সহসায় কাটছে না প্যানেলভুক্ত শিক্ষক নিয়োগের জটিলতা
উচ্চ আদালতের নির্দেশনার পরেও সহসায় কাটছে না প্রাথমিকের প্যানেলভুক্ত শিক্ষক নিয়োগের জটিলতা। শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি প্রাথমিক ও গণ শিক্ষামন্ত্রণালয় ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের পাঠাবে। তাদের ইতিবাচক সাড়া পেলেই কেবল এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তাই প্যানেলভুক্ত শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি এখন নির্ভর করছে আইন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের ওপর। প্রাথমিক ও গণ শিক্ষামন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ২০১০ সালের ১১ এপ্রিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪২ হাজার শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তির তিন নম্বর ক্রমিকে উল্লেখ করা হয় রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাছাই পরীক্ষায় উত্তীর্ণদেরকে নিয়ে উপজেলায় একটি প্যানেল গঠন করা হবে। ২০১২ সালের ২১ মার্চ ওই নিয়োগের ফল প্রকাশ পায়।
ফল প্রকাশের পর নিয়োগের শর্তপূরণ না করে উত্তীর্ণ ১০ হাজার শিক্ষককে নিয়ে শিক্ষা অধিদফতর থেকে ইনউনিয়ন ভিত্তিক প্যানেল গঠন করে একটি পরিপত্র জারি করা হয়।যার ফলে উপজেলা ভিত্তিক প্যানেল গঠনের জন্য যারা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিল তারা নিয়োগে বাদ পড়েন।
পরে কয়েকজন প্যানেল শিক্ষক হাইকোর্ট বিভাগে রিট আবেদন করে। রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট প্রায় ১০ হাজার শিক্ষককে নিয়োগের নির্দেশ দিয়ে রায় দেন।পরে সরকার এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। প্রধান বিচারপতির সমন্বয়ে তিন সদস্যের বেঞ্চ ২০১৪ সালে আপিল আবেদন খারিজ করেন। ২০১৫ সালে সরকার খারিজের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করেন। ১১ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত রিভিউ বেঞ্চের দেয়া রায়ে প্যানেলের বিজয় নিশ্চিত হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মো. হুমায়ূন খালিদ বলেন, আদালতের আদেশের কপি হাতে পাওয়ার পর আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং শেষে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে। এজন্য কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, প্যানেল শিক্ষকদের মধ্যে কতজনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে, কতজন বাকি এবং সর্বশেষ কবে বেতন দেয়া হয়েছে এসব তথ্য ভেটিংয়ের জন্য বাধ্যতামূলক। তাই প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ ইউনিট থেকে এসব তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
এনএম/এএইচ/আরআইপি