অনিকের ক্যাচ মিসে এইচপির জয়

ক্রীড়া প্রতিবেদক ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:২১ এএম, ১০ আগস্ট ২০১৭

জয়ের জন্য এইচপির দরকার ছিল ৬ বলে ৭ রান। বল করতে আসেন রবিউল। প্রথম বলেই চার মেরে এইচপিকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে উইকেটে থাকা নিহাদুজ্জামান। এরপর দুটি বল ডট। রবিউলের পরের বলটি উইকেটরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে সোজা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ফিল্ডার কাজী অনিকের হাতে পাঠিয়ে দেন নিহাদুজ্জামান। এইচপি হারের শঙ্কায় আর অনূর্ধ্ব-১৯ এর উচ্ছ্বাস। কিন্তু দুই সেকেন্ডের মধ্যেই পরিস্থিতি ঘুরে গেল। নিহাদুজ্জামানের ক্যাচটি তালুবন্ধি করতে পারলেন না অনিক। আর এতেই শেষ হাসি হাসল এইচপি।

এর আগে গতকাল (বুধবার) টস জিতে ব্যাটিং এর সিদ্ধান্ত নেয় যুবারা। ব্যাটিং নেমেই বিপর্যয়ে পড়ে অনূর্ধ্ব-১৯ দল। ৬৬ রান তুলতেই তাদের পাঁচ উইকেট নেই। দলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলান অধিনায়ক সাইফ (৮৯) ও উইকেট রক্ষক অঙ্কন (৫৭)। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের রানের চাকা গিয়ে থামে ২০৯ রানে। তবে স্লো বোলিং এর জন্য এইচপিকে ৩০ রান জরিমানা করা হয়। ফলে তাদের টার্গেট দাড়ায় ২৪০। এইচপির হয়ে এবাদত ৫ ওভার বল করে ৩০ রান দিয়ে ৪ টি উইকেট তুলে নেন।

গতকাল (বুধবার) এইচপি ব্যাটিংয়ে নামলে বারবার বৃষ্টির কারণে খেলা স্থগিত করা হয়। আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে খেলা শুরু হলেও নিয়মিত বিরতিতে উইকেট যেতে থাকে এইচপির। শেষ দিকে এসে খেলা পুরো জমে ওঠে। ১২ বলে ১২ রানের দরকার এইচপির। ক্রিজে তখন শেষ উইকেট জুটি নিহাদুজ্জামান ও মেহেদি হাসান। ম্যাচ তখন দু'দলের ভাগ্যেই দুলছিল। ৯ বলে যখন ১১ রান দরকার তখন নিহাদুজ্জামান চার মেরে জয় নাগালে নিয়ে আসেন আর শেষ সময় অনিক শেষ সময় ক্যাচ ছেড়ে এইচপির হাতে অনেকটা জয়ই তুলে দেন। শেষ বলে জয়ের জন্য যখন ১ রান দরকার ছিল তখন রবিউলের বলে ৬ মেরে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান মেহেদি। ফলে এক উইকেটের জয় নিয়ে ম্যাচ ছাড়ে এইচপি।

এইচপির হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ করেছেন জাকির হাসান (৫৮)। আর মেহেদি ২৭ রানে অপরাজিত ছিল। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে রবিউল হক ৩৮ রান দিয়ে দুটি উইকেট পান। উল্লেখ্য, ম্যাচটি ছিল দুই দলের অনুশীলনেরই একটি অংশ।

এমএএন/এমআর/আইআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।