সবজি-ফল রফতানি বাড়াতে হচ্ছে রোডম্যাপ

মাসুদ রানা
মাসুদ রানা মাসুদ রানা , জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:০১ এএম, ০৫ জুলাই ২০২১

শাক-সবজি ও ফল রফতানির ক্ষেত্রে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হন রফতানিকারকরা। এ কারণে রফতানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাধাগুলো দূর হলে রফতানি অন্তত চারগুণ বাড়ানো সম্ভব। সরকারও চায় কৃষিপণ্য রফতানির সমস্যাগুলো দূর করে রফতানি বাড়াতে। এজন্য একটি বিস্তৃত রোডম্যাপ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে এ সংক্রান্ত কয়েক দফা মিটিংও করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি কৃষি মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় শাক-সবজি ও ফল রফতানির সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য রোডম্যাপ প্রণয়নে কৃষি বিপণন অধিদফতরের মহাপরিচালককে প্রধান করে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি, ফল রফতানি হলেও বিশ্ববাজারের তুলনায় এ রফতানির পরিমাণ খুবই কম। রফতানিকারকরা জানিয়েছেন, এখন বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর শাক-সবজি-ফলসহ ৮০০ থেকে এক হাজার কোটি টাকার কৃষিপণ্য রফতানি হয়। সমস্যাগুলোর সমাধান হলে রফতানি অন্তত চারগুণ পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও রফতানিকারকরা বলছেন, শাক-সবজি ও ফল রফতানির যে সমস্যাগুলো রয়েছে তার মধ্যে- উচ্চ কার্গো ভাড়া, কালেকশন পয়েন্ট ও কুলিং চেইন সমস্যা, বিমানবন্দরের স্বল্প ধারণক্ষমতা ও কোল্ড স্টোরেজ সমস্যা, টেস্টিং ল্যাব ফ্যাসিলিটির অভাব রয়েছে। এছাড়া গ্যাপ নীতিমালা অনুসারে রফতানিযোগ্য পণ্য উৎপাদন, প্যাকেজিং ব্যবস্থা উন্নয়ন, ফাইটোস্যানিটারি সার্টিফিকেট প্রাপ্তি সহজীকরণ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সার্টিফিকেট প্রাপ্তি, বিএসটিআইয়ের সনদ প্রাপ্তি, হালালনাগাদ সনদ প্রাপ্তি, ফ্রিজার ভ্যান আমদানি সুবিধা, বিমানবন্দরের কাছে কার্গো ভিলেজ করাসহ শিপিং কন্টেইনার ভেসেল সুবিধা নিশ্চিত করা, ট্রলি সুবিধা বৃদ্ধি, কনট্রাক্ট ফার্মিংয়ের জন্য কনট্রাক্ট জোনিং ঘোষণা, উপযুক্ত কৃষিপণ্যের জাত নির্বাচন, স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণ সুবিধা, ভর্তুকির পরিমাণ বৃদ্ধি, সব বিমানে রফতানি পণ্য পরিবহন বাধ্যতামূলক করা, কোল্ড স্টোরেজের ধারণক্ষমতা বৃদ্ধ, কাস্টমস ডিউটি কমানো বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

jagonews24

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ফ্রুটস ভেজিটেবলস অ্যান্ড অ্যালাইড প্রোডাক্টস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফভিএপিইএ) সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘কৃষিপণ্যের রফতানি বাড়াতে সরকার আন্তরিক। এক্ষেত্রে রফতানি বাড়াতে যত প্রতিবন্ধকতা আছে তা থেকে উত্তরণের জন্য বিভিন্ন সময় সভা হয়েছে।’

কৃষিপণ্য পরিবহনে অতিরিক্ত বিমান ভাড়া বড় সমস্যা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সমস্যার মধ্যে রয়েছে কার্গো স্পেস সংকট। সবজি কিংবা ফল এগুলো বিমানে পরিবহন করতে হয়, কিন্তু এটা পরিবহনের জন্য কার্গো স্পেস এভেইলেবল নয়। ইংল্যান্ডের বাজারে প্রচুর কাঁঠালের অর্ডার আছে, সবজির অর্ডার আছে। কার্গো স্পেস না পাওয়ায় এক্ষেত্রে রফতানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো কার্গো স্পেস দিতে পারে না। অনেক এয়ারলাইন্সের অনীহা আছে, কৃষিপণ্য পরিবহন করতে চায় না।’

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। রোডম্যাপ তৈরি হচ্ছে। সমস্যাগুলো তো আমাদের জানা আছে। এখন সেগুলো কীভাবে দূর করা যাবে সেই পথ বের করা দরকার। রোডম্যাপের মাধ্যমে সেটাই করা হচ্ছে।’

কৃষিপণ্যের গুণগতমানের ক্ষেত্রে এখন খুব বেশি সমস্যা নেই জানিয়ে জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমদানিকারক দেশের চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত কৃষিপণ্য আমাদের রয়েছে। রোগবালাইমুক্ত, জীবাণুমুক্ত শাক-সবজি ও ফলমূল হতে হবে।’

’৪০-৫০টি সবজির আইটেম আছে, যেগুলো রেগুলার বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে রফতানি হচ্ছে। বছরে বাংলাদেশ থেকে ৮০০ থেকে ১০০০ কোটি টাকার মতো কৃষিপণ্য রফতানি হয়। এটা চারগুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা কোনো ব্যাপারই নয় যদি রফতানির সমস্যাগুলো দূর করা যায়’—বলেন জাহাঙ্গীর হোসেন।

এ বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘শাক-সবজি, ফলমূল রফতানি করার অপার সুযোগ আমাদের রয়েছে। বিশেষ করে ইউরোপীয় দেশগুলোতে। কৃষিকে লাভজনক ও বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তর করাই এখন আমাদের মূল লক্ষ্য। এরই ধারাবাহিকতায় শাক-সবজি ও ফল রফতানিতে সফলতার বিষয়টি কৃষি মন্ত্রণালয় গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।’

তিনি বলেন, ‘সব রফতানিকারককে আমরা ডেকেছি। কী সুযোগ-সুবিধা তাদের দিতে পারি, কী ধরনের বাধা-বিপত্তি আছে সেসব দূর করতে চাই। একটা ডেস্ক করছি। সেখান থেকে আমরা তাদের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় যাব। ব্যাংকে যাব। কার্গো একটা বিরাট সমস্যা। বিদেশি এয়ারলাইন্সের বাধ্যবাধকতা ছিল ২০ শতাংশ বাংলাদেশের কন্টেইনার, শাক-সবজি নিতে হবে। সেটা এখন তারা নেয় না। এটাকে আবার আমরা আরোপ করতে চাই। বাংলাদেশে ফ্লাইট চালাতে হলে ২০ শতাংশ কৃষিপণ্য কার্গোতে বহন করতে হবে। ব্যাংকঋণ দিতে চায় না কৃষিতে, সেক্ষেত্রে আমরা সহযোগিতা করব।’

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘মাঠ থেকে বিমানে ওঠা পর্যন্ত প্রত্যেক পয়েন্টে কৃষিপণ্যকে মনিটর করতে হবে। কোনো রকম রোগজীবাণু, শরীরের জন্য ক্ষতিকারক কোনো ধাতু আছে কি-না, এসব দেখতে হবে। জয়দেবপুরে একটি ল্যাব করেছি। প্রধানমন্ত্রী পূর্বাচলে দুই একর জমি দিয়েছেন, সেখানে অ্যাগ্রো প্রসেসিং ল্যাবরেটরি হবে।’

jagonews24

মন্ত্রী বলেন, ‘শাক-সবজি ও ফল রফতানির ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা ও সমন্বয়ের অভাব থাকলে তা সম্মিলিতভাবে, পরিকল্পনামাফিক কাজ করলে দূর করা সম্ভব হবে। আমাদের লক্ষ্য হবে শাক-সবজি ও ফল উৎপাদনের ক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, রাশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, ইন্দোনেশিয়াসহ উন্নত বিশ্বের বাজারে ব্যাপক পরিমাণে রফতানি করা।’

যা করবে কমিটি
কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, রোডম্যাপ প্রণয়ন কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক/প্রতিনিধি, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান/প্রতিনিধি, হর্টেক্স ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরে প্ল্যান্ট কোয়ারেন্টাইনের পরিচালক, বাংলাদেশ ফল ও সবজি রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশেনের (বিএফভিএপিইএ) সভাপতি/প্রতিনিধি। কমিটিতে সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন কৃষি বিপণন অধিদফতরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ রাজু আহমেদ।

কমিটিকে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের প্রচলিত ও অপ্রচলিত শাক-সবজি এবং ফল রফতানির ক্ষেত্রে সম্ভাবনা যাচাই, প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা যাচাই, সমস্যা নিরূপণ, সমাধান ইত্যাদি বিষয় পর্যালোচনা করে কমপ্রিহেনসিভ রোডম্যাপ উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে।

একইসঙ্গে কমিটি আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদাসম্পন্ন শাক-সবজি ও ফল রফতানির উদ্দেশ্যে বীজ সংগ্রহ, উৎপাদন, বালাইনাশক ও সার প্রয়োগ ব্যবস্থা, শস্য সংগ্রহ, বাছাইকরণ, প্যাকেজিং, পরিবহন, কোল্ড স্টোরেজ, কর ব্যবস্থা, প্রয়োজনীয় সনদ গ্রহণ ও বাজারজাতকরণ বিষয়ে বিদ্যমান সমস্যা এবং এর সম্ভাব্য সমাধানের জন্য স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা উপস্থাপন করবে।

শাক-সবজি ও ফল রফতানির উদ্দেশ্যে নতুন বাজার খুঁজে বের করা, বিজ্ঞাপন, বিপণন, ঋণ সুবিধা, ব্যাংকিং ব্যবস্থা, প্রণোদনা বিষয়ে বিদ্যমান সমস্যা ও এর সম্ভাব্য সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় সুপারিশও করবে এই কমিটি।

শাক-সবজি ও ফল রফতানি বৃদ্ধির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধনের জন্য পরিকল্পনা প্রণয়নের পাশাপাশি এই কমিটি শাক-সবজি ও ফল রফতানি বৃদ্ধির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন দফতরগুলোর মধ্যে বছরভিত্তিক লক্ষ্যমাত্রা প্রণয়ন করে ম্যাট্রিক্স আকারে উপস্থাপন করবে। কৃষিপণ্যের মান সম্পর্কে কোন দেশের চাহিদা কী- সে বিষয়েও কমিটি তুলনামূলক বিবরণী প্রণয়ন করবে।

বোডম্যাপ প্রণয়ন কমিটির প্রধান ও কৃষি বিপণন অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ এ বিষয়ে জাগো নিউজকে বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে শাক-সবজি রফতানি সেভাবে বাড়ছে না। বরং আরও কমে গেছে। কিন্তু আমাদের অনেক সম্ভাবনা আছে। বিশ্ব কৃষি আধুনিক হচ্ছে। আমরা সেভাবে এগোতে পারিনি। আমাদের গ্যাপ (উত্তম কৃষি চর্চা) ও জোনিং ফার্মিং চালু করতে হবে। এটা করতে না পারলে রফতানি বাড়বে না। ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড গ্যাপ নিয়ে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। সেজন্য আমরা ওদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে পারছি না। বিদেশেও যা যাচ্ছে, সেটাও সেখানকার মূল মার্কেটে আমরা যেতে পারিনি।’

jagonews24

তিনি বলেন, ‘ওটার জন্য আমরা কাজ করছি। আমরা একটা রফতানি উইং করেছি। রফতানিকারকদের সঙ্গে বসছি, কোথায় কী সমস্যা আছে সেগুলো দেখছি। সমস্যাগুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি। আরও মিটিং করে এরপর আমাদের ফাইনাল প্রেজেন্টেশনটা দেব। সেখানে নির্ধারিত হবে, কে কোন কাজটা করবে। সমন্বয়টা আমরা করব।’

কৃষি মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, সম্প্রতি কৃষি বিপণন অধিদফতর সবজি ও ফলের রফতানি বাণিজ্য বাড়ানোর জন্য পৃথক রফতানি উইং খুলেছে। কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) রাজশাহী জেলায় একটি প্রকল্প শিগগিরই চালু করতে যাচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় নিজস্ব কুলিং ভ্যানের মাধ্যমে রাজশাহী থেকে আমসহ অন্যান্য পচনশীল পণ্য ঢাকায় স্থাপিত সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিটে আনা হবে। ফলে রফতানি আরও সহজ হবে।

ওই কর্মকর্তা আরও জানান, নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে সাড়ে ছয় বছর পর ইউরোপে পুনরায় পান রফতানি শুরু হয়েছে। গত ২৬ মে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক ঢাকার শ্যামপুরে কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউজে ইউরোপে নিরাপদ ও মানসম্পন্ন পান রফতানি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

বাংলাদেশের পানে ক্ষতিকর সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতির কারণে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সাময়িকভাবে পান রফতানিতে ইইউ নিষেধাজ্ঞা জারি করে, যা ধাপে ধাপে ২০২০ পর্যন্ত বর্ধিত করে। ইইউ পান রফতানিতে কতিপয় শর্ত আরোপ করে। তাদের আরোপিত শর্ত পূরণ করতে পারায় গত ১৫ এপ্রিল পান রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় ইইউ।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল এ বিষয়ে বলেন, ‘শাক-সবজি ও ফলসহ বিভিন্ন ধরনের কৃষিপণ্য আমাদের দেশ থেকে রফতানি হচ্ছে। এগুলোর মান বৃদ্ধির পাশাপাশি রফতানি বাড়াতে কাজ করছি। আমরা কাজুবাদাম, কফি, আম রফতানি করছি। আমরা ল্যাব স্থাপন করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘সার্বিক বিষয়ে একটি রোডম্যাপ করার জন্য কমিটি করে দেয়া হয়েছে। কৃষি বিপণন অধিদফতরের ডিজি হচ্ছেন এটার প্রধান। তারা এটি চূড়ান্ত করে নিয়ে এলে সমস্যাগুলো সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া যাবে।’

আরএমএম/এমএইচআর/এইচএ/এএসএম

৪০ থেকে ৫০টি সবজি আইটেম আছে, যেগুলো রেগুলার বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে রফতানি হচ্ছে। বছরে বাংলাদেশ থেকে ৮০০-১০০০ কোটি টাকার মতো কৃষিপণ্য রফতানি হয়। এটা চারগুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা কোনো ব্যাপারই নয় যদি রফতানির সমস্যাগুলো দূর করা যায়

শাক-সবজি, ফলমূল রফতানি করার অপার সুযোগ আমাদের রয়েছে। বিশেষ করে ইউরোপীয় দেশগুলোতে। কৃষিকে লাভজনক ও বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তর করাই এখন আমাদের মূল লক্ষ্য। এরই ধারাবাহিকতায় শাক-সবজি ও ফল রফতানিতে সফলতার বিষয়টি কৃষি মন্ত্রণালয় গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে

বাংলাদেশ থেকে শাক-সবজি রফতানি সেভাবে বাড়ছে না। বরং আরও কমে গেছে। কিন্তু আমাদের অনেক সম্ভাবনা আছে। বিশ্ব কৃষি আধুনিক হচ্ছে। আমরা সেভাবে এগোতে পারিনি। আমাদের গ্যাপ (উত্তম কৃষি চর্চা) ও জোনিং ফার্মিং চালু করতে হবে। এটা করতে না পারলে রফতানি বাড়বে না। ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড গ্যাপ নিয়ে অনেক দূর এগিয়েছে। সেজন্য আমরা ওদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে পারছি না। বিদেশে যা যাচ্ছে, সেটাও সেখানকার মূল মার্কেটে আমরা যেতে পারিনি। ওটার জন্য আমরা কাজ করছি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।