নতুন কারাগারে কয়েদি স্থানান্তরে বিলম্ব


প্রকাশিত: ০২:২৩ এএম, ২৭ এপ্রিল ২০১৬

কেরানীগঞ্জের নতুন কারাগারে কয়েদি স্থানান্তরে আরো সময় লাগবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি নবনির্মিত কারাগারটির উদ্বোধন করলেও কবে নাগাদ কিভাবে, কতদিনে কয়েদি হাজতিকে নতুন কারাগারে স্থানান্তর করা হবে সে ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। সরকারের শীর্ষ নীতি নির্ধারণী মহল থেকে সবুজ সংকেত পেলে তবেই কয়েদি স্থানান্তর করা হবে। কারা সূ্ত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কারা অধিদফতর ও ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জাগো নিউজকে জানান, বর্তমানে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কয়েদির সংখ্যা প্রায় ৮ হাজার। এদের মধ্যে যুদ্ধাপরাধী, জঙ্গি, খুনী, ডাকাত, মাদকাসক্ত, ফাঁসি ও যাব্বজীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধী রয়েছে।

এদিকে, বিপুল সংখ্যক কয়েদিকে নতুন কারাগারে স্থানান্তরকালে সুষ্ঠু নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন কারা কর্তৃপক্ষ। তারা বলছেন, হাজারো কয়েদিকে স্থানান্তরে বিপুল সংখ্যক প্রিজন ভ্যান প্রয়োজন হবে। এছাড়া নাজিমউদ্দিন রোড থেকে কেরানীগঞ্জে যাওয়ার পথে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ, র‌্যাব ও বিডিআরসহ আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য প্রয়োজন।

দেশকে অস্থিতিশীল করতে পথে জঙ্গি হামলাসহ বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই কয়েদি স্থানান্তর কিছুদিন বিলম্বিত হতে পারে বলেও জানান তারা।

সম্প্রতি রাজধানীসহ সারাদেশে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিব্রত পুলিশ প্রশাসন। বিশেষ করে সম্প্রতি রাজশাহীতে শিক্ষক খুন ও সোমবার কলাবাগানে মার্কিন দূতাবাসের সাবেক এক কর্মকর্তাসহ দুইজনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় বিব্রত সরকার। তাই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বন্দি স্থানান্তর কিছুদিন বিলম্বিত হতে পারে।  

এ ব্যাপারে কারা অধিদফতরের এআইজি (প্রশাসন) মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, এখনও পর্যন্ত কয়েদি স্থানান্তর শুরু হয়নি। কবে থেকে কিভাবে কয়েদিদের নতুন কারাগারে নেয়া হবে সে ব্যাপারে সরকারের নীতি নির্ধারণী মহলের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করবেন। তবে তাদের ইচ্ছে দ্রুততম সময়ে পারলে একদিনে সকল কয়েদিকে স্থানান্তর করার।

বিছিন্নভাবে কয়েদি স্থানান্তর সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুই জেলে কয়েদিদের খাওয়ার জন্য রান্নার ব্যবস্থা ও অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনার মতো কর্মকর্তা কর্মচারী তাদের নেই।

সরকারিভাবে যেমন সিদ্ধান্ত আসবে তেমনিভাবে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হবে। কয়েদি স্থানান্তরে কারা কর্তৃপক্ষ উদ্বিগ্ন কি না এমন প্রশ্নের সরাসরি জবাব না দিয়ে তিনি বলেন, কম বা বেশি যে সংখ্যকই হউক না কেন, কয়েদি স্থানান্তরে সব সময় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।

এমইউ/এসকেডি/এএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।