গায়ে পেট্রল ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা পাকিস্তানি ক্রিকেটারের

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:০৭ পিএম, ০১ অক্টোবর ২০১৭

একের পর এক উপেক্ষার শিকার হতে হতে মেজাজটাই খারাপ হয়ে গিয়েছিল গুলাম হায়দার আব্বাসের। লাহোরের ক্লাব এবং জোনাল পর্যায়ে দারুন বোলিং করার পরও শুধুমাত্র ভালো ব্যাকগ্রাউন্ডের না হওয়ার কারণে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সুযোগ দেয়া হয় না পেসার গুলাম হায়দারকে। যে কারণে রাগে, ক্ষোভে-দুঃখে লাহো সিটি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে একটি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ চলাকালীন গায়ে পেট্টল ঢেলে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়।

গুলাম হায়দারের অভিযোগ লাহোর ইস্ট জোনের নির্বাচকরা তার খেলার সুযোগকে ছিনিয়ে নিচ্ছে। ভালো করার পরও তারা বার বার তাকে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলা থেকে বঞ্চিত করছে।

গায়ে পেট্টল ঢেলে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা চালানোর সময় কিছু দর্শকের চোখে পড়ে যান গুলাম হায়দার। এরপর কর্মকর্তারাও তাকে দেখে ফেলেন। খেলা থামিয়ে সবাই তাকে নিভৃত করার চেষ্টা করেন। যার ফলে বেঁচে যায় গুলাম হায়দার এবং তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে তিনি বলেন লাহোর ইস্টা জোনের নির্বাচকরা তাকে বার বার সুযোগ দেয়ার কথা বলে সুযোগ দেয় না। বরং বারবার ভালো করা সত্ত্বেও তার সুযোগকে কেড়ে নেয়। তিনি বলেন, ‘আমি নিয়মিত ক্লাব এবং জোনাল পর্যায়ে ভালো পারফরম্যান্স করে আসছি। এরপরও তারা আমাকে উপেক্ষা করেই যাচ্ছেন। শুধুমাত্র আমি গরীব ঘরের ছেলে বলে।’

এরপর নির্বাচকদের প্রতি টাকা দাবির অভিযোগ তোলেন গুলাম হায়দার। তিনি বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত তারা আমার কাছে অর্থ দাবি করে। তারা আমাকে বলে, যদি লাহোর দলের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলতে চাই, তাহলে তাদেরকে অর্থ দিতে হবে। এ কারণে আজ প্রচণ্ড মেজাজ খারাপ করে আমি এখানে এসেছি নিজের জীবনকে বিলিয়ে দেবো বলে।’

গুলাম হায়দার আব্বাস আবারও আত্মহত্যার চেষ্টা চালাবেন বলে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, যদি আমাকে দলে না নেয়া হয়, তাহলে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের গেইটে দাঁড়িয়ে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেবো। তিনি বলেন, ‘যদি আমি মারা যাই, তাহলে ইস্টা জোনের কর্মকর্তা এবং লাহোর ক্রিকেট অ্যাকাডেমি এর জন্য দায়ী থাকবে।’

আইএইচএস/আইআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।