তামিমের চিকিৎসা
ট্রেনার-ফিজিও-কেপিজে হাসপাতালের প্রশংসায় এভারকেয়ারের দুই চিকিৎসক

বিকেএসপিতে তামিম ইকবালের অবস্থা কতটা জটিল ছিল, সেটি সবারই জানা। জীবন- মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ছিলেন দেশসেরা ওপেনার।
গেল সোমবার (২৪ মার্চ) সকালে মোহামেডানের ম্যাচে হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হয় দেশবরেণ্য ক্রিকেটার তামিমের। এক পর্যায়ে অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে। দেহ নিথর হয়ে পড়ে। তামিমের পালস ও হার্টবিট পাওয়া যাচ্ছিলো না। ওই সময় সিপিআর (কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন) করে তামিমের শ্বাস-প্রশ্বাস আবার চালু করেন মোহামেডানের ট্রেনার ইয়াকুব চৌধুরী ডালিম।
এরপর সাভারের কেপিজে হাসপাতালে স্থানান্তরের পর সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তামিমকে সুস্থ করে তুলতে প্রাণপণ চেষ্টা করেন। অবস্থা বুঝে যা যা করণীয় তাই করেন। তামিমের ধমনীতে শতভাগ ব্লক ধরা পড়ায় চিকিৎকরা তাকে দ্রুত রিং পরান।
কেপিজে হাসপাতাল তো আর এভারকেয়ার কিংবা ইউনাইটেড হাসপাতাল নয়। হৃদরোগের অত্যাধুনিক মেশিনপত্রের ঘাটতি আছে সেখানে। সীমিত সামর্থ্যের মাঝে কেপিজের চিকিৎসকরা যে আন্তরিকতা নিয়ে তামিমকে সুস্থ করার প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন, সেটির প্রশংসায় গোটা জাতি পঞ্চমুখ।
বলা যায়, কেপিজের চিকিৎসকদের সময়োচিত চিকিৎসাই তামিম আবার সুস্থ হয়ে উঠেছেন। সেজন্য কেপিজে হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন এভারকেয়ারের দুই চিকিৎসক প্রফেসর সাহাবউদ্দীন তালুকদার ও ডা. আরিফ রহমান।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এভারকেয়ার হাসপাতালের মেডিকেল ডিরেক্টর আরিফ রহমান এবং হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর সাহাবউদ্দীন তালুকদার খুব আবেগ জড়ানো কণ্ঠে সাভারের কেপিজে হাসপাতালে তামিমের চিকিৎসায় নিয়োজিত থাকা চিকিৎসকদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তারা জানান, তামিম কেপিজে হাসপাতালে যে চিকিৎসা পেয়েছেন, তা অসাধারণ। পাশাপাশি তামিমের (মোহামেডানের) ট্রেনার ও ফিজিওর ভূমিকারও অকুণ্ঠ প্রশংসা করেন সাহাবউদ্দীন ও আরিফ রহমান।
এভারকেয়ারের এ দুই চিকিৎসক জানান, তামিমকে যে সিপিআর দেওয়া হয়েছিল, সেটা ছিল অত্যন্ত সময়োচিত। পাম্প করে হার্ট চালু করতে হয়েছে। এরপর কেপিজে হাসপাতালে যে ইমার্জেন্সি যে টিম ছিল তারা গুরুত্বপূর্ণ সেবা দিয়েছেন। যিনি অ্যানেস্থেসিয়ান ছিলেন তিনিও দারুণ ভূমিকা রেখেছেন। তারপর বাম ধমনীতে ব্লক ধরা পড়ায় সেখানে রিং পরানোর কাজটিও অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে নিপুণভাবে সম্পাদিত হয়েছে।
প্রফেসর সাহাবউদ্দীন বলেন, ‘কেপিজে হাসপাতালের ডা. মারুফ, ডা. রাজিব ও তাদের ইমার্জেন্সি টিম যে সাহসী কাজ করেছেন, তাদেরকে আমার পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তারা এমন সার্ভিস না দিলে অন্য কিছু হতে পারতো। তারা দেরি করেননি। তামিমের পরিবারও মনোযোগ দিতে দেরি করেননি। সবাই মিলে প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন। তামিম আরোগ্যের পথে ধাবিত হয়েছেন।’
এআরবি/এমএইচ/জেআইএম