‘সাকিব ৭৫ রেস্টুরেন্টের’ উদ্বোধন হলো সাকিবকে ছাড়াই

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৪:১৩ পিএম, ১১ জুলাই ২০১৭

আগেই জানা, ক্রিকেট প্র্যাকটিস বলতে যা বোঝায়, তা শুরু হবে ২৮ জুলাই। তার আগের দুই সপ্তাহ চলবে শারীরিক প্রস্তুতি। সে কারণেই এখন আর নেট প্র্যাকটিস নেই। ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং কিছুই হচ্ছে না। ক্রিকেটারদের বড় সময় কাটছে জিমনেশিয়ামে। এছাড়া বাইরে রানিং, স্ট্রেচিংসহ নানা ফিজিক্যাল এক্সারসাইজে ব্যস্ত মাশরাফি, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহরা।

শারীরিক প্রস্তুতি পর্ব আরও সূচারু ও সুবিন্যস্ত করতে যোগ হয়েছে ফুটবল ম্যাচ। প্রতিদিন অন্তত এক ঘণ্টা করে ফুটবল খেলছেন ক্রিকেটাররা। আজও ফিজিক্যাল ট্রেনিংয়ের বড় অংশ জুড়ে থাকল ফুটবল ম্যাচ। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১ টায় শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে শুরু হলো ফুটবল খেলা। চলল বেলা একটা পর্যন্ত। বেলা ১২ টা নাগাদ শুরু হলো বৃষ্টি। মুষলধারে বৃষ্টিতেই ফুটবল খেলে কাকভেজা সবাই।

ম্যাচ শেষে সবাই দল বেঁধে ছুটে গেলেন শেরেবাংলায় টিম বাংলাদেশের ড্রেসিং রুমে। গোসল সেরে সবাই দ্রুত পোশাক পাল্টে নিলেন। ভাববেন না নিজ নিজ গন্তব্যে যাওয়ার জন্যই বুঝি পোশাক পাল্টে নেয়া। আসলে উদ্দেশ্য ভিন্ন। এক সাথে অনেকগুলো প্রাইভেট কার চললো মিরপুর মাজার রোডের উদ্দেশে।

shakib

উদ্দেশ্য- সাকিব আল হাসান ও ইমরুল কায়েসের নতুন রেস্টুরেন্ট ‘সাকিব ৭৫ রেস্টুরেন্ট ও কনভেনশন সেন্টারের’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া। ঘড়ির কাটা দুপুর দুইটা ছোঁয়ার আগেই মাশরাফি বিন মর্তুজা, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহীমসহ জাতীয় দলের ফিজিক্যাল ট্রেনিংয়ে অংশ নেয়া ২২ ক্রিকেটারের (তামিম ও হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের হয়ে অস্ট্রেলিয়া সফরে থাকা লিটন দাস, এনামুল হক বিজয়, আবুল হাসান রাজু, তানবির হায়দার ও সাইফউদ্দীন এবং চোয়ালে অপারেশন হওয়া রুবেল হোসেন ছাড়া) ২১ জনের সরব উপস্থিতি মিরপুর হযরত শাহ আলী ( রঃ) মাজার রোডে অবস্থিত মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের চার তলায়। সেখানেই আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলো সাকিব-ইমরুলের নতুন রেস্টুরেন্ট ও কনভেনশন হলের।

তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য খবর হলো, অন্যতম স্বত্বাধিকারী সাকিব নিজেই ওই উদ্বোধনী পর্বে অনুপস্থিত। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের সবাই হৈচৈ করে খাবার খেলেন। তারপর মাশরাফি বিন মুর্তজা ও মুশফিকুর রহীম কেক কেটে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন এ থাই, ভারতীয় ও বাংলাদেশী রেস্তোরাঁর। মাশরাফি-মুশফিক এ রেস্টুরেন্টের সাফল্য কামনা করলেন।

বিকেলে মাশরাফি, মাহমুদউল্লাহ, সৌম্য, নাসিরই একটু বেশি সময় ছিলেন। বাকিরা একটু আগেই চলে গেলেন। বিকেল চারটায় পুরো উদ্বোধনী পর্ব শেষ হলো। তখনো সাকিব আসেননি। টেলিফোনে বার দুয়েক কথা বললেন পার্টনার ইমরুল কায়েসের সাথে।

সবার জন্য খবর, এটা সাকিব ডায়িং নয়। বনানীর ওই রেস্টুরেন্ট ছিল অভিজাত। খাবার মূল্যও ছিল আকাশছোঁয়া। অন্যতম পার্টনার ইমরুল কায়েস জানালেন, এ রেস্টুরেন্টে খাবারের মূল্য আকাশছোঁয়া নয়। যাতে সব শ্রেণির পেশার মানুষ এখানে খেতে পারে, সে চিন্তায় খাবারের মূল্য কম ধরা হয়েছে। এছাড়া এ রেস্তোরায় ছাত্রদের জন্য বিশেষ কনসেশন থাকবে।

এআরবি/এনইউ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।