিপিএলে গতি-প্রকৃতিও এখনও বোঝা যায়নি। তার আগেই শুরু হয়ে গেলো খুনা-খুনি।

বিপিএলের উদ্বোধনী দিনের প্রথম ম্যাচেই কয়েকশত কোটি টাকার জুয়ার কারবার হয়েছিল বলে একটি অসমর্থিত সূত্র জাগো নিউজকে জানিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি বাজি ধরা হয়েছিল ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে। যেটা ছিল আসলেই অবাক করার মত!

জানা গেছে, মঙ্গলবারের আগ পর্যন্ত হওয়া চার ম্যাচে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার উপরে জুয়া খেলা হয়েছে শুধু ঢাকার বিভিন্ন বড় বড় হোটেল এবং রেস্তোরাগুলোতে। আর হিসেব ছাড়াই সারা দেশে চলছে জুয়া খেলা। পাড়ার চায়ের দোকান থেকে শুরু করে বড় বড় হোটেল-রেস্তোরা এমনকি ব্যক্তিগত পর্যায়েও চলছে বিপিএল নিয়ে জুয়ার এই ভয়ঙ্কর আসর।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জুয়াড়িরা সামনাসামনি না থেকে ব্যবহার করছেন মোবাইল ফোন এবং বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এসবের মাধ্যমেই তারা প্রতি ম্যাচ, বল, ওভার কিংবা ব্যাটসম্যানের রানের দর ঠিক করছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে গ্রুপ করে বল প্রতি জুয়া খেলা চলছে।

বিপিএলকে কেন্দ্র করে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় আলাদ করেই জুয়ার আসর বসানো হয়েছে। যা হঠাত দেখলে বোঝার উপায়ই নেই। দেখলে মনে হবে ছোট একটা চায়ের দোকান অথবা শুধুই খেলা দেখার ব্যবস্থা। আসলে সেখানেই চলছে অনিয়ন্ত্রিত ‘বিপিএল গেম্বলিং।’

এমএএন/আইএইচএস/আইআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।