কক্সবাজারে বিশ্বমানের বিমানবন্দর তৈরির মহাযজ্ঞ


প্রকাশিত: ০৫:৪২ পিএম, ০২ মে ২০১৬

দেশি-বিদেশি প্রযুক্তিবিদ ও শ্রমিকদের মেধা ও শ্রমে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে বিশ্বমানের বিমানবন্দরে উন্নীত করার কাজ এগিয়ে চলছে দ্রুতগতিতে। দিন নেই, রাত নেই, ২৪ ঘণ্টা কাজ করে যাচ্ছেন সবাই। বর্তমান সরকারের বিগত আমলেই প্রকল্পের কাজটি শুরুর কথা ছিল। কিন্তু টেন্ডার জটিলতার কারণে যথাসময়ে কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি।

কক্সবাজার বিমানবন্দর উন্নয়ন প্রকল্প সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় ৩২১ দশমিক ৩৪ হেক্টর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। আরো ভূমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। মূল খনন কাজ ও ভূমি উন্নয়নের কাজ ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। পুরনো দিনের কক্সবাজার বিমানবন্দরের প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে চলছে মহাযজ্ঞ।

যথাসময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে একদল মেধাবী ও অভিজ্ঞ প্রকৌশলী এ বিমানবন্দরের উন্নয়ন কাজ করে যাচ্ছেন অবিরাম। কক্সবাজার বিমানবন্দর উন্নয়ন প্রকল্পে কাজ করছে দেশি-বিদেশি তিনটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে কোরিয়ার ইয়োশিন ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন, আইএল শিন হাইটেক ও দেশীয় ডেভেলপমেন্ট ডিজাইন কনসালটেন্ট লিমিটেড। প্রকল্পের ঠিকাদারির দায়িত্ব পেয়েছে কোরিয়ার হাল্লা এমএইচ শিওকওয়াং জেভি ও বাংলাদেশের মীর আখতার হোসেন লিমিটেড।


এ বিষয়ে জানতে চাইলে এয়ার ভাইস মার্শাল এহসানুল গনি চৌধুরী জাগো নিউকে বলেন, পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত হিসেবে পরিচিত কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীত করার প্রকল্পটি বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির ফসল। বর্তমান প্রকল্পের আওতায় রানওয়ের দৈর্ঘ্য ৬ হাজার ৭৭৫ ফুট থেকে ৯ হাজার ফুটে উন্নীতকরণ, প্রস্থ ১৫০ থেকে ২০০ ফুটে উন্নীতকরণ, এয়ারফিল্ড লাইটিং সিস্টেম স্থাপন, ফায়ার ফাইটিং ভেহিকল ক্রয় এবং নাব্য যোগাযোগ যন্ত্রপাতি স্থাপনসহ আনুষঙ্গিক বেশ কিছু কাজ চলছে। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কক্সবাজার বিমানবন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের (প্রথম পর্ব) কাজ শেষ হবে।

উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী আমিনুল হাসিব জাগো নিউজকে বলেন, বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজ টেক অফ ও ল্যান্ডিং করার মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বহুমাত্রিক সুবিধা ছাড়াও থাকছে বহুমাত্রিক সুবিধাদি।

তিনি বলেন, সমুদ্র সৈকতে এ ধরনের আধুনিক সুবিধা সংবলিত বিমানবন্দর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এটিই প্রথম। রানওয়ের প্রান্ত পেরিয়ে এক কিলোমিটারজুড়ে সমুদ্রে স্থায়ী আলোকসজ্জা থাকবে রাতের জন্য নয়নাভিরাম ও ব্যতিক্রমী উপস্থাপনা। বিমানবন্দরের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হবে এই অ্যাপ্রোচ লাইটিং সিস্টেম।


বিমানবন্দরের উত্তর পাশের রানওয়ের শেষ মাথা থেকে শুরু হয়ে উত্তরদিকে ৯০০ মিটার দীর্ঘ অংশটি দূর থেকে দেখতে সমুদ্রে আলোকসজ্জিত চাঁদের মতো দেখাবে।

প্রকল্প পরিচালক আমিনুল হাসিব বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের আগে অর্থাৎ আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে রানওয়ে খুলে দিয়ে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকাশ পথে যাতায়াতের ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করা হবে।

তিনি বলেন, বিমানবন্দরের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু করা যাবে ২০১৭ সালের প্রথম থেকেই।

আরএম/এসএইচএস/এনএফ/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।