প্রতিদ্বন্দ্বিতার ১৫০ বছর

অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের বিশেষ ম্যাচ হবে দিবারাত্রির

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৫৩ পিএম, ১১ মার্চ ২০২৫

বর্তমান বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় খেলা ক্রিকেটের যখন উত্থানপর্ব, তখন অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচই ছিল সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ লড়াই। অনেক বছর ধরে এটিই চলে আসছিল। এরপর ক্রিকেটের সম্প্রসারণের সঙ্গে ভারত-পাকিস্তানসহ অন্যান্য দলের অন্তর্ভুক্তির সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড ম্যাচের জৌলুশ কিছুটা হলেও কমেছে। তবে এখনো অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড ম্যাচকে ক্রিকেটের বড় লড়াই বলেই মনে করা হয়।

১৮৭৭ সালের মার্চে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) প্রথমবারের মতো কোনো টেস্ট ম্যাচ খেলেছিল অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড। এটি ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম অফিসিয়াল টেস্ট ম্যাচ। ২০২৭ সালে ওই টেস্টের ১৫০ বছর পূর্ণ হবে। সার্ধশত বছর পূর্তিতে বিশেষ টেস্ট ম্যাচের আয়োজন করেছে দল দুটি।

বিজ্ঞাপন

ম্যাচটি হবে দিবারাত্রির, ২০২৭ সালের মার্চে ঐতিহাসিক মেলবোর্নেই গোলাপী বলে ১১-১৫ মার্চ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলেও এটিই হবে মেলবোর্নে পুরুষদের প্রথম দিবারাত্রির টেস্ট।

এর আগে ১৯৭৭ সালে শতবর্ষী পূর্তিতেও বিশেষ ম্যাচের আয়োজন করেছিল অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড। তবে ওই ম্যাচটি হয়েছিল লাল বলে এবং দিনের বেলায়। ম্যাচটিতে অস্ট্রেলিয়া ৪৫ রানের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

২০২৭ সালের টেস্টটি দিবারাত্রিতে আয়োজনের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো দর্শকে উপস্থিতি বাড়ানো। কেননা, দিনের বেলা খেলা হলে তা অস্ট্রেলিয়ার স্কুল ও কর্মঘণ্টার সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে বেশি দর্শক মাঠে উপস্থিত হয়ে খেলা দেখতে পারবেন না।

এছাড়া ম্যাচটি টেলিভিশন দর্শকদের জন্যও সুবিধাজনক হবে, বিশেষ করে যুক্তরাজ্যের দর্শকদের জন্য। কারণ, অস্ট্রেলিয়ার দিন-রাতের টেস্টের তৃতীয় সেশনটি যুক্তরাজ্যে সকাল সাড়ে ৭টার পর দেখা যাবে, যা দর্শকদের জন্য বেশ সুবিধাজনক।

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার নতুন প্রধান নির্বাহী টড গ্রিনবার্গ অস্ট্রেলিয়ান ভিক্টোরিয়ার রাজ্য সরকার এবং মেলবোর্ন ক্রিকেট ক্লাবকে ম্যাচটি (ফ্লাডলাইটের) আলোতে খেলার অনুমোদনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘এমসিজিতে ১৫০তম বার্ষিকী টেস্ট একটি অসাধারণ ক্রিকেট ইভেন্ট হবে এবং এটি রাতের আলোতে খেলা হলে আমাদের গৌরবময় ঐতিহ্য ও আধুনিক টেস্ট ক্রিকেটের বিবর্তন সুন্দরভাবে প্রতিফলিত হবে। এটি আরও বেশি মানুষকে মাঠে আসার এবং দেখার সুযোগ করে দেবে, যা নিঃসন্দেহে একটি দারুণ উপলক্ষ হতে চলেছে।’

জাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন

উল্লেখ্য, টেস্ট ম্যাচটি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ নয়।

এমএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।