জনপ্রিয় হচ্ছে কৃত্রিম পদ্ধতিতে মধু সংগ্রহ


প্রকাশিত: ০৭:৪৪ এএম, ০৯ নভেম্বর ২০১৫

মৌমাছি মৌমাছি, কোথা যাও নাচি নাচি, দাঁড়াও না একবার ভাই। ঐ ফুল ফোটে বনে, যাই মধু আহরণে দাঁড়াবার সময়তো নাই...’ ছোটবেলার সেই কবিতা এখন যেন শুধুই বইয়ের পাতায় ছন্দবদ্ধ। সারিবদ্ধ মৌমাছির ভোঁ-ভোঁ শব্দ বা মৌমাছির চাকে এখন আর দুষ্টু ছেলেদের ঢিল মারার অভিযোগ শোনা যায় না। অবাধে গাছ-পালা কেটে ফেলা এবং জলবায়ু ও আবহাওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে গ্রাম-গঞ্জ থেকে মৌমাছি যেন হারিয়ে যাচ্ছে।

নগরে স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অনেকে জানে না মৌমাছির চাক কি এবং মধু উৎপত্তি হয় কোথায় থেকে। তবে এখন কৃত্রিমভাবে মৌমাছির চাষ করে মধু আহরণের পদ্ধতি ক্রমেই দেশে প্রসার ঘটছে। কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কৃত্রিম পদ্ধতিতে মৌমাছির প্রজনন বৃদ্ধি ও মধু আহরণ করার পদ্ধতি ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়াও বর্তমানে  কুমিল্লার লালমাই পাহাড়ের পরিত্যক্ত ভূমিতে লিচু গাছ রোপণ করে এর ফুল থেকে কৃত্রিম উপায়ে উন্নতজাতের রানী মৌমাছি উৎপাদন ও মধু আহরণের একটি প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে একটি বেসরকারি কোম্পানি।
   
অনুসন্ধানে জানা যায়, ১৬৩৮ খ্রিস্টাব্দে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সর্বপ্রথম পদ্ধতিগতভাবে মৌমাছি চাষ শুরু হয়। এরপর পরবর্তী একশো বছরে মৌচাষের তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য উন্নতি সাধিত হয়নি। ১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দে লরেঞ্জ ল্যাংস্ট্রোথ গবেষণার মাধ্যমে কাঠের তৈরি মৌবাক্স উদ্ভাবন করেন। বিজ্ঞানসম্মত এই মৌবাক্স উদ্ভাবনের জন্য তাকে আধুনিক মৌচাষের জনক বলা হয়।

বাংলাদেশে বিজ্ঞানসম্মত মৌচাষের ইতিহাস খুব বেশি দিনের নয়। কুমিল্লা কোটবাড়িস্থ বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন অ্যাকাডেমির (বার্ড) প্রতিষ্ঠাতা ও আন্তর্জাতিক সমাজ বিজ্ঞানী ড. আকতার হামিদ খানের প্রচেষ্টায় ১৯৬০ সালে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম মৌচাষের সূচনা হয়। এর আগে এদেশে অবৈজ্ঞানিকভাবে বন-জঙ্গল থেকে মধু সংগ্রহ করা হতো।

প্রায় ১০ লক্ষাধিক কীট-পতঙ্গের মধ্যে বিভিন্ন প্রকার মাছির সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার। এর মধ্যে মৌমাছি আছে চার প্রকারের। এগুলো হলো, এপিস ডরসাটা (বাঘা বা উগ্র বা যাযাবর মৌমাছি), এপিস মেলিফেরা (বিদেশি মৌমাছি), এপিস সেরেনা ইন্ডিকা (শান্ত মৌমাছি) ও এপিস ফ্লোরা (ক্ষুদে মৌমাছি)। এদেশে ‘এপিস সেরেনা ইন্ডিকা’ মৌমাছির চাষ করা হয়ে থাকে। তবে ‘এপিস ডরসাটা’ মৌমাছি থেকে সবচেয়ে বেশি মধু পাওয়া গেলেও এরা উগ্র ও যাযাবর প্রকৃতির বলে বাক্সে পালন করা যায় না। এরা বনে-জঙ্গলে, গাছের ডালে, দালানের কার্নিশে কিংবা অন্য কোনো সুবিধামত জায়গায় চাক বাঁধে।

বনে-জঙ্গলে, গাছের ডালে, গাছের কোঠরে, মাটির গর্তে, দালানের ছাঁদের কার্নিশে কিংবা অন্য কোনো সুবিধামতো জায়গায় চাক বাঁধে মৌমাছি। হাজার হাজার মৌমাছিকে তাড়িয়ে সাবধানে মধু সংগ্রহ করতে হয় মৌয়ালদের। মৌমাছি তাড়াতে ধোঁয়াকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়, আর গাছে বা অন্য কোনো স্থানে উঠতে ব্যবহার করা হয় মই জাতীয় কিছু।

Modhu

দড়ি আর লাঠি দিয়ে তৈরি ঝুলন্ত মই বেয়ে ধোঁয়া দিয়ে মৌমাছি তাড়িয়ে মৌচাক ভেঙে মধু ও মোম সংগ্রহটা একেবারে রোমাঞ্চকর। মৌমাছির হুল সহ্য করে সংগ্রহ করা মধু পানে প্রাণ জুড়িয়ে যায়। কথা হয় রফিকুল ইসলাম (৪৫) ও আবদুল কাদের (৫৫) নামের একজন মৌয়ালের সঙ্গে। তারা জানান, মৌয়ালরা বড় গাছের সুউচ্চ ডাল বা দুর্গম স্থান থেকে সাবধানে নিচের দিকে আগে মই ফেলে দেন। সেই মই বেয়ে একজন উপরে উঠেন। এরপর ধোঁয়া দিয়ে মৌমাছি তাড়িয়ে দুটি লাঠির সহায়তায় একটি চাটাইয়ে মৌচাক বসিয়ে তা নিচে নামিয়ে দেওয়া হয়। নিচে থাকা সহযোগীরা সতর্কতার সঙ্গে মৌচাকের চাটাই নামিয়ে নেন। সহজে বর্ণনা করা গেলেও মৌচাক সংগ্রহ পদ্ধতি প্রত্যক্ষ করলে যে কারো গা শিরশির করবে। তবে এই দুঃসাহসিক মধু সংগ্রহ প্রক্রিয়া গ্রাম বাংলা থেকে ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে।

কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার চাঁন্দপুর গ্রামের মৌ চাষি মো. নিজাম উদ্দিন জাগো নিউজকে জানান, তিনি ২০০০ সালে একটি মৌবাক্স দিয়ে মৌমাছির চাষ শুরু করেন। বর্তমানে তার পাঁচটি বাক্স রয়েছে। তিনি মৌচাষের প্রশিক্ষকের দায়িত্বও পালন করেছেন। একাধিক মৌচাষির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দিন যত যাচ্ছে তাদের (মৌয়াল) এ জীবিকা নির্বাহের ধরনেও আসছে পরিবর্তন। জলবায়ুর পরিবর্তনে মৌমাছি কমে যাচ্ছে, আগের মতো মৌচাকও তেমন আর হয় না। এছাড়া দেশি মাছি প্রায় বিলুপ্ত হতে চলেছে।

তবে সরকারিভাবে অফিসিয়াল সাপোর্ট পাওয়া গেলে ভূমিহীন কৃষক থেকে শুরু করে যে কোনো কৃষক বা নারীরাও কৃত্রিম পরিবেশে মৌমাছি পালনের মাধ্যমে অনায়াসে বাড়তি আয়ের ব্যবস্থা করতে পারেন। এ কাজ খুব কম পুঁজিতে ও সহজে করা সম্ভব। ভালো ব্যবস্থাপনায় বসত বাড়ির ভিটায় অথবা ঘরের খোলা বারান্দায় সুবিধামতো স্বল্প পরিসরের নির্জন জায়গায় কম পরিশ্রমে চাষ করে একটি মৌবাক্সের মৌচাক থেকে বছরে ১০/১২ কেজি মধু সংগ্রহ করা যায়। যার দাম কম করে হলেও ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা। এক্ষেত্রে সামাজিকভাবে দরিদ্র, ভূমিহীন, প্রান্তিক চাষি ও নারীদের উদ্বুদ্ধকরণসহ আগ্রহী চাষিদের সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা করা গেলে তারা স্বাবলম্বী হওয়ার পথ খুঁজে পাবেন।

সিরাজগঞ্জের বাবুল মিয়া ও শহিদুল ইসলাম নামের দুই ভাই পেশায় তারা মৌচাষি। তাদের রয়েছে মৌচাষের জন্য কয়েকশ বাক্স। তাই মৌমাছির চাষ করে মধু আহরণের জন্য খোঁজ-খবর জেনে বাক্স নিয়ে ঘুরে বেড়ান দেশের বিভিন্ন এলাকায়। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে মধু আহরণে তারা চলে আসেন শাপলা ও ধৈঞ্চা ফুলসমৃদ্ধ কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার জলাশয় ঘেরা কোনো না কোনো এলাকায়।

এবার গত আগস্ট-সেপ্টেম্বরে তারা আসেন ওই উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের টামটা গ্রামে। এখানে তারা সারি সারি বাক্স সাজিয়ে মৌমাছির চাষ করে মধু সংগ্রহের পর বাজারজাত করেন। তাদের এ প্রচেষ্টা দেখে অন্যরাও এ কাজে উৎসাহিত হয়েছেন। তারা বলেন, বর্ষা মৌসুমে সিরাজগঞ্জে মধু আহরণের মতো পর্যাপ্ত তেমন ফুল থাকে না। তাই যাতায়াতসহ সব দিক থেকে সুবিধাজনক দাউদকান্দি উপজেলার এলাকায় চলে আসি মৌমাছির প্রজনন বৃদ্ধি ও মধু আহরণ করার জন্য।

মৌচাষি বাবুল মিয়া বলেন, দাউদকান্দি উপজেলার নিম্নাঞ্চলীয় এলাকায় বর্ষা মৌসুমে বিভিন্ন জলাশয়ে প্রচুর পরিমাণ শাপলা, ধৈঞ্চা ও বিভিন্ন প্রজাতির ফুল ফুটে। এখানে মৌমাছির প্রজনন ভালো হয় এবং কাঙ্খিত মধু আহরণ করা যায়। অন্যান্য বছর ৪শ থেকে ৫শটি মৌমাছির বাক্স নিয়ে আসতাম। কিন্তু এ বছর বৃষ্টির পরিমাণ অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি হওয়ায় মৌচাষ তেমন নাও হতে পারে এমন আশঙ্কায় আড়াইশ বাক্স নিয়ে এ এলাকায় এসেছি, তবে আশানুরূপ মধু পাওয়া গেছে। শীতকাল প্রায় সমাগত। তাই কিছুদিনের মধ্যে সরিষা চাষ শুরু হবে। এর আগেই বাক্স ভর্তি মৌমাছি নিয়ে তারা এরই মধ্যে সিরাজগঞ্জের নিজ এলাকায় চলে গিয়েছেন।  

মৌমাছির প্রজনন বৃদ্ধি ও মধু আহরণ করতে কুমিল্লার লালমাই পাহাড়ে পরিত্যক্ত ভূমিতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন দেশের অন্যতম প্রাচীন আয়ুবের্দীয় কোম্পানি এপি (ঢাকা) লি.। এ প্রতিষ্ঠানটি সুদীর্ঘ বছর ধরে সুন্দরবনসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের মৌ-চাষিদের কাছ থেকে মধু সংগ্রহ করে বোতলজাত করে দেশ-বিদেশে বিপণন করে আসছে। তাই এবার নিজস্ব উদ্যোগে রানী মৌ-মাছির প্রজনন বৃদ্ধি ও মধু আহরণ করার জন্য লালমাই পাহাড়ে গত দুই বছর আগে ৬শ লিচু গাছের চারা রোপণ করেছে। ২০১৭-১৮ সালের মধ্যে লিচু গাছে যে ফুল ধরবে ওই ফুল থেকেই মৌ-চাষের মাধ্যম মধু সংগ্রহ করা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

Modhu

এ বিষয়ে ওই প্রকল্পের পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবদুল বাতেন জাগাে নিউজকে জানান, লিচু গাছের ফুল কাজে লাগিয়ে বিশেষ প্রক্রিয়ায় রানী-মৌমাছির প্রজনন বৃদ্ধি ও মধু আহরণ করার একটি উৎকৃষ্ট পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে মধু সংগ্রহ করতে আরও অন্তত ২/৩ বছর লাগবে। এপি (ঢাকা) লি. চেয়ারম্যান ও কুমিল্লার দেবিদ্বারের সাবেক সংসদ সদস্য এএফএম ফখরুল ইসলাম মুন্সী জাগো নিউজকে জানান, দেশ-বিদেশে মধুর বেশ চাহিদা থাকলেও প্রাকৃতিক উপায়ে প্রাপ্ত মধু দিয়ে দেশের চাহিদার সিকিভাগও অর্জন করা সম্ভব নয়। তাই কৃত্রিম উপায়ে মৌমাছি লালন-পালন এবং মধু সংগ্রহ করার বিষয়ে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোক্তারা এগিয়ে এলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও মধু রফতানি করা সম্ভব।

চিকিৎসকদের মতে, খাঁটি মধু অনেক রোগের মহৌষধ। এদেশের শস্য শ্যামল মাটিতে রয়েছে মৌচাষের উপযোগী পর্যাপ্ত বৃক্ষরাজি, রবিশস্য, শাক-সবজি ও ফুলের বাগান। ফুলে ফুলে পুষ্পরস এবং পরাগরেণুর অন্বেষায় ঝাঁক বেঁধে ঘুরে বেড়ায় মৌমাছি। সংগ্রহ করে মধু। দেশের বিশাল এ উৎস থেকে বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে মৌচাষের মাধ্যমে প্রচুর মধু উৎপাদনের পাশাপাশি ফুলের সফল পরাগায়ন ঘটিয়ে কৃষিজাত শস্য এবং ফলের উৎপাদন ও গুণগতমান উন্নয়ন সম্ভব। এদেশের অর্থনীতি ও পরিবেশের উন্নয়নে মৌচাষ অন্যান্য ভূমিকা রাখতে পারে। দরিদ্র, ভূমিহীন, প্রান্তিক চাষিদের আয় বৃদ্ধি ও স্বকর্ম সংস্থানের লক্ষ্যে মৌচাষ স্বল্প পুঁজিতে অধিক মুনাফা লাভের অন্যতম সফল একটি কর্মসূচি হতে পারে।

এক গবেষণা তথ্যে জানা গেছে, ‘কীটনাশকের কারণে বিশ্বে মৌমাছির সংখ্যা দ্রুত কমছে। ফলে হুমকির মুখে পড়তে যাচ্ছে আগামী দিনের কৃষি উৎপাদন। কীটনাশকের কারণে মৌমাছির মড়ক কৃষির জন্য অশনিসঙ্কেত। কারণ বিশ্বজুড়ে ৩০ শতাংশ উদ্ভিদের পরাগায়ন ঘটায় মৌমাছি। এছাড়াও মধুর রয়েছে প্রচুর খাদ্যগুণ।

আজকাল বিভিন্ন খাদ্য তৈরীতেও মধু ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া মৌচাকের মোম মোমবাতি তৈরীর উপকরণ, প্রসাধন সামগ্রী, ওষুধ শিল্পে ওষুধের ক্যাপসুলসহ বিভিন্ন কাজে, কার্বন পেপার তৈরিতে, পরীক্ষাগারে ডিসেকটিং ট্রে তৈরিতে, বৈদ্যুতিক তার সংযোগ ও বিভিন্ন যন্ত্রপাতি তৈরিতে, চামড়া-জুতা ও কাঠ শিল্পে, বস্ত্র শিল্পে এবং আসবাবপত্রের রং ও পলিশের কাজসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিবেশ ও কৃষিবিদ অধ্যাপক মতিন সৈকত জাগো নিউজকে জানান, আমরা নিজেরাই মৌমাছির বসবাসের স্থান ও প্রজনন ক্ষেত্র নষ্ট করে ফেলছি। এতে কৃষি ও পরিবেশের ভারসাম্য চরমভাবে বিঘ্নিত হওয়ার পাশাপাশি মানুষের জন্য অতিপ্রয়োজনীয় একটি পুষ্টিকর খাদ্য উৎপাদনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, দেশে বর্তমানে ব্যক্তি পর্যায়ে ও বেসরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মৌ-চাষে এগিয়ে আসছে, তাই এক্ষেত্রে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা এবং প্রশিক্ষণ পেলে এ পেশায় আরো অনেকেই এগিয়ে আসবেন।

এমজেড/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।