‘অধিনায়ক’ চান্দিমালের রাজকীয় অভিষেক
এমন অভিষেক কে না চায়! অভিষেকটা যদি হয় ঐতিহাসিক জয় দিয়েই। হ্যাঁ, ভাগ্যবান সেই অধিনায়কের নাম দিনেশ চান্দিমাল। কলম্বো টেস্টে দল ছিল খাদের কিনারে। জিততে হলে রেকর্ড গড়েই জিততে হতো। কারণ এশিয়ার মাটিতে ৩৮৮ রান তাড়া করে কোনো দল জিততে পারেনি। এর আগে ২০০৮ সালে ইংল্যান্ডের ছুড়ে দেওয়া ৩৮৭ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করে জিতেছিল ভারত।
অনেকে তো কলম্বো টেস্টে শ্রীলঙ্কার হারই দেখেছিলেন! তাদের ধারণা ভুল প্রমাণ করলেন লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা। বিশেষ করে ‘নির্ভিক’ আসেলা গুনারত্নে ও নিরোশান ডিকভেলার ব্যাটিং নৈপুণ্যে। মূলত ষষ্ঠ উইকেটে এই দুই ব্যাটসম্যানের ১২১ রানের জুটিই লঙ্কানদের এনে দিয়েছে এতিহাসিক জয়।
এরপর সপ্তম উইকেটে দিলরুয়ান পেরেরাকে নিয়ে ৬৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে লঙ্কানদের অবিস্মরণীয় জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন গুনারত্নে। কলম্বো টেস্টে লঙ্কানদের ঐতিহাসিক জয়টা ৪ উইকেটের।
দ্বিতীয় ইনিংসে লঙ্কানদের পক্ষে নিরোশান ডিকভেলা সর্বোচ্চ ৮১ রান করেছেন। গুনারত্নে অপরাজিত ছিলেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮০ রানে। কুশল মেন্ডিসের ব্যাট থেকে এসেছে ৬৬। ওপেনার করুনারত্নে থেমেছেন ৪৯ রানে। লঙ্কানদের পক্ষে আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান দিলরুয়ান পেরেরা (২৯)। অধিনায়ক চান্দিমাল নামের পাশে যোগ করতে পেরেছেন ১৫ রান।
জিম্বাবুয়ের কাছে ওয়ানডে সিরিজে ৩-২ ব্যবধানে হেরে যাওয়ার পর অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়ান অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ। টেস্টে তার স্থলাভিষিক্ত হন দিনেশ চান্দিমাল। টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে তার প্রথম মিশন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে। মিশনে শতভাগ সফল! ‘অধিনায়ক’ চান্দিমালের রাজকীয় অভিষেকই হলো।
এনইউ/পিআর