প্রতিটি দিনই চ্যালেঞ্জিং : মাহমুদউল্লাহ

ক্রীড়া প্রতিবেদক ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:১৩ পিএম, ২৫ জুলাই ২০১৭

সাফল্য যত আসবে চ্যালেঞ্জও তত বাড়বে। নিজেদের অবস্থান ধরে রাখার সঙ্গে প্রতিনিয়ত উন্নতি করার একটা চ্যালেঞ্জ তো আপনাতেই তৈরি হয়। এ বিষয়টাই মর্মে ধারণ করেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের কথায় সেটাই প্রমাণ। ক্যারিয়ারের ১০ বছর পূর্তির দিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ শোনালেন সেই চ্যালেঞ্জের কথা।

বিসিবির সাংবাদিক লাউঞ্জে বসার পরই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, তার ইনজুরির অবস্থার কথা। তিনি জানালেন, ধীরে ধীরে কোমরের ব্যথা কমে আসছে। মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘আজ ফিজিও দেখলেন, পরীক্ষা করলেন। আশা করি কাল থেকে সাইক্লিং শুরু করবো। গত দুদিনের অবস্থা ভালো।’

অনেক কথার ভিড়েই মাহমুদউল্লাহর কাছে জানতে চাওয়া হয়, বাংলাদেশ বিশ্বকাপ জিততে পারবে কি না। মাহমুদউল্লাহ খুবই বাস্তববাদী। তিনি জানিয়ে দিলেন এটা এখনই সম্ভব না। সময়ের ব্যাপার। মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘এটা অনেক সময়ের ব্যাপার। আমি যেটা আমি মনে করি, ২০১৮ সালটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই বছর আমাদেরকে ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের আগে আমাদের আত্মবিশ্বাস দিবে। সুতরাং বিশ্বকাপের আগের বছরটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

১০টি বছর পার করে ফেলেছেন ক্যারিয়ারের। এত দীর্ঘ সময় পার করে ফেলার পর ক্রিকেটার হিসেবে নিজেকে কিভাবে মূল্যায়ন করবেন? জবাবে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘প্রতিটি দিনই চ্যালেঞ্জিং। কখনোই স্ট্যাবল হতে পারবেন না। যতো দিন যাবে, আপনাকে নিয়ে প্রতিটি দল ততোই ওয়ার্কআউট করবে। আমি মানসিকভাবে এখন অনেক গোছালো। এটা তাই বুঝতে পারি যে, আমার কোথায় শক্তি আছে। এগুলো নিয়ে সব সময় কাজ করি। প্রতিনিয়তই কাজ করতে হবে। আমি জানি কষ্টের কোনো বিকল্প নেই। এটা ধরে রাখাই জরুরি।’

১০ বছর জাতীয় দলের জার্সি গায়ে খেলছেন। মাহমুদউল্লাহর এটাই বড় পাওনা। তিনি বলেন, ‘এখনো বাংলাদেশের জার্সি গায়ে খেলছি। ১০ বছরে যে অভিজ্ঞতা অর্জিত হয়েছে, সেটা জাতীয় দলে কাজে লাগানোটাই বড় ব্যাপার। এটাই আমার বড় পাওয়া।’

আইএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।