পুরনো সাফল্য নতুন বছরে ধরে রাখতে চাই


প্রকাশিত: ০৮:৫৬ পিএম, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) বাবুল আক্তার। এ বছরের সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ সুদানের মিশন শেষে বাংলাদেশে ফেরেন তিনি। ফিরেই মহানগর গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) এডিসির দায়িত্ব নেন।

দায়িত্ব নেয়ার কয়েকদিনের মাথায় নামেন জঙ্গি দমনের অভিযানে। সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর। মাত্র চার মাসে ক্লুলেস দুটি মামলার জট খোলেন বাবুল আক্তার। আগামী বছর কেমন প্রত্যাশা করছেন? জাগো নিউজের এমন প্রশ্নে এক বাক্যে বললেন, ‘পুরনো বছরের সাফল্য ধরে রাখতে চাই।’ তিনি বলেন, যে কাজ করে যাচ্ছি সেই কাজে ইতিমধ্যেই সফলতা অর্জন করেছি। নতুন বছরেও এই সফলতা ধরে রাখতে চাই।

গত চার মাসে চট্টগ্রামে বায়জীদ বোস্তামীর মাজারে জোড়া খুন এবং সদরঘাটে ছিনতাইয়ের সময় গ্রেনেড বিস্ফোরণের ঘটনা দুটির সুরাহা করেছেন বাবুল আক্তার। মাঝে দেড় মাস দেশের বাইরে ট্রেনিংয়েও ছিলেন তিনি। সর্বশেষ হাটহাজারীর আমানবাজারের জঙ্গি আস্তানা সন্ধানের মাধ্যমে শেষ হয় তার বছর।

নিজের সাফল্য তুলে ধরে ফেসবুকে একটি পোস্টও দিয়েছেন বাবুল আক্তার। পোস্টে তিনি লিখেছেন, “শান্তিরক্ষী মিশন থেকে ফিরে সেপ্টেম্বরের শুরুতে সিএমপির ডিবিতে যোগ দেয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই বায়েজীদে পীর ও খাদেম খুনের ঘটনা ঘটে এবং সদরঘাটে ছিনতাইয়ের সময় গ্রেনেড বিস্ফোরণে দু`জন মারা পড়ে। ঘটনাস্থলে পাওয়া যায় দুটি AK-22; ছিনতাইয়ে এ ধরনের অস্ত্রের ব্যবহার এটাই প্রথম, তাই এটি ভাবিয়ে তোলে সকলকে। ক্লুবিহীন এ দুটো রহস্যের জট খুলতে একটু বেশিই কাঠখড় পোড়াতে হয়। অনেকগুলো নির্ঘুম রাত আর বিশ্রামহীন দিন। দিবারাত ছুটে চলা। সঙ্গী সন্তোষ ও আজমীর। অবশেষে রহস্যের কূল হলো কর্ণফুলীর খোয়াজনগরে। কিন্তু সবটা যেন শেষ হল না।

শেষটুকু খুঁজে পেতে নকশাবিহীন পথে নিরন্তর ছুটে চলা। মাঝে দেড়মাস দেশ ও দেশের বাইরে ট্রেনিং। কিন্তু থেমে থাকেনি অনুসন্ধান। চারপাশ থেকে পাওয়া টুকরো টুকরো বিচ্ছিন্ন তথ্যগুলোকে একসুতোঁয় গাঁথা। নৌকার মাঝি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক; তথ্য পেতে ধরণা দিয়েছি সবার কাছে। অসংখ্য তথ্যের মাঝ থেকে খুঁজে নিতে হয়েছে প্রয়োজনীয় তথ্যটুকু। এখানেই তফাৎ পুলিশে আর মানুষে। সাধারণের চোখে যা সাধারণ পুলিশের চোখে তা ক্ষেত্রবিশেষে অসাধারণ। আপতদৃষ্টিতে যার কোনো গুরুত্ব নেই, পুলিশের কাছে তা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে প্রয়োজনের খাতিরে। কারণ প্রতিটি ঘটনা এবং তথ্য পুলিশ দেখে ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে।

বহুপথ মাড়িয়ে পথ শেষ হলো আমানবাজারে। তবুও সবটা যেন শেষ হলো না। আমানবাজার অপারেশন খুলে দিল চিন্তার নতুন দুয়ার। আবার একইপথে নিরলস পথ চলা। উদ্দেশ্য একটাই, এই নতুন বছরে দেশ ও মানুষের জীবন বিপন্নকারী সকল নাশকতা ও ষড়যন্ত্রের মূলোৎপাটন। শুভকামনা।

এআর/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।