কুয়াশার চাদরে অন্যরকম ঢাকা
কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছিল রাজধানী ঢাকা। আজ (রোববার) খুব ভোরে আড়মোড়া ভেঙ্গে যারা ঘুম থেকে উঠেছেন তারা বাইরে বেরিয়ে গ্রামীণ আবহের অন্যরকম এক ঢাকা দেখেছেন।
চারপাশে প্রচণ্ড কুয়াশা, দুই চার হাত দূরের মানুষকেও দেখা যাচ্ছিল না, অদূরে টুং টাং শব্দ শুনে বোঝা যাচ্ছিল রিকশা আসছে। মাঝে মাঝে হেডলাইটের উজ্জ্বল আলো জ্বেলে সাঁই সাঁই শব্দ তুলে ফাঁকা রাস্তায় ছুটে যাচ্ছিল দ্রতগামি বাস ও প্রাইভেট কার।
যারা নিত্যদিন প্রাত:ভ্রমণে বের হন তারা বাইরে বেরিয়ে সময় কত হলো তা ঠিক বুঝতে পারছিলেন না। কুয়াশায় চারপাশ ঢাকা থাকায় স্কুলগামী শিক্ষার্থী, শ্রমজীবী সাধারণ মানুষ ও অফিসগামীদের কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।
আজিমপুরের বাসিন্দা লোকমান হোসেন ও প্রিয়ন্তি দম্পত্তির শিশু কন্যা প্রিয়ংকা আজই প্রথম ওয়াইডব্লিউসিএ স্কুলে যাচ্ছিল। গতরাত থেকে নতুন কেনা স্কুল ব্যাগ গোছানো, টিফিনে যা দেয়া হবে তা তৈরির জন্য খুব ভোরে উঠার প্রস্তুতি ছিল।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে গৃহবধু প্রিয়ন্তি বলেন, কুয়াশার কারণে ঘুম ভাঙ্গতে দেরি হয়েছে। মেয়েকে নিয়ে বাসা থেকে বেরোনোর পর রাস্তায় রিকশা খুঁজে পেতে দেরি হয়। রিকশা যাওয়ার সময় ঘন কুয়াশা দেখে প্রিয়ংকা বার বার বলছিল, মা এখনও তো সকাল হয়নি।
কামরাঙ্গীচরে থাকেন গার্মেন্টস কর্মী শাহানা। প্রতিদিন পায়ে হেঁটে হাতিরপুল এলাকার একটি গার্মেন্টসে যান তিনি। প্রতিদিন ৮টার মধ্যে গার্মেন্টসে কার্ড পাঞ্চ করে প্রবেশ করতে হয়। আজ কুয়াশার কারণে তার আধ ঘণ্টা দেরি হবে বলে জানান।
নিউমার্কেটের সামনে কথা হয় দিনমজুর সোলেমান মিয়ার সাথে। তিনি জানান, প্রতিদিন সকালে এখান থেকে দৈনিক ভিত্তিতে কাজ করার জন্য বিভিন্ন ঠিকাদাররা তাকেসহ অন্যান্য দিনমজুরদের নিয়ে যান। কিন্তু আজ সকাল ৮টা বেজে গেলেও কোন ঠিকাদার আসেননি। কুয়াশা বেশী হওয়ায় এমনটা হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রতিদিন প্রাত:ভ্রমণে বিপুল সংখ্যক মানুষের সমাগম হলেও আজ উপস্থিতি ছিল তুলনামূলকভাবে কম। তবে সকাল ৮টার পর ধীরে ধীরে কুয়াশা কেটে যায়।
এমইউ/এআরএস/এমএস