ফের বাংলাদেশের হকিতে জার্মানির পিটার গেরহার্ড
বাংলাদেশের হকিতে পুরোনো মুখ জার্মানির পিটার গেরহার্ড। বাংলাদেশ জাতীয় হকি দল ছাড়াও তিনি কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন মোহামেডান ও মেরিনার্সে। দীর্ঘ ৮ বছর পর আবার তিনি যোগ হলেন বাংলাদেশের হকিতে। এবার তার দায়িত্ব টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের।
নতুন দায়িত্ব নিয়ে মঙ্গলবার ঢাকায় এসেছেন পিটার। বুধবার তাকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ভবিষ্যত পরিকল্পার কথা জানিয়েছে ফেডারেশন।
ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল হক সাঈদ জানিয়েছেন, পিটারের কল্যানে এবার আগের চেয়েও বেশি খেলোয়াড়ের ইউরোপের বিভিন্ন লিগে খেলার সুযোগ পাবেন। এর আগে তার কল্যাণে ইউরোপে খেলারও সুযোগ পায়েছিলেন রাসেল মাহমুদ জিমিসহ এক ঝাঁক খেলোয়াড়। অনেক দিন সেটা বন্ধ থাকার পর আবার তা খুলতে চলেছে। আবার গেরহার্ডের হাত ধরেই, আগের চেয়েও বড় আকারে।
পিটার চার বছরের চুক্তি করতে চেয়েছিলেন। তবে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন আপাতত এক বছরের চুক্তি করছে। চুক্তিটি পরে বাড়ানোও হতে পারে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়ার পর কেনিয়ায় কোচের চাকরি নেন গেরহার্ড। ছিলেন সেখানে টেকনিক্যাল ডিরেক্টরও। কেনিয়ায় কাজ করেন গত বছর পর্যন্ত। সেখানে তিনি গড়ে তুলেছেন আইটি ব্যবসা, সেটারই কাজে শুক্রবার কেনিয়া যাচ্ছেন। তারপর যাবেন ইউরোপে। জুলাইয়ে বাংলাদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ শুরু হলে আবার আসবেন।
বছরের ১২ মাসের মধ্যে গেরহার্ড বাংলাদেশ দল নিয়ে পাঁচ মাস কাজ করবেন ইউরোপে। তা চলবে দুই দফায়—একবার তিন মাস, আরেকবার দুমাস। ইউরোপে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। জার্মানি, পোল্যান্ড, নেদারল্যান্ডসে খেলোয়াড়দের খেলার ব্যবস্থা করা হবে।
হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক বলেছেন, ‘ইউরোপে ৪০-৫০ জনকে পাঠানো হবে। ক্লাবের খেলার পাশাপাশি সেখানে জাতীয় দলের ক্যাম্পও হবে। পোল্যান্ডের সঙ্গ এরই মধ্যে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের কথা হয়েছে। সেখানে দল পাঠানোর কথা হয়েছে। গেরহার্ড জাতীয় দলের পাশাপাশি বয়সভিত্তিক দল নিয়েও কাজ করবেন। এসব নিয়ে পিটার পরিকল্পনা দেবেন।’
এসব পরিকল্পনায় গেরহার্ড উচ্ছ্বসিত। তিনি বলেছেন, ‘আট বছর পর এখানে আসতে পেরে আমি খুব খুশি। ২০১৬ সালে আমি চলে গিয়েছিলাম। ফিরলাম আবার। বাংলাদেশের হকি আমি চিনি। বাংলাদেশ চেষ্টা করলে পাকিস্তানকে ধরতে পারবে। কারণ, পাকিস্তানের হকি এখন নিচের দিকে। ভারতকে সম্ভব নয়। কারণ, ওরা অলিম্পিক পদক জেতে। আমাদের সামগ্রিক লক্ষ্য হকির উন্নয়ন।’
আরআই/এমএইচ/এএসএম