পাঁচ বছরের মধ্যে দুধের চাহিদা মিটিয়ে রফতানির আশা
দুধ শরীরে পুষ্টি জুগিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে, তাই সব বয়সীর ক্ষেত্রেই নিয়মিত দুধ পান করা উচিত। তবে দেশে দুধের বার্ষিক চাহিদা ১৫২ লাখ মেট্রিক টন হলেও উৎপাদন হচ্ছে ১০৭ লাখ মেট্রিক টন। ফলে এখনো সবার চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না।
চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদন ও সরবরাহের ব্যর্থতার নেপথ্যে গো-খাদ্যের সঙ্কট, উৎপাদিত দুধ সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাতকরণসহ নানান সঙ্কটের কথা বলছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে সব সঙ্কট কাটিয়ে আগামী ৫ বছরের মধ্যে দুধের চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান। আর ৮-৯ বছরের মধ্যে দেশের চাহিদা মিটিয়ে দুগ্ধজাতীয় পণ্য বিদেশে রফতানির পরিকল্পনাও করছে সরকার।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দুধ পাওয়ার পর সেটি যেন নষ্ট না হয়, সেজন্য বৈজ্ঞানিক উপায়ে সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাত করে বড় কোম্পানিগুলো। কিন্তু খামারি পর্যায়ে এ বিষয়ে ধারণা কম থাকায় এবং ব্যবস্থাপনা না থাকায় যথাযথভাবে এই দুধ সংরক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে না। মেশিনারিজের অভাবে অনেক সময় এই দুধ পৌঁছায় না কোম্পানিগুলোর কাছেও।
দেশের দুধ উৎপাদক কোম্পানিগুলো ১০-১৫ শতাংশ দুধ ব্যবহার করতে পারে। বাকি সব দুধ স্থানীয় বাজারে বিক্রি হয়। ফলে সারাদেশের মানুষের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয় না। এসব সমস্যা সমাধানে দুধ উৎপাদন প্রক্রিয়ার জন্য বিভাগভিত্তিক প্রসেসিং প্লান্টের ব্যবস্থা করতে হবে।
খাত-সংশ্লিষ্টদের মতে, সবচেয়ে বড় সমস্যা গো-খাদ্যের দাম সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। এটিকে সবার আগে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। বছরে দুই হাজার ৮০০ থেকে তিন হাজার কোটি টাকার গুঁড়ো দুধ বাংলাদেশে আসে। প্রত্যেক জেলায় প্লান্ট হলে তরল দুধের পরিমাণ বাড়বে ও গুড়ো দুধের আমদানি নির্ভরতা কমে যাবে।
খামারে উৎপাদিত দুধ সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না থাকায় তা নষ্ট হয়
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যারা প্লান্ট করতে চায়, তাদের বিনা সুদে ঋণের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। দেশে দুধের ঘাটতি আছে প্রায় ৩৫ শতাংশ, গুঁড়ো দুধ আমদানির প্রথম কারণ এটি। দেশে দুধ উৎপাদন বাড়াতে পারলে এ সমস্যা অনেকটা সমাধান হবে। তবে অন্য সময়ে দুধ উৎপাদন প্রতিবছর ১০-১৫ শতাংশ বাড়ে। তবে করোনার কারণে তা অনেকটা থমকে আছে। এক্ষেত্রে আমদানিনির্ভরতা কমাতে সরকারকে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করতে হবে।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে দুধের মূল উৎস গরু। মোট উৎপাদিত দুধের ৯০ শতাংশ আসে গরু থেকে, ৮ শতাংশ আসে ছাগল থেকে এবং ২ শতাংশ আসে মহিষ থেকে। ২০২০ সালে মোট দুধের উৎপাদন হয়েছে ১০৭ লাখ মেট্রিক টন। ১৯৮৯-৯০ থেকে ২০০১-০২ অর্থবছর পর্যন্ত দুধের উৎপাদন বৃদ্ধির হার ২ দশমিক ৪ শতাংশ। আর ২০০৯-১০ থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছর পর্যন্ত দুধের উৎপাদন বৃদ্ধির হার ১৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ। ২০০৯-১০ অর্থবছরে দুধের উৎপাদন ছিল ২৩ দশমিক ৭০ লাখ মেট্রিক টন। ২০১৯-২০ অর্থবছরের দুধের উৎপাদন দাঁড়ায় ১০৬ দশমিক ৮০ লাখ মেট্রিক টন। বর্তমানে দেশে মোট দুগ্ধ উৎপাদনকারী গরু ৮ দশমিক ৬ মিলিয়ন অর্থাৎ ৮৬ লাখ। যার মধ্যে দেশীয় ৪ দশমিক ৫৬ মিলিয়ন (৫৩ শতাংশ) এবং সংকর জাতের ৪ দশমিক শূন্য ৪ মিলিয়ন (৪৭ শতাংশ)।
বর্তমানে দিনপ্রতি মাথাপিছু দুধের চাহিদা ২৫০ মিলিলিটার হলেও প্রাপ্যতা রয়েছে ১৭৫ মিলিলিটার। দেশে দুধের বার্ষিক চাহিদা ১৫২ লাখ মেট্রিক টন, যার বিপরীতে উৎপাদন ১০৬ দশমিক ৮ লাখ মেট্রিক টন। প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের পক্ষ থেকে দুধ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২০৩১ সালে ২০০ লাখ মেট্রিক টন এবং ২০৪১ সালে ৩০০ লাখ মেট্রিক টন নির্ধারিত আছে।
দুধ উৎপাদন ও সরবরাহ প্রতিষ্ঠান আড়ং ডেইরির পরিচালক আনিসুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘প্রান্তিক পর্যায়ে দুধ উৎপাদনে আমাদের খরচ বেশি। উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় বাজারমূল্যও বেশি। এটা কীভাবে কমানো যায়, তা সরকারের পরিকল্পনা করা উচিত।’
তিনি বলেন, ‘কৃষকপর্যায় থেকে দুধ ফ্যাক্টরিতে আনতে প্রতি লিটারে ৪৩-৪৫ টাকা খরচ হয়। সেটা যদি ডলারে রূপান্তর করি, তাহলে প্রায় ৫০ সেন্টের ওপরে পড়ে। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে এই দুধের খরচ ২২-২৮ সেন্ট। যেমন- অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডে এক লিটার দুধ উৎপাদনে ৩০ সেন্টের নিচে খরচ পড়ে। অথচ আমার কেনা দামই অন্যান্য দেশের তুলনায় দ্বিগুণ, তাহলে বেশি দামেই বিক্রি করতে হবে।’
গো-খাদ্যের সংকট দুধ উৎপাদনে বড় বাধা
আনিসুর রহমান আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক উৎপাদন খরচের সঙ্গে আমাদের উৎপাদন খরচ সামঞ্জস্যপূর্ণ না হলে দুধের দাম কমানো সম্ভব নয়। আমরা যদি নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, আয়ারল্যান্ডসহ বাইরের দেশ থেকে গুঁড়ো দুধ কিনে আনি, তাহলে সব ভ্যাট ট্যাক্স দিয়ে যে দাম পড়ে সেটা স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত দুধের চেয়ে অন্তত ৩০ শতাংশ কম। বাইরে থেকে কিনে আনলে যদি আমার দাম কম পড়ে তাহলে দেশীয় প্রক্রিয়াজাত শিল্প হিসাবে আমরা এগোতে পারব না।’
‘দেশে আমাদের উৎপাদন বাড়ছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রক্রিয়াজাত কারখানা কিন্তু বাড়ছে না। প্রক্রিয়াজাতকরণও বাড়ছে না। আমাদের চাহিদা বাড়ছে, আমরা দুধ আমদানিও বাড়াচ্ছি। প্রতি বছর প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার দুধ আমদানি করছি। দেশীয় দুধের উৎপাদন খরচ বেশি বলে আমদানি করা হচ্ছে। এটা সমন্বয় করা না গেলে খামারি, প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রতিষ্ঠান কিংবা ভোক্তা কেউই উপকৃত হবে না’—যোগ করেন তিনি।
আকিজ ডেইরির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘কৃষকরা বিনিয়োগ করে লাভ করতে পারছে না। দেশীয় এই শিল্পকে সরকারের পক্ষ থেকে যে ধরনের সহযোগিতা করা দরকার সেটা করা হচ্ছে না। গো-খাদ্যে ভ্যাট-ট্যাক্স কমানো, দুধ আমদানিতে নিরুৎসাহিত করা, এই জিনিসগুলো করা হচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ‘দুধ উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের ঋণ দেয়া যেতে পারে। এখন পাবনা, সিরাজগঞ্জ, মানিকগঞ্জসহ কয়েকটি জেলায় দুধ উৎপাদন করা হচ্ছে, এটা আরও বাড়াতে হবে। অন্য এলাকায় উৎপাদন বাড়িয়ে দুধ ক্রয়কেন্দ্র করতে হবে। দুধ বিপণন সহজ করা, উন্নত প্রযুক্তির পাউডার প্লান্ট ও চিলিং প্লান্টের ব্যবস্থা করা, প্রতিটি বিভাগে অন্তত একটি করে পাউডার প্লান্ট করার ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রত্যেক বিভাগে যদি দুধের উৎপাদন বাড়াতে সরকার ব্যবস্থা নেয়, তাহলে দুধ উৎপাদন অনেক বাড়বে। এক্ষেত্রে সরকারের পরিকল্পনা দরকার আছে। ভালো জাতের গবাদিপশু আমদানির পাশাপাশি দেশীয় জাতের উন্নয়ন ও দরকার আছে।’
গো-খাদ্যের দাম কৃষকদের ভোগাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গোখাদ্য যদি খামারিদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে না থাকে, তাহলে তারা দুধ উৎপাদনে আগ্রহ হারাবে। এর পাশাপাশি গবাদিপশুর ভ্যাকসিনেশন, ওষুধ সব কিছুই কৃষকদের নাগালের মধ্যে রাখতে হবে। কৃষকদের ব্যাপক হারে প্রণোদনা দিতে হবে।’
‘দুধের চাহিদা আছে কিন্তু আমরা দুধ পাই না। এক্ষেত্রে দুধ প্রক্রিয়াকরণের একটা সমস্যা আছে। আমরা দুধ পাওয়ার পর সেটার বৈজ্ঞানিক উপায়ে সংরক্ষণ করি, প্রক্রিয়াজাতকরণ করি। কিন্তু খামারি পর্যায়ে মেশিনারিজের অভাবে অনেক সময় দুধটা আমাদের কাছে পৌঁছায় না। আবার গুঁড়ো দুধের দাম কমে গেলে কৃষক বাইরে দুধ বিক্রি করতে পারে না।’
বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) সাধারণ সম্পাদক শাহ ইমরান জাগো নিউজকে বলেন, ‘আগে দুধ নষ্ট হতো, এখন তা আর হয় না। ঢাকায় বসে ৮০-১০০ টাকায় দুধ কিনে খেতে হয়, যেখানে কৃষককে ৩০-৩৫ টাকায় দুধ বিক্রি করতে হয়। উৎপাদক ও ভোক্তার মধ্যে অনেক দূরত্ব। পণ্য পৌঁছানোর পর দুধের দাম দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। উৎপাদক, ভোক্তা উভয়ই ঠকছে। বাজার অব্যবস্থাপনা ও অদক্ষতার কারণে মধ্যস্থাকারীরা বড় অঙ্কের টাকা নিয়ে যাচ্ছে, এদিকে নজর দিতে হবে।’
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম
গো-খাদ্যের দামও বেশি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গমের দাম ২২ টাকা। অথচ গমের ভুসির দাম ৪০ টাকা। গো-খাদ্যে বিদ্যমান ভ্যাট, ট্যাক্স আছে, সেটা বাদ দিতে হবে। বাজার নজরদারি বাড়িয়ে গো-খাদ্যের সিন্ডিকেট বাণিজ্য ভেঙে দিতে হবে। এছাড়া গো-খাদ্যের আমদানিশুল্ক বাদ দিতে হবে। আবার অনেকেই কম শুল্কে গো-খাদ্য আনলেও আর দাম কমাচ্ছে না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এ বিষয়টি সরকারকে মনিটরিং করতে হবে।’
শাহ ইমরান আরও বলেন, ‘দুধ সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে প্রচুর অবকাঠামোগত সংকট আছে। দুধকে লংটার্ম সংরক্ষণ করার জন্য যেসব যন্ত্র দরকার হয়, সেগুলো প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকের পক্ষে কেনা সম্ভব নয়। প্রত্যেক উপজেলায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আছে, যারা কৃষকদের কাছ থেকে দুধ সংগ্রহ করে তাদের চিলিং প্লান্ট দিতে হবে। মিল্কভিটা এটা করে দিতে পারে, কিংবা খামারিদের অ্যাসোসিয়েশনকে এই মেশিনারজি কিনে দিতে পারে।’
প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের পরিচালক (উৎপাদন) জহির উদ্দিন মিঞা জাগো নিউজকে বলেন, ‘দুধ উৎপাদনে বাড়াতে সবচেয়ে বড় সমস্যা সংগ্রহ স্তরে। প্রত্যন্ত এলাকায় যারা দুধ উৎপাদন করছে, অনেক সময় তারা বিক্রি করতে পারছে না। ন্যায্য দাম পাচ্ছে না। একটি এলাকায় নিজস্ব চাহিদার পর যে অতিরিক্ত দুধ থেকে যাচ্ছে, সেটি যদি কুলিং ভ্যানের মাধ্যমে সংগ্রহ করে দ্রুত চিলিং করা যেত, তাহলে দুধের অপচয় রোধ হতো এবং খামারিরা ভালো দাম পেতেন।’
জানতে চাইলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম জাগো নিউজকে বলেন, ‘উচ্চশিক্ষিতরা এখন ডেইরি খাতে এগিয়ে আসছেন। তাদের প্রণোদনাসহ সার্বিক সহায়তা দিচ্ছে সরকার। আবার দেশে দুধের চাহিদা যেভাবে বাড়ছে, আশা করি আগামী পাঁচ বছরে আমরা দেশের নাগরিকদের দুধের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হব।’
তিনি বলেন, ‘সর্বোচ্চ ৮-৯ বছরের মধ্যে আমাদের চাহিদা পূরণ করে আমরা দুগ্ধজাতীয় পণ্য বিদেশে রফতানি করতে পারব বলে আশা করি। দুধ উৎপাদন বৃদ্ধির স্বার্থে আমরা বিদেশি গুঁড়ো দুধের আমদানি নিরুৎসাহিত করছি। এর বিপরীতে দেশে গুঁড়ো দুধ উৎপাদনকে উৎসাহিত করছি। এজন্য ডেইরি খামারি, উদ্যোক্তা ও প্রক্রিাজাতকারীদের আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় বেশি প্রণোদনা ও স্বল্পসুদে ঋণ দিচ্ছে সরকার।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট গবাদিপশুর জাত উদ্ভাবন, সংরক্ষণ ও উন্নয়ন, কৃত্রিম প্রজনন সম্প্রসারণসহ নানা গবেষণার মাধ্যমে দুধ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের আরও একটি লক্ষ্য রয়েছে, দুগ্ধজাতীয় পণ্যের ভ্যারাইটি তৈরি করা। যদি দুধ থেকে আমরা ২০-৩০ প্রকার দুগ্ধজাত পণ্য তৈরি করতে পারি, তাহলে এ জাতীয় খাবারের চাহিদা বাড়বে, মানও বাড়বে। আবার অর্থনৈতিক ক্ষেত্রও সম্প্রসারিত হবে। এ লক্ষ্য নিয়ে আমরা এ বছরের দুগ্ধ দিবস পালন করতে যাচ্ছি।’
আইএইচআর/এএএইচ/এইচএ/এমকেএইচ