কেউই জানে না ‘ভাষাসৈনিক তোয়াহা সড়ক’ কোথায়!

আলী ইউনুস হৃদয়
আলী ইউনুস হৃদয় আলী ইউনুস হৃদয়
প্রকাশিত: ০৮:৪৩ এএম, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১

সড়কের প্রবেশমুখেই ‘ভাষাসৈনিক তোয়াহা সড়ক’ লেখা একটি নামফলক। এর পাশেই ইবনে সিনা ফার্মেসি আর বিপরীতে ইবনে সিনা হাসপাতাল। ফলকের সামনের রাস্তায় রিকশাচালকরা যাত্রীদের জন্য অপেক্ষা করছেন। হাসপাতাল গেটের সামনে সিএনজি, মোটরসাইকেলের ভিড়। সেখানে হাতেগোনা পাঁচ থেকে ১০ জন হকারও বসেছেন। পান, বিড়িসহ হালকা নাস্তা তারা বেচাকেনা করছেন। আলাপচারিতার মাঝে তাদের কাছে এ সড়কের নাম জানতে চাইলে বলেন, ‘এটি ধানমন্ডি ৯ এর এ নম্বর সড়ক।’ পরে তাদের কাছে ভাষাসৈনিক তোয়াহা সড়কটি কোথায় জানতে চাইলে আশরাফ আলী নামে একজন বলেন, ‘এই নামে তো ধানমন্ডি এলাকায় সড়ক নেই!’

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, নামফলকের পাশ দিয়ে চলে যাওয়া ফুটপাতে সংস্কারকাজ চলছে। ফলকটিতে লেখা নামের ওপর কালো কালিতে কেউ কিছু লিখেছেন। এতে করে নামফলকটির সৌন্দর্য ম্লান হয়ে গেছে।

পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা রিকশা ও সিএনজিচালকের সঙ্গে জাগো নিউজের এ প্রতিবেদকের কথা হয়। তাদের সড়কের নাম জিজ্ঞেস করতেই বলেন, ‘এটি ধানমন্ডি ৯ এর এ নম্বর সড়ক বা ইবনে সিনা হাসপাতাল সড়ক।’ ফলকটি দেখিয়ে জানতে চাইলাম, এ সড়কের নাম তো ভাষাসৈনিক তোয়াহা সড়ক। তাদের একজন রিকশাচালক আইনাল বলেন, ‘আট বছর ধরে এ রাস্তায় রিকশা চালাই, কোনো দিন কেউ এই নামে ডাকেনি, আমরাও জানি না। একবার একজন এই নামে খোঁজ করেছিলেন, কিন্তু না জানার কারণে আমি সেই যাত্রীকে রিকশায় নিতে পারিনি। আজ আপনার কাছ থেকে এই সড়কের নতুন নামটি শুনলাম।’

jagonews24

এই সড়কের বাসিন্দা এক নারীর সঙ্গে কথা হয়। এ সড়কের নাম জানতে চাইলেই বলেন, ‘ধানমন্ডি ৯ এর এ নম্বর সড়ক।’ এক ফল ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা তো এ সড়কেই ব্যবসা করি। বছরের পর বছর ধরে এখানে উঠবস। কখনো কাউকে এই নামে ডাকতে শুনিনি। বাজান, নাম তো থাকতেই পারে। তবে আমরা সবাই ধানমন্ডি ৯ এর এ নম্বর সড়ক নামেই চিনি।’

ইবনে সিনা হাসপাতালের সামনের ফুটপাতে বসে থাকা এক হকার বলেন, এ সড়ক তো হাসপাতালের নামেই মানুষ বেশি চেনে। এখন রাস্তা যে যেভাবে চেনে। আমরা এই নাম তো শুনিনি। তবে ভাষাসৈনিকের নামে সড়ক এটা আমাদের জানা উচিত ছিল।’

এওয়াইএইচ/ইএ/এসএইচএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।