সুন্দরগঞ্জ হানাদার মুক্ত দিবস আজ


প্রকাশিত: ০৮:৪১ পিএম, ০৯ ডিসেম্বর ২০১৫

আজ ১০ ডিসেম্বর। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা হানাদার মুক্ত দিবস। এই দিনে সবখানে স্বাধীন বাংলাদেশের বিজয় পতাকা উড়তে থাকে। রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে হেরে গিয়ে রাতের আধারে পাকহানাদার বাহিনী পালিয়ে যায়। হানাদার বাহিনীর দোসর রাজাকার, আল-বদর মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে।

যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধা লায়েক আলী খান মিন্টু জানান, ১০ ডিসেম্বর সকালে পাকহানাদার বাহিনীর দখল থেকে এই উপজেলাকে মুক্ত করা হয়। ভারতের দার্জিলিংয়ে ট্রেনিং শেষে ৬নং সেক্টর কমান্ডার এয়ার ভাইস মার্শাল খাদেমুল বাশারের নেতৃত্বে তারা দেশ স্বাধীন করার জন্য পাটগ্রাম, নাগেশ্বরী ও ভুরুঙ্গামারী এলাকার রণক্ষেত্রে সাহসী ভূমিকা রেখে সুন্দরগঞ্জ থানার উদ্দেশে অগ্রসর হতে থাকেন।

মুক্তিযোদ্ধারা তিস্তা-ব্রহ্মপুত্র নদী পাড় হওয়ার চেষ্টা করলে হানাদার বাহিনীর গুলিতে আব্দুল জলিল নামের একজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। সুন্দরগঞ্জের হরিপুর এলাকা ওই দিনে শত্রুমুক্ত হয় এবং ১৮ জন রাজাকার অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করে।

পরে উপজেলা হেড কোয়ার্টার দখলে শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা তিনটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে সাঁড়াশি আক্রমণ চালায়। ৮ ডিসেম্বর তৎকালীন গাইবান্ধা মহকুমার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষাকারী হলহলিয়া ব্রিজটি বোমা মেরে উড়িয়ে দিলে হানাদার বাহিনীর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। শুরু হয় প্রচণ্ড লড়াই।

মুক্তিবাহিনীর রণকৌশলে হানাদার বাহিনী হেরে গিয়ে পিছু হটতে থাকে। পরে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। ১০ ডিসেম্বর ২৫০ জন রাজাকার অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করে। মুক্তিযোদ্ধারা সুন্দরগঞ্জ থানাকে হানাদার মুক্ত ঘোষণা করে।

অমিত দাশ/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।