বাংলাদেশকে র্যাংকিংয়ে তিন-চারে দেখতে চান মাহমুদউল্লাহ
দশ বছর আগে যখন জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক হয়েছিল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের, তখন বাংলাদেশের অবস্থান ছিল আইসিসি র্যাংকিংয়ে ১০ নম্বরে। জিম্বাবুয়ে নয়, তখন বাংলাদেশের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ছিল কেনিয়া। সেই অবস্থা থেকে মাহমুদউল্লাহদের হাত ধরে বাংলাদেশ এখন অবস্থান করছে আইসিসি র্যাংকিংয়ে সাত নম্বরে। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরুর ঠিক আগ মুহূর্তে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি চলাকালীনও বাংলাদেশ বেশ কিছুদিন ছিল ছয় নম্বরে।
১০ বছরের ক্যারিয়ার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ অনেক ওঠা-নামাই দেখেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটে। ২০১৫ সাল থেকে দেখছেন ধারাবাহিক সাফল্যের দেখা। এই সাফল্যে তার নিজের অবদানও কম নয়। ক্যারিয়ারের ১০ বছর কাটিয়ে দিলেও আরও কয়েক বছর খেলার ইচ্ছা এবং সম্ভাবনা দুই’ই রয়েছে তার।
সে কারণেই ক্যারিয়ারের একেবারে শেষ প্রান্তে যখন তিনি দাঁড়াবেন, তখন বাংলাদেশকে র্যাংকিংয়ের ৩ কিংবা অন্তত ৪ নম্বরে রেখে যেতে চান।
১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে কোমরের ব্যথা নিয়েও আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সেখানেই তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল ক্যারিয়ারে তার কোনো অপূর্ণতা আছে কি না।
এ প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়েই বাংলাদেশকে তিন কিংবা চারে দেখার স্বপ্নের কথা জানান মাহমুদউল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ… আসলে যতো বছর ধরে খেলছি তাতে তো অনেক উত্থান-পতন আছে। অপূর্ণতার কথা বললে অনেক কিছুই বলা যায়। এখন আমরা যেভাবে পারফর্ম করছি, এটা আরো কয়েক বছর করতে পারাটাই বড়। আমরা যখন শুরু করি, তখন ১০ নম্বরে ছিলাম। এখন চাই টপ ফোর কিংবা থ্রিতে থাকতে।’
বাংলাদেশ দলে কোন জায়গায় থাকার স্বপ্ন আছে কি না? জানতে চাইলে রিয়াদ বলেন, ‘এখন খেলোয়াড় হিসেবে আছি। সেটা নিয়েই চিন্তা করছি। যেভাবে দলকে সেবা দেয়া যায়, সেটা নিয়েই চিন্তা। ভবিষ্যতে কী হবে, সেটা সময়ই বলে দেবে।’
ক্যারিয়ার শেষ হওয়ার আগে নিজেকে কোথায় দেখতে চান? ‘এভাবে চিন্তা করি না। আমি আসলে গোল (লক্ষ্য) সেট করতে পছন্দ করি না। ছোট ছোট স্টেপ নিয়ে এগোতে পছন্দ করি। ম্যাচ বাই ম্যাচ এগোতে চাই।’
বিশ্বকাপে ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি, নাকি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেঞ্চুরি; কোনটা আপনার কাছে স্মরণীয়? ‘সবগুলোই স্মরণীয়। আমার মনে হয় বাংলাদেশ দলের হয়ে যখন যেখানে যেভাবে অবদান রাখি না কেনো, সবই সমানভাবে স্মরণীয়।’
ক্রিকেট ছেড়ে দিলে জীবন কেমন হবে, সেটা নিয়ে ভাবেন? ‘আসলে ওইভাবে চিন্তা করিনি এখনো। আমার মনে হয় ফিটনেসটা গুরুত্বপূর্ণ। ইচ্ছা আছে, নিজেকে ফিট রাখার; ফিজিক্যালি এবং মানসিকভাবে। নানারকম বাধা থাকবে তা কাটিয়ে ওঠা জরুরি।’
দলে তো অফস্পিনিং অলরাউন্ডার কয়েকজন হয়ে গেছে। মোসাদ্দেক হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ কিংবা নাসির হোসেন। সঙ্গে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ নিজে তো আছেনই। সবার মধ্যে প্রতিযোগিতা রয়েছে। এটাকে কিভাবে দেখছেন? জানতে চাইলে রিয়াদ বলেন, ‘এটা দলের জন্য খুবই ইতিবাচক দিন। আমাদের দলকে উন্নত করতে এ ধরনের প্রতিযোগিতা জরুরি। এটা সব সময়ই ভালো। এটা যতো বাড়বে, ততো দলের ভালো হবে।’
আইএইচএস/এমএস