সিরিজ নিশ্চিত নিউজিল্যান্ডের
রেকর্ডগড়া জয়ের পর রেকর্ড ব্যবধানে হার পাকিস্তানের

পাঁচ সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে রেকর্ড গড়া জয়ে সিরিজ বাঁচিয়ে রেখেছিল পাকিস্তান। নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ২০৫ রানের বিশাল লক্ষ্য টপকে গিয়েছিল মাত্র ১৬ ওভারে। যা ছিল আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি দুইশোর বেশি রান তাড়া করে সবচেয়ে কম ওভারে জয়ের রেকর্ড। অকল্যান্ডের ওই ম্যাচ দেখার পর ভক্তদের প্রত্যাশা, আনপ্রেডিক্টেবল হিসেবে খ্যাত পাকিস্তান হয়তো পরের ম্যাচগুলোতেও চমক দেখাবে।
কিন্তু পরের ম্যাচে (চতুর্থ টি-টোয়েন্টি) রেকর্ড ব্যবধানে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের হাতে বধ হলো পাকিস্তান। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে ৬ উইকেটে কিউইদের পাহাড়সম ২২০ রানের নিচে চাপা পড়ে পাকিস্তান গুটিয়ে গেছে মাত্র ১০৫ রানে। এতে ১১৫ রানের বিশাল জয় পেয়েছে নিউজিল্যান্ড। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডের কাছে এটিই সবচেয়ে বড় হার পাকিস্তানের।
এর আগে ২০১৬ সালের ২২ জানুয়ারি ওয়েলিংটনে নিউজিল্যান্ডের কাছে ৯৫ রানে হেরেছিল পাকিস্তান। তারও আগে অবশ্য ২০১০ সালের ৩০ ডিসেম্বর ক্রাইস্টচার্চে নিউজিল্যান্ডকে ১০৩ রানে হারিয়েছিল পাকিস্তান।
রোববার রেকর্ড ব্যবধানে হেরে সিরিজও খুইয়েছে পাকিস্তান। ৩-১ ব্যবধানে সিরিজের ট্রফি ঘরে তুলেছে নিউজিল্যান্ড। শেষ ম্যাচ আগামী ২৬ মার্চ ওয়েলিংটনে।
নিউজিল্যান্ডের বিশাল রানের পুঁজি গড়ার পথে অবদান ওপেনার ফিন অ্যালেনের দ্রুত গতির ফিফটির সঙ্গে আরও তিন ব্যাটারের ঝোড়ো ব্যাটিং। ২০ বলে ৫০ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন অ্যালেন।
আরেক ওপেনার টিম সেইফার্ট ২২ বলে ৪৪, অধিনায়ক মাইকেল ব্রাসওয়েল ২৬ বলে অপরাজিত ৪৬, মার্ক চাপম্যান ১৬ বলে ২৪ ও ড্যারিল মিচেল ২৩ বলে ২৯ রান করেন।
জবাবে পাওয়ার প্লেতেই ৫ উইকেট হারায় পাকিস্তান। আগের ম্যাচে ঝড় তোলা হাসান নওয়াজ আউট হন ৪ বলে মাত্র ১ রান করে। তার মতো দ্রুত সাজঘরে ফেরেন ওপেনার মোহাম্মদ হারিস, অধিনায়ক সালমান আলী আগা, শাদাব খান ও খুশদিল শাহ। মাঝে কিছু রান যোগ করেন ইরফান খান (১৬ বলে ২৪)। তবুও মাত্র ৫৬ রানে পতন হয় ৮ উইকেটের।
নবম উইকেটে হারিস রউফকে সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তানের মান বাঁচান আব্দুল সামাদ। ৮০ রানের মাথায় আউট হন রউফ। ৩০ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলে পাকিস্তানকে এক শ পার করে দেন সামাদ।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে ২০ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন জ্যাকব ডাফি। ২৫ রানে ৩ উইকেট নেন জাকারি ফোকেস। পাকিস্তানের হয়ে ২৭ রানে ৩ উইকেট নেন হারিস রউফ।
এমএইচ/জেআইএম