‘মুভমেন্ট পাস’ কমিয়েছে অযথা ঘোরাঘুরি, সংক্রমণরোধে ইতিবাচক ফল
চলতি বছরের মার্চের প্রথম দিক থেকে আশঙ্কাজনক হারে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ বাড়তে থাকে দেশজুড়ে। এপ্রিলে এসে সংক্রমণ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। ফলে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে সরকার। কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে জরুরি প্রয়োজনে যাতায়াত নিশ্চিত করতে ‘মুভমেন্ট পাস’ চালু করে পুলিশ। গত ১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ এ মুভমেন্ট পাসের অ্যাপস উদ্বোধন করেন।
চালু হওয়ার পরপরই মুভমেন্ট পাস নিতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে মানুষ। মুভমেন্ট পাস নিয়ে সমালোচনা থাকলেও এর সুফল পেয়েছেন নাগরিকরা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারের দেয়া টানা ২৯ দিন কঠোর বিধিনিষেধের কারণে এবং জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হতে পুলিশের ‘মুভমেন্ট পাস’ ও চেকপোস্টে কড়াকড়ির কারণে দেশে কমতে শুরু করেছে করোনা সংক্রমণ।
পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, ২২ দিনে মুভমেন্ট পাস ওয়েবসাইটে ঢোকা হয়েছে ২২ কোটি ৫৬ লাখ ৯৮ হাজার ১১৪ বার। মুভমেন্ট পাসের জন্য আবেদন জমা পড়েছে ১২ লাখ ৬২ হাজার ৩২০টি। তাদের মধ্যে ১৯ লাখ ৭৮ হাজার ৪৩২ জনকে এ পাস ইস্যু করা হয়েছে।
গত মার্চ থেকে দেশে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়। সংক্রমণ এবং মৃত্যু ঠেকাতে গত ৫ এপ্রিল থেকে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে সরকার। এরপর ১৪ এপ্রিল থেকে ‘সর্বাত্মক লকডাউনের’ ঘোষণা দেয়া হয়। যা চলবে আগামী ১৬ মে পর্যন্ত।
এদিকে, গত দুই সপ্তাহ ধরেই করোনা সংক্রমণের হার নিম্নমুখী। চলমান বিধিনিষেধের মধ্যে গণপরিবহন বন্ধসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে হাসপাতালগুলোতেও করোনা রোগীর সংখ্যা কমতে শুরু করেছে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য ও রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা। তবে এ নিয়ে আত্মতুষ্টিতে ভুগলে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর হার ফের বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন তারা। এমনকি শুরু হতে পারে তৃতীয় ঢেউও।
তবে, লকডাউনের মধ্যে চেকপোস্টে চিকিৎসক, সাংবাদিক ও অন্যান্য জরুরি সেবায় নিয়োজিত গাড়িতে স্টিকার থাকার পরেও তল্লাশি করায় বিতর্কে পড়ে পুলিশ।
কঠোর লকডাউনের ৫ম দিনের মাথায় রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে এক চিকিৎসকের পরিচয়পত্র চাওয়া নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
ঘটনাটি গড়ায় দুই পেশাজীবী সংগঠনের পাল্টাপাল্টি বিবৃতিতে। এমনকি এ বিষয়ে কথা বলেন হাইকোর্টও। পুলিশের বিরুদ্ধে হেনস্তা ও হয়রানির অভিযোগ তুলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায় চিকিৎসকদের সংগঠন-বিএমএ। অন্যদিকে, ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ তুলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানায় পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সর্বাত্মক লকডাউনে জরুরি প্রয়োজনে বাইরে গেলে পুলিশের মুভমেন্ট পাস নিয়ে বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকেই। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এমন খবরের প্রেক্ষাপটে ৮ এপ্রিল বিবৃতি দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
বিবৃতিতে যাতায়াতের সময় আইডি কার্ড দেখাতে যারা ব্যর্থ হয়েছেন তাদের যাচাই বাছাই করা চলমান বিধি নিষেধের প্রেক্ষিতে যৌক্তিক বলে উল্লেখ করা হয়। একই সঙ্গে পুলিশের কাজে সহায়তা করতে নাগরিকদের অনুরোধ জানিয়ে ডিএমপি বলেছে, প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষকে জানালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এতে বলা হয়, জরুরি প্রয়োজনে নিয়োজিত ব্যক্তিরা ছাড়া অন্যরা যাতে বিনা কারণে বা উপযুক্ত পাস ছাড়া রাস্তায় বের হতে না পারেন তা নিশ্চিত করতে ২৪ ঘণ্টা ডিএমপির সদস্যরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে কাজ করেছেন। ১৪ ও ১৫ এপ্রিল সাধারণ মানুষের সহযোগিতা নিয়ে বিধিনিষেধ বাস্তবায়নের কাজ অনেকটা সফলতার সঙ্গেই শেষ হয়েছে। যদিও বিনা কারণে রাস্তায় বের হওয়া ব্যক্তি এবং বিভিন্ন পরিষেবায় নিযুক্তদের মধ্যে পার্থক্য বের করা কষ্টকর।
কারণ হিসেবে সেখানে বলা হয়, কিছু কিছু ব্যক্তি সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া গাড়ি নিয়ে বের হওয়ায় তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশকে সারাদিন গলদঘর্ম হতে হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কিছু গণমাধ্যমে এবং গণমাধ্যমের কিছু ব্যক্তি পুলিশের চেকপোস্টে বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এমন ঘটনার একটিতে দেখা যায়, কারওয়ান বাজারে পুলিশ একটি প্রাইভেটকারের ড্রাইভারকে বাইরে আসার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি গাড়িটি একজন চিকিৎসকের বলে জানান। কিন্তু চিকিৎসক গাড়িতে উপস্থিত না থাকায় এবং ড্রাইভার সেই চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হওয়ায় গাড়ির কাগজপত্র দেখাতে বলা হয়। কিন্তু গাড়ির কাগজপত্র দেখার পর গাড়ির মালিকের সঙ্গে চিকিৎসকের সামঞ্জস্য না থাকায় ড্রাইভারের বক্তব্যের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়।
বিজ্ঞপ্তিতে একজন চিকিৎসকের গাড়ি কয়েক জায়গায় থামানোর কারণে হাসপাতালে পৌঁছাতে দেরি হওয়া প্রসঙ্গে বলা হয়, জাহাঙ্গীর গেট সংলগ্ন চেকপোস্টে তিনি ৩০ সেকেন্ডের মত আটকে ছিলেন। যাতায়াতের সময় যারা আইডি কার্ড দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন তাদেরকেই যাচাই-বাছাই করা হয়েছে, যেটি চলমান বিধি নিষেধের পরিপ্রেক্ষিতে যৌক্তিক একটি বিষয়। মহামারি সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারি বিধিনিষেধ মেনে চলা সব নাগরিকের সমান দায়িত্ব।
বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ সদস্যরা যাতে অপেশাদার আচরণ না করেন, সে জন্য তাদের মনিটর করা এবং যথাযথ দায়িত্ব পালনে উদ্বুদ্ধ করাসহ প্রশিক্ষণ চলছে বলে জানানো হয়।
যদিও গত কয়েকদিন ধরে একরকম স্বাভাবিকভাবেই রাস্তায় চলাচল করছেন মানুষ। কোনো চেকপোস্টে মুভমেন্ট পাস চাওয়া হচ্ছে না। যদিও এখনও পুলিশের সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে ঢুকে মুভমেন্ট পাসের জন্য আবেদন করা যাচ্ছে।
তবে লকডাউনের সুফল মিলেছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. খলিলুর রহমান বলেন, খুশির খবর হলো ধীরে ধীরে আমরা লকডাউনের সফলতা পাচ্ছি। আমাদের এখানে প্রতিদিন করোনা রোগীর সংখ্যা কমছে। এক সপ্তাহ আগে যে করোনা রোগীর চাপ ছিল সেটা আর এখন নেই। আমাদের আছে ৩০০ বেডের করোনা ইউনিট। রোগীর সংখ্যা কমে আজ মাত্র ১১৪ জন করোনা রোগী ভর্তি আছেন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় মাত্র ১২ জন করোনা রোগী ভর্তি হয়েছেন।
রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মনোয়ার হোসেন খান জাগো নিউজকে বলেন, সরকারের দেয়া সর্বাত্মক লকডাউন ও পুলিশের মুভমেন্ট পাসের কারণে সড়কে কিছুটা শৃঙ্খলা ফিরেছে। লকডাউন শুরুর পর থেকেই সড়কের মোড়ে মোড়ে পুলিশের চেকপোস্টে আসা মাত্রই জনগণকে জিজ্ঞাসা করেছে। এতে করে মানুষ কিছুটা হলেও সচেতন হয়েছে। সে কারণে করোনা সংক্রমণের হার কিছুটা হলেও কমতে শুরু করেছে। এছাড়া মানুষ আগের তুলনায় স্বাস্থ্যবিধি ও মাস্ক ব্যবহারে সচেতন হয়েছে।
এ বিষয়ে পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক-এআইজি (মিডিয়া) মো. সোহেল রানা জাগো নিউজকে বলেন, দেশ ও মানুষের কল্যাণের জন্যই চলাচল নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে কঠোর হতে হয়েছে। নিয়মিত দায়িত্বের বাইরে গিয়ে বৈশাখের প্রচণ্ড দাবদাহের মধ্যে সারাদিন পথে দাঁড়িয়ে থেকে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে পুলিশ। খেটে খাওয়া মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা কিছুটা প্রভাবিত হয়েছে। তাই, কেউ কেউ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। কিন্তু, প্রকৃতপক্ষে মুভমেন্ট পাস প্রচলনের ফলে মানুষের চলাচল অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। করোনার ভয়ঙ্কর সংক্রমণ রোধে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপ-কমিশনার (ডিসি) সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক সৈয়দ নুরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, করোনা সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছিল তাতে লকডাউন না থাকলে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজারে গিয়ে দাঁড়াত এবং মৃত্যুর হারও বেশি হতো। এবারের লকডাউনে পুলিশের পক্ষ থেকে খুব কড়াকড়ি ছিল। এই কড়াকড়িতে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি, ব্যাংক, শিল্প কারখানা, আইনজীবীসহ আরও কিছু পেশার মানুষ লকডাউনের আওতামুক্ত ছিল। প্রথম দিকে যারা বের হয়েছেন তারা নিজেদের গাড়ি নিয়েই বের হয়েছিলেন তাদেরকে আমরা প্রতি চেকপোস্টে চেক করেছি এবং তারা জরুরি কাজে নির্ধারিত ডকুমেন্ট নিয়েই বের হয়েছিলেন। তাদের ওপর আমাদের বিশ্বাসের জায়গাটা তৈরি হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, আর যাদের কোনো পরিচয়পত্র ছিল না তারা মুভমেন্ট পাস নিয়ে বের হয়েছিল। যারা পাস দেখাতে পেরেছিলেন তাদেরকে আমরা ছেড়ে দিয়েছি। এর বাইরে যারা কারণ ছাড়াই বের হয়েছিলেন তাদেরকে বাসায় পাঠিয়ে দিয়েছি। এই কড়াকড়ি থাকার কারণেই আজকে করোনা সংক্রমণের হার কমতে শুরু করেছে। এটা লকডাউনের ফলাফল, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, লকডাউন যত শিথিল হয়েছে মানুষ তত বাইরে বের হয়েছে আর তত বেশি মিক্সিং বেড়েছে। এর ফলে কিছুদিন পর আবার করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যেতে পারে। যত কড়াকড়ি বাস্তবায়ন হবে তত কম মানুষ আক্রান্ত হবে। তবে মানুষের চাহিদা, অর্থনীতি, জীবনচক্রসহ সবকিছুকে মিলিয়ে সরকার যতগুলো সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার সবগুলোই যথাযথ হয়েছে। তবে লকডাউন বাস্তবায়ন করার একচ্ছত্র দাবিদার পুলিশ। সরকারের নীতিমালায় পুলিশ মাঠে থেকে কাজ করেছে। যখন যে নির্দেশনা এসেছে পুলিশ ঠিক সেভাবেই বাস্তবায়ন করেছে।
জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, লকডাউনের শুরু থেকেই মহাপরিদর্শকের নির্দেশনায় এবং তার উদ্যোগে মুভমেন্ট পাস ছাড়া কেউ বেরোবে না এটা শক্তভাবেই আমরা মাঠে প্রতিপালন করার চেষ্টা করেছি। এরপরেও মানুষ নানা কারণে বের হয়েছে। আমরা তাদেরকে সচেতন করার জন্য মাঠে থেকে কাজ করেছি। স্বাস্থ্যবিধি মানতে ও মাস্ক ব্যবহার করতে পুলিশের পক্ষ থেকে সচেতন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এখন মার্কেট-শপিংমল খুলে দেয়া হয়েছে। তবে ৯৯ শতাংশ মানুষ মাস্ক ব্যবহার করছে। আগের চেয়ে মানুষ নিজেরাও সচেতন হয়েছে। পুলিশের কড়াকড়ি ছিল পাশাপাশি সকল বয়সী মানুষ নিজেরাও বিপদ বুঝতে পেরে সচেতন হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি মানুষের অবদানকেও ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। এই দুটি প্রচেষ্টার ফলেই ধীরে ধীরে করোনা সংক্রমণ কমতে শুরু করেছে।
এদিকে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১১ হাজার ৮৩৩ জনে। গত ২৭ মার্চ ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্তের কথা জানায় সরকার। গত বছরের মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে ছিল। এরপর থেকে শনাক্তের হার কমতে শুরু করে।
গত বছরের জুন থেকে আগস্ট, এই তিন মাসে করোনার সংক্রমণ ছিল তীব্র। মাঝে নভেম্বর-ডিসেম্বরে কিছুটা বাড়লেও বাকি সময় সংক্রমণ নিম্নমুখী ছিল। চলতি বছরের মার্চে শুরু হয়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। প্রথম ঢেউয়ের চেয়ে এবার সংক্রমণ বেশি তীব্র। মধ্যে কয়েক মাস ধরে শনাক্তের চেয়ে সুস্থ বেশি হওয়ায় দেশে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা কমে আসছিল। কিন্তু মার্চ থেকে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যাও আবার বাড়তে শুরু করে।
টিটি/এসএস/এএসএম