উত্তরা-মতিঝিল : মেট্রো রেলের কোথায় কত অগ্রগতি
অডিও শুনুন
প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ রাজধানীর উত্তরা তৃতীয় পর্ব থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-৬ বা বাংলাদেশের প্রথম মেট্রো রেলের নির্মাণ কাজ চলমান। এর সার্বিক অগ্রগতি ৫৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
প্রথম পর্যায় বা উত্তরা তৃতীয় পর্ব থেকে আগারগাঁও অংশের পূর্ত কাজের অগ্রগতি ৮০ দশমিক ২১ শতাংশ। বাকি ১৯ দশমিক ৭৯ শতাংশ কাজ শেষ করে চলতি বছরের ১৬ ডিসেম্বর মেট্রো রেলের উদ্বোধনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে সরকারের বাস্তবায়নকারী সংস্থা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। ডিএমটিসিএল সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ‘করোনায় কিছু ক্ষতি হয়েছে, অস্বীকার করার উপায় নেই। কিছুটা পিছিয়ে পড়েছি। পুরোটা হতে প্রায় ২০২২ সাল শেষ হয়ে যাবে। তবে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা, আগামী যে বিজয় দিবস আমাদের সামনে আছে, আমাদের ৫০ বছর পূর্তির, ওইদিন প্রথম সেকশনটা উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত আমরা ট্রেন চালু করতে পারবো। কাজের যে গতি, তাতে আমরা সবাই আশাবাদী, পারবো। তবুও চূড়ান্ত বলতে পারছি না যে, করবোই।’
ডিএমটিসিএলের সর্বশেষ জানুয়ারির তথ্যানুযায়ী, দ্বিতীয় পর্যায় বা আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের পূর্ত কাজের অগ্রগতি ৫১ দশমিক ২৬ শতাংশ। ইলেক্ট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল সিস্টেম এবং রোলিং স্টক (রেলকোচ) ও ডিপো ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ কাজের সমন্বিত অগ্রগতি ৪৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসরণে মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত এমআরটি লাইন-৬ বর্ধিত করার জন্য ইতোমধ্যে অংশীজন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। হাউজ হোল্ড সার্ভে চলছে। সোশ্যাল স্টাডি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এ অংশের দৈর্ঘ্য ১ দশমিক ১৬ কিলোমিটার।
সার্বিক অগ্রগতির বিষয়ে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, ‘২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী মেট্রো রেলের কাজ উদ্বোধন করেছেন। আজকে আমরা ২০২১ সালের প্রথম দিকে দাঁড়িয়ে কথা বলছি। তার অর্থ হচ্ছে, আমরা এই অল্প সময়ের ভেতরেই এই পর্যন্ত আমরা উঠে আসছি। আমরা যে পর্যন্ত উঠে আসছি, তা সারাবিশ্বের জন্য উদাহরণস্বরূপ।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রকল্পের দিকে যদি আপনারা তাকান, সব প্রকল্পে সময় ও ব্যয় বৃদ্ধি পায়। কিন্তু এই প্রকল্পের এখনও সময় বৃদ্ধি পায়নি এবং প্রকল্প ব্যয়ও এটার বৃদ্ধি পায়নি। এবং এটা আমরা নির্ধারিত সময়ের আগেই সমাপ্ত করতে পারবো। এ ব্যাপারে আমরা আপনাদেরকে নিশ্চয়তা দিতে চাই।’
বিভিন্ন প্যাকেজের অগ্রগতি
মেট্রো রেলের এমআরটি লাইন-৬ এর কাজ মোট ৮টি প্যাকেজের আওতায় বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ডিএমটিসিএলের জানুয়ারির তথ্যের ভিত্তিতে দেখে নেয়া যাক, কোন প্যাকেজের কত অগ্রগতি।
প্যাকেজ এক
এক নম্বর প্যাকেজের কাজ ছিল ডিপো এলাকায় ভূমি উন্নয়ন। এ প্যাকেজের বাস্তব কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর। নির্ধারিত সময়ের ৯ মাস আগেই ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি এই কাজ শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। এতে সরকারের সাশ্রয় হয়েছে ৭০ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।
প্যাকেজ দুই
দুই নম্বর প্যাকেজের কাজ হচ্ছে ডিপো এলাকায় পূর্ত কাজ করা। এ প্যাকেজের বাস্তব কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৭ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর। ডিপোর অভ্যন্তরে মোট ৫২টি অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। তার মধ্যে ৯টি অবকাঠামোর কাজ পরিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কাজের বাস্তব অগ্রগতি ৮০ শতাংশ।
প্যাকেজ তিন ও চার
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি তিন ও চার নম্বর প্যাকেজের আওতায় উত্তরা উত্তর থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট বসানো হয়েছে। এর মাধ্যমে মেট্রো রেলের উত্তরা-আগারগাঁও অংশ সম্পূর্ণ দৃশ্যমান হয়েছে। এছাড়া উত্তরা উত্তর থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত নয়টি স্টেশন নির্মাণ করা হচ্ছে।
এই দুটি প্যাকেজের কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৭ সালের ১ আগস্ট। ইতোমধ্যে পরিষেবা স্থানান্তর, চেকবোরিং, টেস্ট পাইল, মূল পাইল, পাইল ক্যাপ, আই-গার্ডার, প্রিকাস্ট সেগমেন্ট কাস্টিং, পিয়ার হেড এবং ৫টি লং স্প্যান ব্যালেন্সড কান্টিলেভার নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। ৯টি স্টেশনের সাব-স্ট্রাকচার নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ ও পল্লবী স্টেশনের কনকোর্স ছাদ নির্মাণ সমাপ্ত হয়েছে। বর্তমানে মিপুর-১১, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়া স্টেশনের কনকোর্স ছাদ নির্মাণের কাজ চলছে। উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার ও উত্তরা দক্ষিণ স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম স্টিল স্ট্রাকচার নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।
পল্লবী স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম স্টিল স্ট্রাকচার নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে আছে। মিরপুর-১১, কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়া স্টেশনের সমাপ্ত করা কনকোর্স ছাদের ওপর প্ল্যাটফর্ম স্টিল স্ট্রাকচার নির্মাণ শুরু হয়েছে। উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ ও পল্লবী স্টেশনে মেকানিক্যাল, ইলেক্ট্রিক্যাল ও প্লাম্বিংয়ের কাজ চলছে। উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ ও পল্লবী স্টেশনে বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশন, সিগনালিং ও টেলিকমিউনিকেশন এবং স্টেশন কন্ট্রোলার কক্ষ নির্মাণের কাজ চলছে। সার্বিক অগ্রগতি ৭৬ দশমিক ৫০ শতাংশ।
প্যাকেজ পাঁচ
পাঁচ নম্বর প্যাকেজের আওতায় আগারগাঁও থেকে কারওয়ান বাজার পর্যন্ত ৩ দশমিক ১৯৫ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট ও তিনটি স্টেশন নির্মাণকাজ চলছে। এই প্যাকেজের বাস্তব কাজ শুরু হয়েছে ২০১৮ সালের ১ আগস্ট। বর্তমানে এ অংশে পরিষেবা স্থানান্তর, চেকবোরিং, ট্রায়াল ট্রেঞ্চ, টেস্ট পাইল, স্থায়ী বোর্ড পাইল, পিয়ার কলাম ও পিয়ার হেড নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। মোট ২০৩টি পাইল ক্যাপের মধ্যে মেইন লাইনের সব পাইল ক্যাপ (১০৬টি) এবং স্টেশনের ৯৭টি পাইল ক্যাপের মধ্যে ৬০টি মোট ১৬৬টি পাইল ক্যাপ সম্পন্ন হয়েছে।
বর্তমানে বিজয় সরণি, ফার্মগেট ও কারওয়ান বাজার স্টেশনের সাব-স্ট্রাকচার নির্মাণ কাজ অব্যাহত রয়েছে। মোট ১১৫টি স্টেশন কলামের মধ্যে ৬৭টি স্টেশন কলাম নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। মোট ৬টি পোর্টাল বিমের মধ্যে ৪টি নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। দুটি স্পেশাল লং স্প্যানের মধ্যে একটির কাজ অব্যাহত আছে। মোট ১ হাজার ৪৮টি প্রিকাস্ট সেগমেন্টের মধ্যে ৪৩৫টি সেগমেন্ট সম্পন্ন হয়েছে এবং ৩ হাজার ২৩৪টি প্যারাপেট ওয়ালের মধ্যে ৩১৯টি প্যারাপেট ওয়াল সম্পন্ন হয়েছে। উত্তরা ডিপো এলাকায় নির্মাণাধীন মেট্রো রেল এক্সিবিশন অ্যান্ড ইনফরমেশন সেন্টারের পূর্ত কাজের অগ্রগতি ৯৮ শতাংশ। ৩ দশমিক ১৯৫ কিলোমিটার ডায়াডাক্টের মধ্যে ৩৯০ মিটার ভায়াডাক্ট দৃশ্যমান হয়েছে। এ প্যাকেজের সার্বিক বাস্তব অগ্রগতি ৫৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
প্যাকেজ ছয়
ছয় নম্বর প্যাকেজের আওতায় কারওয়ান বাজার থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ৪ দশমিক ৯২২ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট ও চারটি স্টেশন নির্মাণ করা হবে। ২০১৮ সালের ১ আগস্ট এই প্যাকেজের বাস্তব কাজ শুরু হয়েছে। বর্তমানে এ অংশে পরিষেবা স্থানান্তর, চেকবোরিং, ট্রায়াল ট্রেঞ্চ, টেস্ট পাইল ও স্থায়ী বোর্ড পাইল সম্পন্ন হয়েছে। ১৬০টি পিয়ার কলামের মধ্যে ১৪৮টি পিয়ার কলাম সম্পন্ন হয়েছে। মোট ২৯৮টি পাইল ক্যাম্পের মধ্যে ১৯০টি পাইল ক্যাম্প সম্পন্ন হয়েছে। ১৩৬টি পিয়ার হেডের মধ্যে ১২৬টি পিয়ার হেড সম্পন্ন হয়েছে এবং ১ হাজার ৭৬৪টি প্রিকাস্ট সেগমেন্টের মধ্যে ৯৯৮টি সেগমেন্ট কাস্টিং সম্পন্ন হয়েছে।
মোট ৪ হাজার ৯৪৬টি প্যারাপেট ওয়ালের মধ্যে ৩৩০টি প্যারাপেট ওয়াল সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও মতিঝিল স্টেশনের সাব-স্ট্রাকচার নির্মাণ কাজ অব্যাহত রয়েছে। মোট ১৫৪টি স্টেশন কলামের মধ্যে ৩২টি স্টেশন কলাম সম্পন্ন হয়েছে। মোট ৯টি পোর্টাল বিমের মধ্যে দুটি পোর্টাল বিম নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। ৪ দশমিক ৯২২ কিলোমিটার ভায়াডাক্টের মধ্যে ৪৫০ মিার ভায়াডাক্ট দৃশ্যমান হয়েছে। এই প্যাকেজের বাস্তব অগ্রগতি ৫৬ দশমিক ৮২ শতাংশ।
প্যাকেজ সাত
সাত নম্বর প্যাকেজের আওতায় ইলেক্ট্রনিক্যাল অ্যান্ড মেকানিক্যাল সিস্টেম স্থাপন করা হবে। এই প্যাকেজের কাজ ২০১৮ সালের ১১ জুলাই শুরু হয়েছে টঙ্গী ও মানিকনগর গ্রিড সাব-স্টেশনে বে স্থাপন এবং উত্তরা ডিপোতে রিসিভিং স্টাব-স্টেশনের পূর্ত কাজ সম্পন্ন হয়েছে। উত্তরা ডিপোতে রিসিভিং সাব-স্টেশনের টেস্টিং অ্যান্ড কমিশনিংয়ের কাজ সমাপ্ত হয়েছে এবং সাব-স্টেশনে বিদ্যুতায়নের জন্য প্রধান বৈদ্যুতিক পরিদর্শকের অনুমোদন পাওয়া গেছে।
মতিঝিল রিসিভিং সাব-স্টেশনের ভবন নির্মাণ কাজ চলমান। ডিপো এলাকার ওয়ার্কশপ শেডের অভ্যন্তরে ১১টি রেললাইনের মধ্যে ৬টি লাইল স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। স্ট্যাবলিং শেডের অভ্যন্তরে ১৯টি রেললাইনের মধ্যে ১৪টি রেললাইন স্থাপনের কাজ চলছে। উত্তরা ডিপোর ব্যালাস্টেড রেল ট্রাকের জন্য রেল ওয়েল্ডিংয়ের কাজ সমাপ্ত হয়েছে।
ইতোমধ্যে ডিপোতে ১০ দশমিক ৮০ কিলোমিটার রেললাইন স্থাপন করা হয়েছে। ভায়াডাক্টের উপর মেইন লাইনের ২ হাজার ৬৭৮টি রেল জয়েন্ট ওয়েল্ডিংয়ের মধ্যে ১ হাজার ৪০৪টি সম্পন্ন হয়েছে। ডিপোতে সিগন্যালিং সিস্টেম ইন্সটলেশনের কাজ চলছে। ভায়াডাক্টে ৬ দশমিক ৮০ কিলোমিটার ট্রাক প্লিন্থ কাস্টিং সম্পন্ন হয়েছে এবং তার মধ্যে ৪ দশমিক ২০ কিলোমিটার রেললাইন স্থাপন করা হয়েছে। উত্তরা ডিপোতে অক্সিলারি সাব-স্টেশন (এএসএস) এবং ট্রাকশন সাব-স্টেশনের (টিএসএস) ট্রান্সফর্মার এবং সুইচগিয়ার ইন্সটলেশন ও টেস্টিং কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং সাব-স্টেশন বিদ্যুতায়নের অনুমোদন পাওয়া গেছে।
তিনটি স্টেশনে এএসএস, টিএসএস ট্রান্সফর্মার এবং সুইচগিয়ার ইনস্টলেশন কাজ চলমান। ডিপোর অভ্যন্তরে ওসিএস মাস্ট স্থাপনের কাজ সমাপ্ত হয়েছে এবং ওভারহেড ক্যাটেনারি অয়ার স্থাপন কাজ চলমান। টেস্ট ট্র্যাকে ওভারহেড ক্যাটেনারি অয়ার স্থাপন কাজ সমাপ্ত হয়েছে। ডেসকো সাব-স্টেশন থেকে উত্তরা রিসিভিং সাব-স্টেশন পর্যন্ত ১৩২ কেভি আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল (প্রথম সার্কিট) লেইং এবং ক্যাবল জয়েন্টিংয়ের কাজ সমাপ্ত হয়েছে। উত্তরা রিসিভিং সাব-স্টেশন থেকে পিজিসিবি গ্রিড সাব-স্টেশন পর্যন্ত ১৩২ কেভি আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল (দ্বিতীয় সার্কিট) লেইং এবং ক্যাবল জয়েন্টিংয়ের কাজ চলমান। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে পাওয়ার ট্রান্সফর্মার, অক্সিলারি ট্রান্সফর্মার, সিভিয়ার স্টোরেজ ইত্যাদি মালামাল ডিপোতে এসে পৌঁছেছে। এর ক্রমপুঞ্জিত বাস্তব অগ্রগতি ৫৮ দশমিক ৭০ শতাংশ।
প্যাকেজ আট
আট নম্বর প্যাকেজের আওতায় রোলিং স্টক (রেল কোচ) ও ডিপো ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ করা হবে। এ প্যাকেজের বাস্তব কাজ ২০১৭ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর শুরু হয়েছে। মেট্রো ট্রেনের মক-আপ ২০১৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর উত্তরা ডিপোতে এসে পৌঁছেছে এবং ২০২০ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি উত্তরা ডিপোর মেট্রোরেল এক্সিবিশন অ্যান্ড ইনফরমেশন সেন্টারে স্থাপন করা হয়েছে। ছয়টি যাত্রীবাহী কোচ সংবলিত প্রথম মেট্রো ট্রেন সেটের নির্মাণ ২০২০ সালের এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে, দ্বিতীয় মেট্রো ট্রেন সেটের নির্মাণ ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এবং তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম মেট্রো ট্রেন সেটের নির্মাণ ২০২০ সালের ডিসেম্বরে সম্পন্ন হয়েছে জাপানে।
চলমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে বিশেষ উদ্যোগে থার্ড পার্টি ইন্সপেকশনের মাধ্যমে মেট্রোট্রেন সেট বাংলাদেশে নিয়ে আসা হচ্ছে। মেট্রোট্রেন সেটগুলো বাংলাদেশে পৌঁছনোর পর পর্যায়ক্রমে ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট শুরু করা হবে। ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট শেষ হলে ট্রায়াল রান শুরু করা হবে। এই প্যাকেজের বাস্তব অগ্রগতি ৩৭ শতাংশ।
পিডি/এমএসএইচ/জিকেএস