কামিন্সের মতে চালকের আসনে অস্ট্রেলিয়া

ক্রীড়া প্রতিবেদক ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৩৫ পিএম, ২৯ আগস্ট ২০১৭

প্রথম দিনের খেলা শেষে সাকিব আল হাসান জোর গলায় বলতে পেরেছিলেন, চালকের আসনে আমরাই। দ্বিতীয় দিন মিরাজ সেটা মুখে উচ্চারণ না করলেও বুঝিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণে। তৃতীয় দিন সংবাদ সম্মেলনে এসে তামিম তেমন কিছুই বলতে পারলেন না। ইঙ্গিতও দিতে পারলেন না। উল্টো অসি বোলার প্যাট কামিন্স সংবাদ সম্মেলনে এসে জোর গলায় বলে গেলেন, ঢাকা টেস্টের চালকের আসনে এখন অস্ট্রেলিয়াই।

সকালে যখন তৃতীয় দিনের প্রথম বলটি করেন কামিন্স, সেটিকে সোজা চারে পরিণত করেন তামিম। মনে হচ্ছিল শরতের আজকের রৌদ্র ঝলমলে দিনটি বাংলাদেশেরেই হতে যাচ্ছে। প্রথম সেশন শেষে বিশ্বাসটা আরও জোরালো হচ্ছিল। যখন আর মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ৮৮ রান যোগ করলো বাংলাদেশ। ১১ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট খেলতে নেমে তাদেরকে প্রথমবার হারানোর স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছিল বাংলাদেশের কোটি ক্রিকেটপ্রেমী।

কিন্তু দ্বিতীয় সেশনেই সব লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। দুই অজী স্পিনার বাংলাদেশের স্বপ্ন অনেকটাই ভেঙ্গে দেন। বাংলাদেশের যেখানে লক্ষ্য ছিল, অস্ট্রেলিয়াকে অন্তত ৩০০ রানের ওপর টার্গেট বেধে দেবে। সেখানে দিতে পারলো মাত্র ২৬৫ রানের টার্গেট।

তবে অস্ট্রেলিয়ান ইনিংসের শুরুতে বোলিংয়ে নেমে আশার আলো জাগিয়েছিল সাকিব-মিরাজ। তারা দু’জনে ফেরান অসি দুই ব্যাটসম্যান রেনশ এবং উসমান খাজাকে; কিন্তু এরপর সময়টা কেবলই স্মিথ আর ওয়ার্নারের। অবশ্য দু’জনই পেয়েছেন দু’টো করে জীবন। তারপর তারাই এখন নিয়ন্ত্রণ করছেন ঢাকা টেস্ট। জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন আর মাত্র ১৫৬ রান। হাতে ৮ উইকেট এবং পুরোপুরি দুটি দিন। ওয়ার্নার ৭৫ এবং স্মিথ উইকেটে রয়েছেন ২৫ রানে।

দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে নিজেদেরকেই চালকের আসনে বলে দাবি করলেন অস্ট্রেলিয়ান পেসার প্যাট কামিন্স। তার মতে, ‘আমরা এখন দারুণ অবস্থানে আছি। লক্ষ্য ২৬৫ রানে আটকে রাখতে পারা ছিল দারুণ ব্যাপার। এরপর যেভাবে আজকের দিনটি শেষ হলো, কাল একটি ঘণ্টা ভালো কাটাতে পারলেই কাজ হয়ে যাবে।’

শেষ সময়ে স্মিথ-ওয়ার্নারের অসাধারণ ব্যাটিং দলের সবাইকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে বলেও জানান এই পেসার। তার মতে, ‘আজ দিনের শেষ ঘণ্টা আমাদের দারুণ আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। আমি সত্যিই আত্মবিশ্বাসী। ডেভি ও স্মিথকে মনে হয়েছে দারুণ পরিকল্পনা নিয়ে ব্যাট করছে। সবকিছু তাদের নিয়ন্ত্রণে। সবকিছু তাই দারুণ সম্ভাবনাময়। মাত্র ১৫০ (মূলতঃ ১৫৬) রান দুরে আমরা।’

খেলার বর্তমান অবস্থা থেকে কামিন্সের দাবি মোটেও অগ্রাহ্য করা যাচ্ছে না। তবে রঙ বদলের খেলা ক্রিকেটে যে কোন কিছুই ঘটতে পারে। যার প্রমাণ পাওয়া গেছে আজ বাংলাদেশের ইনিংসেও। আর এই উইকেট তার আচরণ বারবার পরিবর্তন করছে। ফলে কি হবে তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে কাল পর্যন্ত।

এমএএন/আইএইচএস/আইআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।