বিপিএলে টিকিট থেকে বিসিবির আয় সোয়া ১৩ কোটি টাকা

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৮:৫১ পিএম, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বিপিএলে টিকিট বিক্রি থেকেই এবার ১২ কোটি টাকার বেশি আয় করেছে বিসিবি। জাগো নিউজের পাঠকরা আগেই এ তথ্য জেনে গিয়েছিলেন। সেটাও ছিল বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের দেয়া তথ্য। তিনি জাগো নিউজকে জানিয়েছিলেন, কয়েকদিনের মধ্যেই আমরা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে জানাবো, এবারের বিপিএলে কত টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছিল।

অবশেষে আজ সোমবার এক ভিডিও বার্তায় বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, ‘এবার টিকিট বিক্রি থেকে সব মিলিয়ে সোয়া ১৩ কোটি টাকা আয় করেছে বিসিবি।’

ভিডিও বার্তায় ফারুক আরও বলেন, ‘এবার টিকিট বিক্রিতে অবিশ্বাস্য রকমের সাফল্য অর্জিত হয়েছে। এ সাফল্যের মূল কারণ হলো, আমাদের ডিজিটাল প্লাটফর্মে যাওয়া। অত্যন্ত নিরাপদ ব্যবস্থা। বিশ্বকাপে এভাবেই টিকিট বিক্রি হয়। যদিও পুরোপুরি অনলাইন যেতে পারিনি। প্রথম রাউন্ডে ৩৫ ভাগ এবং পরের রাউন্ডে ৪০ ভাগ অনলাইনে টিকিট ছেড়েছি।’

   আরও পড়ুন >> বিপিএলে ১২ কোটি টাকারও বেশি টিকিট বিক্রি হয়েছে: ফারুক

বিজ্ঞাপন

ফারুকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ‘পুরো বিপিএলে ১২ কোটি ২৫ লাখ টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছে। এর সাথে টিকিট বিক্রি স্বত্ব থেকে পাওয়া এক কোটি টাকাও যোগ হবে।’

ফারুক তার ব্রেকআপ জানিয়ে বলেন, ‘একটি ছোট্ট পরিসংখ্যান দিচ্ছি, যা বিপিএলের তুলনামূলক টিকিট বিক্রির পরিমাণ তুলে ধরবে। বিপিএলের আগের ১০ আসর থেকে বিসিবি সর্বমোট ১৫ কোটি টাকার টিকিট বিক্রি করেছিল। সে বিবেচনায় আমরা এক বছরে তার কাছাকাছি পৌঁছে গেছি। টিকিট বিক্রি স্বত্ব বাবদ আমরা মধুমতি ব্যাংকের সাথে যে তিনবছরের চুক্তি করেছি, সেখান থেকেও আরও এক কোটি টাকা আসবে। সব মিলিয়ে টিকিট থেকে সোয়া ১৩ কোটি টাকা আয় হয়েছে। আমার মনে হয় এটা এক বিরাট মাইলফলক।’

বিসিবি প্রেসিডেন্টের ভিডিও বার্তায় ফ্র্যাঞ্চাইজিদের জন্যও আছে এক সুখবর। এবার টিকিট বিক্রির একটা উল্লেখযোগ্য অংশ ফ্র্যাঞ্চাইজিরাও পাবে। এ কথা জানিয়ে ফারুক বলেন, ‘ফ্র্যাঞ্চাইজিদের জন্য আছে একটা সুখবর। এবারের টিকিট বিক্রি থেকে একটা নোটেবল পার্ট আমরা সব ফ্র্যাঞ্চাইজিদের মধ্যে ভাগ করবো।’

এ প্রসঙ্গে বিসিবি সভাপতি যোগ করেন, ‘ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর দাবি ছিল রেভিনিউ শেয়ার। আমরা সব রেভিনিউয়ের হিসেব-নিকেশ শেষ করতে পারিনি। তাই বাকি আয়ের ক্ষেত্রগুলো থেকে কিভাবে রেভিনিউ শেয়ার হবে, তা আগে বের করতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ফারুকের দাবি, ‘ভুল-ত্রুটি, সমস্যা ছিল। তারপরও সব মিলিয়ে বিপিএলের এবারের আয়োজন ভালই হয়েছে। কিছু শর্ট কামিংস ছিল অবশ্যই। দু’একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটারদের পাওনা পারিশ্রমিক দিতে গড়িমসি করেছে। অনিয়ম করেছে। ক্রিকেটারদের ভোগান্তির উদ্রেক ঘটিয়েছে। তারপরও দর্শক, উইকেট আর টিকিট বিক্রিকে মানদন্ড ধরলে এবারের বিপিএল খারাপ হয়নি।’

স্যার কার্টলি অ্যামব্রোস বলেছেন, গত তিন বছরের মধ্যে বিপিএলের এটাই সেরা আসর। আগামী বছর বিপিএলের নানা ত্রুটি-বিচ্যুতি কাটাতে বদ্ধ পরিকর ফারুক। তার কথা, ‘আগামী বিপিএল নিয়ে এখনই কাজ শুরু করেছি আমরা। সব ভুল ত্রুটি, অনিয়ম রোধে কার্যককর ব্যবস্থা নেয়ার সাধ্যমত চেষ্টা করবো।’

সোমবার দুপুরের আগে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়কদের সাথে খোলামেলা আলোচনায় অনেক ভাল ভাল প্রস্তাব এসেছে, এমনটা জানিয়ে বোর্ড প্রধান ফারুক বলেন, ‘আমরা আজকে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়কদের সাথে বসেছিলাম। সেখানেও বিপিএলসহ দেশের ক্রিকেটের উন্নয়ন, মঙ্গল ও কল্যাণ নিয়ে সাবেক অধিনায়করা কথা বলেছেন। আমাদের ফরমার ক্যাপ্টেনরা তাদের মতামত দিয়েছেন। ফ্যান্টাস্টিক সাজেশন আছে।’

‘আমরা সে সব প্রস্তাবগুলোকে বিশেষ বিবেচনায় এনে বাস্তব রুপ দিতে চেষ্টা করবো। বিপিএলের সময়সূচি পরিবর্তন জরুরি। এ সময় না করে বছরের শেষ ভাগে অক্টোবর থেকে নভেম্বরের মধ্যে বিপিএল শুরুর প্রস্তাব অনেকের।’

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

বিসিবি প্রধানের কথা শুনে মনে হলো তারাও বিপিএলের সূচি নিয়ে ভাবছেন এবং সময়সূচিটা ভেবে চিন্তে করার চিন্তায় আছেন। এ সম্পর্কে ফারুকের ব্যাখ্যা, ‘আমরা একটা উইন্ডো ওপেন করার চেষ্টা করেছি। খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে কবে কখন কোথায় কোন কোন ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট আছে। সেগুলোর সাথে আমাদের বিপিএল যাতে ক্ল্যাশ না করে সেটাই দেখা হচ্ছে।’

এআরবি/আইএইচএস/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।