শূন্য হাতেই ফিরলেন ছাত্রদলের সিনিয়র নেতারা
অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ছাত্রদলের কমিটি গঠনে নতুন ধারার চিন্তা আগ থেকেই শুরু করেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এক্ষেত্রে নিয়মিত ও তুলণামূলক কম বয়সীদেরকে দিয়েই কমিটি করার পক্ষে সিদ্ধান্ত ছিল তার।
কিন্তু তার (খালেদা জিয়া) সেই পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পক্ষ (বর্তমান কমিটির সিনিয়র নেতারা) নানা কৌশল অবলম্বন করে আসছিলেন বলে অভিযোগ ওঠেছিল। সর্বশেষ মঙ্গলবার রাতে তারা খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখাও করেছেন।
তবে সিনিয়র নেতাদেরকে শূন্য হাতেই ফিরিয়ে দিয়েছেন বেগম জিয়া। তাদের কোন যুক্তিই গ্রহণ করেননি তিনি। বরং উল্টো পরবর্তী কমিটিতে যাদেরকে দেয়া হয় তাদেরকে সহযোগীতা করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
গুলশান কার্যালয় সূত্রে আরো জানা যায়, খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বর্তমান কমিটির সিনিয়র নেতারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটের কমিটিগুলো সিনিয়রদেরকে দিয়ে গঠন করার অনুরোধ জানান। পাশাপাশি বর্তমান কমিটি ভেঙ্গে একটি আহ্বায়ক কমিটি করারও অনুরোধ জানান তারা।
তবে সিনিয়র এসব নেতাদের কোন অনুরোধই গ্রহণ করেননি বিএনপি চেয়ারপারসন। তিনি উপস্থিত সিনিয়র নেতাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি জুনিয়র লেভেলে চিন্তা ভাবনা করছি।
খালেদা জিয়া বলেন, জুনিয়র কমিটি হলে রাজনীতি করতে পারবে না বিষয়টি এমন নয়। মিলেমিশে কাজ করতে হবে। কমিটিকে সহযোগিতা করতে হবে।
আর এভাবে কমিটি করতে গিয়ে সিনিয়র কেউ বাদ গেলে তাকে অন্য যোগ্যতা অনুযায়ী অন্য কমিটিতে দায়িত্ব দেয়া হবে বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি।
সিনিয়র নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ সভাপতি তারেক আজিজ, ইখতেয়ার কবির, মামুন বিল্লাহ, সোহেল রানা, যুগ্ম সম্পাদক মিয়া মো: রাসেল, নুরুল হুদা বাবু, মিজানুর রহমান সোহাগ, করিম সরকার, নাজিম মাহমুদ, আজিজুর রহমান, কবির, মির্জা ইয়াসিন আলী, মো: শফিক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শাহাদাত, আইন সম্পাদক মাকসুদ প্রমূখ।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে জানতে চাইলে করিম সরকার জাগো নিউজকে বলেন, সিনিয়রদেরকে দিয়ে কমিটি দেয়ার জন্য ম্যাডামকে অনুরোধ করেছি। কিন্তু তিনি আশ্বস্ত করেননি।
তিনি বলেন, আহ্বায়ক কমিটি দেয়ারও পরামর্শ দিয়েছি কিন্তু আমাদের অনুরোধ গ্রহণ করেননি। নিচের লেভেল থেকেই কমিটি দেয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া।
প্রসঙ্গত, ছাত্রদলের ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে (১ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হল কমিটি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ, তিতুমীর কলেজসহ গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটের কমিটি গঠনের প্রস্তুতি নিয়েছে সংগঠনটি।
তবে ১ জানুয়ারি কমিটি নাম ঘোষণার সুযোগ না হলে জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকেই সবগুলো কমিটি গঠন করার বিষয়টি চূড়ান্ত করেছেন বিএনপির হাইকমান্ড। এসব কমিটিতে তুলণামূলক জুনিয়রদেরকে দিয়ে গঠন করার কারণে সিনিয়রদের একটি অংশ প্রতিবাদ জানান।
এমএম/এআরএস/এমএস