শেষ ম্যাচে জয় চান সাকিব

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:০৯ এএম, ২৯ অক্টোবর ২০১৭

দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে আগের দুই সফরে কখনো জয় দেখতে পায়নি বাংলাদেশ। চলতি সফরেও টেস্ট ও ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশের পর প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হেরে গেছে টাইগাররা। এবারও সেই আগের শঙ্কায় পড়েছে বাংলাদেশ। তবে পচেফস্ট্রুমে আজ (রোববার) শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জয় দিয়ে দেশে ফিরতে চান সাকিব।

দক্ষিণ আফ্রিকা খেলতে গিয়ে রীতিমত বিপর্যস্ত বাংলাদেশ জাতীয় দল। টেস্টের পর ওয়ানডে সিরিজে শুধু হোয়াইটওয়াশই নয়, কোন প্রকার প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারেনি টাইগাররা। তবে সফরের শেষে টি-টোয়েন্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২০ রানে হারলেও কিছুটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পেরেছে বাংলাদেশ। এটাই শেষ ম্যাচে সাকিবকে দিচ্ছে জয়ের প্রেরণা।

এ নিয়ে সাকিব বলেন, ‘জয়ের বাইরে কোন ভাবনা নেই। অন্তত শেষ ম্যাচে এটাই তো আমাদের চাওয়া।’

সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ২০ রানে হারের পর ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে প্রশ্ন জাগে চারজন পেসার খেলানোর যৌক্তিকতা কী? যেখানে ব্যাটিং উইকেট। প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানরা পেসারদের ভালো খেলে, সেখানে কেন চার পেসার নিয়ে খেলার বিলাসিতা করতে হলো?

সাকিব বলেন, ‘আরেকটু ভালো হলেই প্রথম ম্যাচে জেতা সম্ভব ছিল। আমরা একটা বাড়তি বোলার নিয়ে খেলেছিলাম, পরিকল্পনা ছিল ওদের যদি ১৮০ রানের মধ্যে আটকে রাখতে পারি, আত্মবিশ্বাস ছিল তাড়া করতে পারব। উইকেটও সে রকমই ছিল। ফিল্ডিংয়েও কিছু ভুল হয়েছে। কিছু উন্নতির জায়গা আছে। সেগুলো করতে পারলে আরও একটা ভালো ম্যাচ হওয়া সম্ভব।’

ওয়ানডের পর প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হারের ময়নাতদন্তে উঠে এসেছে ডট বল দেওয়ার বিষয়টি। ৪৫টি ডট বল গেছে। অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা ‘ডট’ বল দিয়েছেন মাত্র ২২টি। সাকিবের লক্ষ্য পরের ম্যাচে ডট বল কম দেওয়ার, ‘সাধারণত ৩০-৪০টার ভেতর থাকে। পরের ম্যাচে যদি এর মধ্যে (৩০-৪০) রাখা যায়, তবে ভালো হয়। চেষ্টা থাকবে ডট বল কম দেওয়া, বিশেষ করে প্রথম ছয় ও মাঝামাঝি ওভারে।’

এদিকে শেষ ম্যাচে একাদশে পরিবর্তনের কথা জানিয়েছেন নাজমুল হাসান পাপন। তিনি বএন, ‘সামনে আরেকটা ম্যাচ আছে। সাকিব কিছু পরিবর্তনের পরামর্শ দিল। আমি বলেছি যেটা ভালো হয় করো।’

এমআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।