ধাওয়ান-পুজারার সেঞ্চুরিতে প্রথম দিনটা ভারতের

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৫৩ পিএম, ২৬ জুলাই ২০১৭

দীর্ঘদিন টেস্ট খেলতে না পারার আক্ষেপটা রেকর্ড গড়েই দূর করলেন শেখর ধাওয়ান। পরের সময়টায় সহজাত ভঙ্গিমায় লঙ্কান বোলারদের ওপর ছড়ি ঘোরালেন চেতেশ্বর পুজারা। ধাওয়ানের বিধ্বংসী আর পুজারার ধৈর্যের প্রতিমূর্তি হয়ে উঠা দুই সেঞ্চুরি ইনিংসে ভর করে গল টেস্টের প্রথম দিনেই নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করে ফেলেছে ভারত। লঙ্কান বোলারদের দুঃসহ সময় উপহার দিয়ে দিন শেষে সফরকারীরা তুলেছে ৩ উইকেটে ৩৯৯ রান।

অথচ দিনের শুরুটা কিন্তু মোটেই ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিল না টস জিতে ব্যাট করতে নামা ভারতকে। আরও একবার ওপেনিংয়ে সুযোগ পেয়ে আস্থার প্রতিদান দিতে ব্যর্থ হয়েছেন অভিনব মুকুন্দ। দলীয় ২৭ রানের মাথায় ১২ রান করে নুয়ান প্রদীপের শিকার হয়েছেন এই বাঁহাতি।

তবে শুরুর সেই ধাক্কাটা দারুণভাবে সামলে উঠেছেন ধাওয়ান-পুজারা। দ্বিতীয় উইকেটে এই যুগলের ২৫৩ রানের জুটিটিই দিনের নিয়ন্ত্রণ তুলে দিয়েছে ভারতের হাতে। টানা দুই সেশন ঘাম ঝরানোর পর চা-বিরতির ঠিক আগের ওভারে স্বস্তি ফিরেছে লঙ্কান শিবিরে।

ডাবল সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যেতে থাকা ধাওয়ানকে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের ক্যাচ বানিয়েছেন সেই প্রদীপ। ততক্ষণে অবশ্য দ্বিতীয় সেশনে ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ রান তোলার রেকর্ডটি নিজের করে নিয়েছেন এই ওপেনার, ভেঙে দিয়েছেন পলি উমরিগরের ৫৫ বছরের পুরনো রেকর্ড। ১৬৮ বল মোকাবেলায় গড়া তার ১৯০ রানের চোখ ধাঁধানো ইনিংসটি ছিল ৩১ বাউন্ডারিতে সাজানো।

চা বিরতির ঠিক আগের ওভারে ধাওয়ান সাজঘরে, বিরতির পরপরই সফরকারী অধিনায়ক বিরাট কোহলিকেও মাত্র ৩ রানে আউট করে দিয়ে লঙ্কানদের মুখে হাসি ফুটিয়েছিলেন দিনভর দারুণ বোলিং করা প্রদীপ।

তবে পুজারার ধৈর্যের দেয়ালে আর ফাটল ধরাতে পারেননি লঙ্কান বোলাররা। চতুর্থ উইকেটে আজিঙ্কা রাহানের সঙ্গে ১১৩ রানের জুটিতে অবিচ্ছিন্ন আছেন ভারতের বিশেষজ্ঞ এই টেস্ট ব্যাটসম্যান। ২৪৭ বলে ১২ বাউন্ডারিতে ১৪৪ রান নিয়ে ব্যাট করছেন তিনি। সঙ্গে ৩৯ রান নিয়ে আছেন রাহানে।

লঙ্কানদের পক্ষে দিনের সবচেয়ে সফল বোলার প্রদীপ; ৬৪ রানে নিয়েছেন ৩টি উইকেট।

এনইউ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।