মোসাদ্দেকের সুস্থ হতে লাগবে তিন থেকে ছয় মাস!

ক্রীড়া প্রতিবেদক ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:০৩ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭

চোখে ভাইরাসজনিত সমস্যা নিয়ে বেশ কিছুদিন ভুগছেন জাতীয় দলের নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। বাংলাদেশ আই হসপিটাল এবং হারুন আই হসপিটালে চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। উন্নত চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন থাইল্যান্ডেও। তবে তার সুস্থ্য হতে এখনও তিন থেকে ছয় মাস লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী।

মোসাদ্দেকের সুস্থ্য হওয়ার ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে বিসিবির এই ডাক্তার বলেন, ‘মোসাদ্দেকের সুস্থ্য হতে তিন থেকে ছয় মাস লাগবে। আবার অন্য এক ডাক্তার বলেছেন এক বছরের কথা। তবে আমরা আশা করছি ৩ মাসেই সুস্থ্য হয়ে যাবে।’

সৈকতের চোখের অবস্থা ওঠা-নামা করছে বলেও মন্তব্য করেন দেবাশিষ। তার মতে, ‘সৈকত অনেকদিন ধরেই চোখের ভাইরাসে ভুগছে। এই রোগের চিকিৎসার জন্য দেশি-বিদেশি অনেক চোখের বিশেষজ্ঞ দেখানো হয়েছে। এখন পরিস্থিতি যা হয়েছে, ওর উন্নতিটা একটু ধীর গতিতে হচ্ছে। তাছাড়াও ওঠা-নামা করছে ওর চোখের অবস্থা। ৯০% ভাল হলে আবার ৭০% খারাপ হচ্ছে। তবে এখন ৭০ ভাগের মত ঠিক আছে।’

বিপিএলে মোসাদ্দেক খেলতে পারবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সামনের মাসের শুরুর দিকে চক্ষু বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটা বোর্ড গঠন করা হবে। তারা দেখবেন তার কি অবস্থা। ডাক্তার দেখলে বলা যাবে কত তাড়তাড়ি ও মাঠে ফিরতে পারবে। তারপরও বলা যাবে সে বিপিএল খেলতে পারবে কি না।’

তবে মোসাদ্দেকের সার্জারির এখনও প্রয়োজন নেই বলেই তিনি জানান। সার্জারী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের যে ডাক্তাররা তাকে দেখেছেন, তারা কেউই সার্জারির প্রয়োজন বোধ করছেন না। আর উন্নতিটা সামনের মাসের মধ্যে আরও বেশি হলে আশা করছি অপরেশনের দরকার হবে না।’

মোসাদ্দেকের অনুশীলনে ফেরার ব্যাপারের বিসিবির ডাক্তার বলেন, ‘ওর (মোসাদ্দেক) স্পোর্টস পার্টিসিপেশন বা জীমে কোন সমস্যা হবে না বলেছেন ডাক্তাররা। তবে ওর ভিশনটা পুরো ১০০ ভাগ আসেনি তাই ওরা (ডাক্তাররা) একধরনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন । যেহেতু ওর ভিশনটা ভাল না। তবে খেললে খুব বেশি সমস্যা হবে না বলে নিশ্চিত করেছেন।’

এমএএন/আইএইচএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।