আইপিএলে বাউন্ডারি বড় করতে বললেন গাভাস্কার

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৪৮ পিএম, ৩১ মার্চ ২০২৫

আইপিএল মানেই তো রানের বন্যা। বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল এ ফ্র্যাঞ্চাইজির দর্শকদের মনে এতদিনে হয়তো প্রথম বাক্যটি গেঁথে গেছে। কেননা আইপিএলে তো সবই ব্যাটারদের অনুকূলে, বোলারদের জন্য যেন কিছুই নেই। ফ্ল্যাট পিচে ব্যাটারদের হাতে বেদম মার খেতেই যেন অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছেন বোলাররা।

তবে বিষয়টিকে ক্রিকেটবোদ্ধারা ভালোভাবে নিচ্ছেন না। বোলিং ও ব্যাটিং- দুই বিভাগেই ভারসাম্য রাখার পক্ষে তারা। তাদের ধারণা, সাময়িকভাবে দর্শকদের বেশি বিনোদিত করতে দীর্ঘদিন এমনটি চলতে থাকলে এক সময় আইপিএলটাই হয়তো নিষ্প্রভ, আনন্দহীন হয়ে যাবে।

বিজ্ঞাপন

ধারাভাষ্যকার ও ভারতের সাবেক কিংবদন্তি ক্রিকেটার সুনিল গাভাস্কার বিষয়টি সমাধান করতে পিচ ও মাঠের পরিস্থিতিতে পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছেন।

মাঠের বাউন্ডারি বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন গাভাস্কার। তিনি মনে করেন, এলইডি বিজ্ঞাপন বোর্ডগুলোর পিছনে পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে। খেলার জন্য এটি পেছনে সরিয়ে এনে মাঠ বড় করা যেতে পারে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

এই মৌসুমের প্রথম ১১ ম্যাচে ৬ বার দলীয় স্কোর ২০০ রানের ওপরে গেছে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ২৮৬ রান করেছিল। যা ব্যাটিং বান্ধব কন্ডিশনের স্পষ্ট প্রতিফলন।

মিড ডে-তে লেখা একটি কলােমে গাভাস্কার বলেছেন, ‘পাওয়ারপ্লেতে ব্যাটসম্যানদের খেলার ধরন অনেক বদলেছে। কিন্তু যা বদলায়নি তা হলো- বাউন্ডারির আকার। এলইডি বিজ্ঞাপন বোর্ডের পিছনে প্রচুর জায়গা রয়েছে, যা সরিয়ে বাউন্ডারি লাইন কয়েক মিটার বাড়ানো যেতে পারে। আমরা প্রায়ই দেখি ছক্কাগুলো কেবল বাউন্ডারি লাইন অল্পের জন্য পেরিয়ে যায়। সেটি যদি কয়েক মিটার দূরে থাকতো তাহলে হয়তো সেটি ছক্কার বদলে আউট হতে পারতো এবং বোলারদের উইকেট হিসেবে গণ্য হতো।’

মুম্বাইয়ে জন্ম নেওয়া এই কিংবদন্তি ম্যাচ-পরবর্তী খেলোয়াড়দের পুরস্কারের পরিমাণ বাড়ানোর ওপরও গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি লেখেন, ‘আইপিএলের স্পনসরশিপ এবং অন্যান্য রাজস্বের পরিমাণ ব্যাপকভাবে বেড়েছে। কিন্তু ২০০৮ সালে প্রথম আইপিএল আসর থেকে প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ পুরস্কারের অর্থমূল্য এখনো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে।’

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

জাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন

গাভাস্কার যোগ করেন, ‘আরেকটি বিষয় যা একই রয়ে গেছে তা হলো- ম্যাচ-পরবর্তী স্পনসরদের নগদ পুরস্কার। টাইটেল স্পনসরশিপ এবং অন্যান্য স্পনসরশিপের পাশাপাশি সম্প্রচার রাজস্ব উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, কিন্তু ম্যাচসেরা ক্রিকেটার এখনও ২০০৮ সালের আসরের মতোই অর্থ পাচ্ছেন। এখন যেহেতু আইপিএল প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে উঠেছে, পুরস্কারের অর্থও কি আমাদের বাবা-মা যেমন স্কুলের পর কলেজে উঠলে সন্তানদের পকেট খরচ বাড়িয়ে দেন, তেমন বাড়বে?’

এমএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।