সাকিব-মিরাজে লিড নিল বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৪৮ এএম, ২৮ আগস্ট ২০১৭

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ২৬০ রান। এই রান নিয়েও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লিড নেয়া সম্ভব? স্টিভেন স্মিথের দলের ব্যাটিং লাইন-আপের সামনে এটা অসম্ভবই মনে হতে পারে অনেকের কাছে। কিন্তু তাদের ধারণা ভুল প্রমাণ করলেন সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজরা।

স্পিন ঘূর্ণিতে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানদের কুপোকাত করেছেন বাংলাদেশের স্পিনাররা। প্রথম ইনিংসে তাই অস্ট্রেলিয়ার দৌড় থেমে যায় ২১৭ রানে। তাতে প্রথম ইনিংসে ৪৩ রানের লিড পেয়েছে বাংলাদেশ। এগিয়ে থেকেই তাই দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামবে মুশফিকুর রহীমের দল।

৩ উইকেটে ১৮ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। দিনের শুরুতেই সবচেয়ে বড় বাধা স্মিথকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান মিরাজ। এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে বলে ব্যাটই ছোঁয়াতে পারেননি আইসিসি টেস্ট র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষ এই ব্যাটসম্যান। আউট হওয়ার আগে স্মিথের ব্যাট থেকে আসে ৮ রান।

স্মিথকে ফিরিয়ে লিডের স্বপ্ন দেখা বাংলাদেশের সামনে প্রতিরোধ গড়েন ম্যাট রেনশ ও পিটার হ্যান্ডসকম্ব। দুজনে মিলে গড়েন ৬৯ রানের জুটি। অবশেষে সেই জুটি ভাঙেন তাইজুল। ৩৩ রান করা হ্যান্ডসকম্বকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে সাজঘরে ফেরান বাঁহাতি এই স্পিনার।

হ্যান্ডসকম্বের বিদায়ের পর খুব বেশি সময় উইকেটে থাকতে পারলেন না রেনশ। সাকিবের বলে সৌম্যকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে গেছেন এক প্রান্ত আগলে রেখে খেলতে থাকা অজি ওপেনার রেনশ। আর তার বিদায়ে লিডের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে বাংলাদেশ। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৪৫ রান।

এরপর অস্ট্রেলিয়ার ত্রাতা হয়ে দেখা দিয়েছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল! তবে সাকিব তাকে বেশি দূর এগোতে দেননি। থামিয়েছেন ২৩ রানেই। ম্যাক্সওয়েলকে মুশফিকুর রহীমের তালুবন্দি করান সাকিব। অস্ট্রেলিয়ার উইকেটরক্ষক ম্যাথু ওয়েড করেন ৫ রান।

১৪৪ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। অসিদের ব্যাটিং বিপর্যয়ে হাল ধরেন প্যাট কামিন্স ও অ্যাস্টন আগার। নবম উইকেটে অ্যাস্টন আগারের সঙ্গে ৪৯ রানের জুটি গড়েন তিনি। তবে এই জুটি ভেঙে যেত অনেক আগেই। যদি শফিউল ইসলাম প্যাট কামিন্সের ক্যাচটা নিতে পারতেন। ক্যাচ মিসের খেসারত দিতে হয়েছে বাংলাদেশকে।

ব্যক্তিগত রান সংখ্যা দুই অঙ্কের ঘরে যাওয়ার আগেই সাকিব আল হাসানের বল উড়িয়ে মারেন কামিন্স। শফিউল ক্যাচটি লুফে নিতে পারেননি। সেই সাকিবই অবশ্য কামিন্সকে ফেরালেন সাজঘরে। দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে কামিন্সকে বোল্ড আউট করেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।

বিদায়ের আগে ৯০ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ২৫ রান করেছেন কামিন্স। নবম উইকেটে অ্যাস্টন আগারের সঙ্গে ৪৯ রানের জুটি গড়েন তিনি। অ্যাস্টন আগার হার মানেননি। অপরাজিত ছিলেন ৪১ রানে। অস্ট্রেলিয়ার শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন জস হ্যাজলউড। তাকে ফিরিয়ে টেস্টে ১৬ বারের মতো ৫ উইকেট দখলে নেন সাকিব।

বাংলাদেশের সেরা বোলার সাকিবই। ২৫.৫ ওভারে ৭টি মেডেনসহ ৬৮ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন তিনি। মেহেদী হাসান মিরাজ নিয়েছেন তিনটি। আর একটি উইকেট ঝুলিতে জমা করেছেন তাইজুল ইসলাম।

এনইউ/আরআইপি/আইআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।