সমান পয়েন্টে রানরেটে এগিয়ে আবাহনী, তবু এক নম্বরে মোহামেডান

নিয়মিত অধিনায়ক তামিম ইকবাল নেই। ইনজুুরির কারণে নেই তাসকিন আহমেদও। আর টেস্ট দলে ডাক পেয়ে আজ রাতেই জাতীয় দলের সঙ্গে যোগ দেবেন চার নির্ভরযোগ্য পারফরমার মুশফিকুর রহিম, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম।
সব মিলে নিয়মিত একাদশের ছয়জনকে ছাড়া সুপার লিগ খেলতে হবে মোহামেডানকে। সুপার সিক্সের সে লড়াইয়ে কেমন করবে তাওহিদ হৃদয়ের মোহামেডান?
২০০৯-২০১০ মৌসুমের পর কেটে গেছে ১৪ বছর। ১৫ বছরের মাথায় এসে সাদাকালোরা কি আবার প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের ট্রফি জিততে পারবে?
সে প্রশ্নের জবাব দেবে সময়। তবে এখনকার খবর, প্রথম রাউন্ডে মোহামেডান শেষ করলো সবার ওপরে থেকে।
শেষ ম্যাচের আগে পর্যন্ত মোহামেডানের চেয়ে ২ পয়েন্ট এগিয়ে ছিল আবাহনী। কিন্তু শনিবার মোহামেডান ৩৯ রানে আবাহনীকে হারিয়ে দেওয়ায় এখন দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর পয়েন্ট সমান (১১ ম্যাচে ৯টি করে জয় ও ২ পরাজয়ে ১৮ পয়েন্ট)। মোহামেডান এখন এক নম্বর। আবাহনী দ্বিতীয়।
এটুকু পড়ে কেউ কেউ হয়তো প্রশ্ন তুলতে পারেন যে, বিসিবির ওয়েবসাইটের পয়েন্ট টেবিলে দেখা যাচ্ছে আবাহনী (১.৪৬৮) নেট রানরেটে মোহামেডানের (০.৭৭১) ওপরে থেকে লিগ টেবিলে শীর্ষে। নেট রানরেটটা আবাহনীরই বেটার। তাহলে মোহামেডান এক নম্বরে কীভাবে?
বাইলজ ও প্লেয়িং কন্ডিশনে পরিষ্কার বলা আছে, প্রথম লিগ শেষে আর শিরোপা নির্ধারণের ক্ষেত্রে নেট রানরেট নয়, হেড টু হেড ধরা হবে। অর্থাৎ ২ দলের পয়েন্ট সমান হলে তাদের নিজের পারস্পরিক লড়াইয়ে জয়ী দলকে এক নম্বর ধরা হবে।
সেই নিয়মে পয়েন্ট সমান হলেও আবাহনীকে পিছনে ফেলে মোহামেডান প্রথম লিগ শেষে সবার ওপরে। আবাহনী দ্বিতীয়।
আজ প্রাইম ব্যাংককে ৫ উইকেটে হারিয়ে ১১ খেলায় ৭ জয় আর বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত ম্যাচে পাওয়া ১ পয়েন্ট সহ ১৫ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে উঠে আসলো গুলশান ক্রিকেট ক্লাব।
একমাত্র গাজী গ্রুপের সম্ভাবনা আছে গুলশান ক্রিকেট ক্লাবকে টপকে তৃতীয় হওয়ার। গাজী গ্রুপের পয়েন্ট ১০ ম্যাচে ১৪। আগামীকাল রোববার ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে শেষ ম্যাচ জিতলে বিজয় বাহিনীর পয়েন্ট দাঁড়াবে ১৬।
এআরবি/এমএমআর/জেআইএম