গাইবান্ধার কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে স্বাস্থ্যসেবায় আশার আলো


প্রকাশিত: ০৫:৫৯ এএম, ০৯ নভেম্বর ২০১৫

পলাশবাড়ি উপজেলার হরিনাথপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের কথা সকলে একটু আলাদা করেই বলেন। সেখানকার  হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইসসিপি) নীলুফা সুলতানা যোগ্যতা ও কর্মনিষ্ঠা দিয়ে স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে এক উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

তিনি প্রতিদিন অন্তত ১শ রোগী দেখেন। শিশু রোগীর সংখ্যাও পঞ্চাশের কম নয়। বাংলা সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স করা এই সিএইসসিপি ধাত্রী বিদ্যায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। তার পুরো ক্লিনিক ও সংলগ্ন এলাকা তিনি সাজিয়েছেন দেয়াল লিখন, ছবি আর ডিসপ্লে বোর্ড দিয়ে। কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা নিয়ে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ সংযোগ গ্রহণ করেছেন। প্রাপ্ত ওষুধের তালিকা, সেবাদানের বিষয় ও বাৎসরিক কর্ম পরিকল্পনা তার ডিসপ্লে বোর্ডে তোলা আছে।

পলাশবাড়ির সমাজসেবী অমলেশ মালাকার জাগো নিউজকে জানান, তার কর্মকাণ্ড দেখতে দেশি বিদেশি নারী-পুরুষ সেখানে আসেন। নির্দিষ্ট সময়সীমার বাইরে তিনি রাতেও ঘুরে ঘুরে মানুষকে সেবা দেন। এই কাজটিকে তিনি ব্রত হিসেবে নিয়েছেন। গভীর রাতে কারো প্রসব বেদনার খবর পেলে ছুটে যান সেখানে। বিনা অর্থে এ জাতীয় কাজ খুব কম মানুষই করেন।

এ বিষয়ে নীলুফা জাগো নিউজকে জানালেন, বেতন কম পাই। কিন্তু মানুষকে সেবা দিয়ে যে ভালোবাসা পাই তার তুলনা আর্থিক মূল্যে মাপা যাবে না।

স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষও নীলুফার যোগ্যতার কথা স্বীকার করেন। এক কর্মকর্তা জানালেন, অলরাউন্ড পারফরমেন্সের জন্য তার এই খ্যাতি। কমিউনিটি ক্লিনিকের আদর্শ আর নীলুফার কর্ম একসূত্রে গাঁথা।   

GAIBANDHA

গাইবান্ধা সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের জগৎরায় গোপালপুর কমিউনিটি ক্লিনিক। সকাল ৯টায় পৌঁছে দেখা গেলো হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইসসিপি) মাহবুবুর রহমান পৌঁছনোর আগেই বাইরে দুই শিশু সন্তানের হাত ধরে দাঁড়িয়ে আছেন গৃহবধু রোজিনা বেগম ও ছালেহা আক্তার। কথা হলো তাদের সঙ্গে।

রোজিনা বেগম বললেন, এই ইউনিয়নে বালুয়া হাসপাতাল নামে বড় একটা হাসপাতাল আছে। আগে সকলে সেখানেই ছুটতেন। কিন্তু কমিউনিটি ক্লিনিক চালু হওয়ার পর জর, সর্দি, কাশি, পেটের পীড়ার জন্য সবাই এখানেই আসেন। আমাদের ‘ডাক্তার’ (প্রোভাইডার) খুব যত্ন করে রোগী দেখেন। কম-বেশী ওষুধও পাওয়া যায়। আমরা তাতেই খুশি।

কথা বলতে দেখে পথচলা থামিয়ে সমাজসেবী আনোয়ারুল ইসলাম এসে বললেন, হেলথ প্রোভাইডার তার সাধ্যমতো কাজ করেন। সপ্তাহে একদিন হলেও একজন পুরো ডাক্তার এখানে বসলে মানুষের উপকার হতো। অবকাঠামো আর একটু উন্নত হলে এবং ওষুধপত্র পর্যাপ্ত দেয়া গেলে সরকারের এই ভালো উদ্যোগটি হতদরিদ্র মানুষের আরও বেশি কাজে আসবে।

হেলথ প্রোভাইডার মো. মাহবুবুর রহমান এলাকার ছেলে। তিনি এসে চেম্বারে বসতেই রোগীরা একজন দুইজন করে আসতে শুরু করলেন। মাহবুব জানালেন, তারা তিনজন এই ক্লিনিককে কেন্দ্র করে কাজ করেন। একজন হেলথ অ্যাসিসটেন্ট শিশুদের টিকা দেয়ার এবং পরিবার কল্যাণ সহকারী পরিবার পরিকল্পনা বিষয় নিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে কাজ করেন। তিনি নিজে সপ্তাহে ছয়দিন কেন্দ্রে বসেন। অন্যরা মাঠ পর্যায়ে ব্যস্ত থাকলেও তিনদিন ক্লিনিকে বসেন।

তিনি হাসি মুখে জানালেন, গত মাসে ১১শ রোগীর চিকিৎসা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮২ জন শিশু। এদের বেশির ভাগই হতদরিদ্র ও গরিব পরিবার থেকে আসা। এই ইউনিয়নের ভগবানপুর, পার্বতীপুর, ভাটপাড়া, হরিনসিংহা, তরফকাল, জগৎরায়, পোল­াখাদা গ্রামের গরীব মানুষরাই ক্লিনিকে আসেন। সেবার পাশাপাশি বিনামূল্যে দেয়া হয় সরকারি ওষুধও।

GAIBANDHA

কমিউনিটি ক্লিনিক সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা বাবু ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ক্লিনিকের কর্মীরা আন্তরিক হলেও এলাকাবাসীর পক্ষে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েও বাথরুম ও পানীয় জলের সমস্যা সমাধান করা যায়নি। আসবাবপত্র সঙ্কট ও বিদ্যুতের বৈধ সংযোগ না থাকায় সংশ্লিষ্টদের বিপাকে পড়তে হয়। অনেক সময় ওষুধপত্র পর্যাপ্ত নয়। প্রতি দুই মাসে একটি করে কিটবক্স দেয়া হয়। তাতে ৩০ আইটেমের ওষুধ থাকে। কিন্তু রোগীর সংখ্যা অনুযায়ী ৪৫ দিনেই অন্তত ২টি কিটবক্স প্রয়োজন। প্যাথলোজিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষা ব্যবস্থা না থাকায় দরিদ্র মানুষরা সমস্যায় পড়েন। তাছাড়া উপ-সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হঠাৎ করে কিছুক্ষণের জন্য শুধু পরিদর্শনে আসেন। তিনি সপ্তাহে একদিন বসে রোগী দেখলেও মানুষ উপকৃত হয়।

রামচন্দ্রপুর ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম জানান, তার ইউনিয়নে জগৎরায় গোপালপুর ছাড়াও সোনার পাড়, বড়দূর্গাপুর, গড়দিঘি কমিউনিটি ক্লিনিক কাজ করছেন। তার মতে, এগুলো ভালোভাবে চালাতে হলে নিবিড় মনিটরিং প্রয়োজন। ডাক্তারের উপস্থিতি নিশ্চিত করা গেলে ভালো হয়। তাছাড়া চাহিদার তুলনায় ওষুধের সরবরাহ কম। ফলে গরিব রোগীরা বিপাকে পড়েন।   

জগৎরায় গোপালপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের মতো সদর উপজেলার ৪৯টি ক্লিনিকেই একই ধরনের সেবা দেয়া হলেও অনেক ক্লিনিকের দায়িত্ব প্রাপ্তদের বিরুদ্ধে অনুপস্থিতিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। ইতোমধ্যে বাদিয়াখালীর চকবরুল ও দক্ষিণ গিদারী কমিউনিটি ক্লিনিকের দায়িত্বপ্রাপ্তদের শোকজ করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ সূত্রেই এ তথ্য জানা গেছে।

সিভিল সার্জন অফিস জানায়, জেলায় ২৯৭টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। গ্রামীণ জনপদের দরিদ্র মানুষদের স্বাস্থসেবা নিশ্চিত করতে ১৯৯৮ সালে এগুলো প্রতিষ্ঠা করা হয়। মাঝে কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সাল থেকে আবারও সেবাদান শুরু হয়। গ্রামের হতদরিদ্র জনগণের স্বাস্থ্যসেবার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিকে সপ্তাহে ছয় দিন বসেন একজন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার, তিন দিন বসেন স্বাস্থ্য সহকারী (এইচএ) ও তিন দিন করে বসেন পরিবার কল্যাণ সহকারী। এসব ক্লিনিকে ছুটির দিন ব্যতীত সকাল ৯টা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত সেবা দেয়া হয়। স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা ছাড়া ও ইপিআই কর্মসূচির সকল কার্যক্রম এসব কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে বাস্তবায়ন করা হয়।

সূত্রটি জানায়, ছয় হাজার মানুষের জন্য একটি করে ক্লিনিক। সরকারিভাবে ওষুধ সরবরাহ করা হয়। একটি কিটে ৩০ ধরনের ওষুধ দুই মাসের জন্য নির্ধারণ করা থাকে। প্রতিমাসে প্যারাসিটামল ট্যাবলেট ১৫০০ পিস, এন্টাসিড ১২৫০ পিস, হিস্টাসিন ৫০০ পিস, এ্যামক্সসিলিন ২৫০ পিস, কট্রিম ৫০ পিমস, প্যারাসিটামল সিরাপ ২৪ পিস, মলম ৫০০ গ্রাম এবং চোখের ড্রপ ১০পিস। সাধারণত জ্বর, সর্দি, কাশি ও এলার্জি রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসায় এগুলো ব্যবহার করা হয়। এসব রোগের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ সিপলোসিন বেশি লাগে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক হেলথ প্রোভাইডার জানান, এ ওষুধে মানুষের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয় না। তবে রোগীদের ভাষ্য, এইটুকু ওষুধ থেকেও প্রভাবশালীরা ভাগ বসান। তাই বঞ্চিত হন হতদরিদ্র মানুষ।

এদিকে হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সপ্তাহে ছয় দিন শ্রম দিয়ে তারা বেতন পান ১০ হাজার ৫০ টাকা। অন্য দুই কর্মীর বেতন রাজস্ব খাত থেকে হলেও হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারদের চাকরি প্রকল্পভুক্ত। তাই বেতনের জন্য কখনো কখনো দুই থেকে চার মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। এই সামান্য বেতনে তাদের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়।

GAIBANDHA

তাদের দাবি, ডাক্তার, স্বাস্থ্য সহকারী, পরিবার কল্যাণ সহকারীদের নিয়মমাফিক ক্লিনিকে আসার কথা থাকলেও তারা তা করেন না। প্রায় সব কাজেই তাদের করতে হয়। চাকরিটি রাজস্বখাতে নেয়া হলে তারা আরও বাড়তি শ্রম দিতে রাজি। তারা বলেন, প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলে একটি ট্রাস্টের মাধ্যমে কমিউনিটি ক্লিনিক চালানোর একটি প্রস্তাবনার কথা তারা শুনেছেন। এতে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। দীর্ঘদিন ধরে তারা কাজ করছেন, সেবা দিচ্ছেন। এই বিবেচনায তাদের রাজস্ব খাতে নেয়া হোক।

সদর উপজেলাসহ অন্য উপজেলাগুলোতে অল্পকিছু ত্রুটি বিচ্যুতি নিয়ে কমিউনিটি ক্লিনিক কাজ চালিয়ে গেলেও ব্যতিক্রম ফুলছড়ি উপজেলা। অব্যাহত নদী ভাঙনের ফলে ছিন্নমূল মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে নদীবেষ্টিত চরাঞ্চলে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে জনগণের স্বাস্থ্যাসেবা কার্যক্রম ভেঙে পড়েছে। এছাড়া ওষুধ সঙ্কটে পড়ে চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোর সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা।

ওইসব এলাকার মানুষের অভিযোগ, ইদানিং খুবই অল্প সময়ের জন্য কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো খোলে, তাড়াতাড়ি বন্ধ হয়ে যায়। এভাবে যেনতেনভাবে চলছে সেগুলো। আবার যেটুকু সময় খুলছে তাও সেবাদানকারীরা ক্লিনিকে থাকেন না। যার ফলে স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন না জনগণ। অথচ স্বাস্থ্যসেবা সাধারণ মানুষের নাগালে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে ইউনিয়ন পর্যায়ে ছয় হাজার লোকের জন্য একটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করে সরকার।

ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের সমিতিরবাজার কমিউনিটি ক্লিনিক, কৈতিরহাট কমিউনিটি ক্লিনিক, হোসেনপুর কমিউনিটি ক্লিনিক, চন্দিয়া কমিউনিটি ক্লিনিক, উদাখালী ইউনিয়নের বোচারবাজার কমিউনিটি ক্লিনিক, কাঠুর কমিউনিটি ক্লিনিক, উড়িয়া ইউনিয়নের মশামারি কমিউনিটি ক্লিনিক, গজারিয়া ইউনিয়নের বাউশি কমিউনিটি ক্লিনিক, গলনা কমিউনিটি ক্লিনিক, কাতলামারী কমিউনিটি ক্লিনিক, ফুলছড়ি ইউনিয়নের টেংরাকান্দি কমিউনিটি ক্লিনিক, দেলুয়াবাড়ি কমিউনিটি ক্লিনিক, ফজলুপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ খাটিয়ামারি কমিউনিটি ক্লিনিক, পশ্চিম খাটিয়ামারি কমিউনিটি ক্লিনিক, উজানডাঙ্গা কমিউনিটি ক্লিনিক এবং এরেন্ডাবাড়ি ইউনিয়নের জিগাবাড়ি কমিউনিটি ক্লিনিক, ডাকাতিরচর কমিউনিটি ক্লিনিক, হরিচন্ডীসহ মোট ১৮টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। ক্লিনিকগুলো সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত খোলা থাকার কথা থাকলেও বেশির ভাগ ক্লিনিক বন্ধ হয়ে যায় দুপুরের আগেই। এদিকে  জ্বর, মাথাব্যাথা ও ডায়রিয়াসহ বিনামূল্যে ৩০টি রোগের ওষুধ সরবরাহ করার কথা থাকলেও দুই-একটি ক্লিনিক বাদে বেশিরভাগ ক্লিনিক থেকে দেয়া হচ্ছে মাত্র ছয়-সাতটি রোগের ওষুধ।

তবে ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের বাউশি কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে সময় এবং নিয়ম মেনে কাজ করছেন কর্মীরা। হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার শিল্পী রাণী বলেন, আমরা সবাই নিয়মিত ক্লিনিকে আসি। এখানে বাচ্চাদের সর্দি-কাশিসহ বিভিন্ন রোগ ও নারীদের নানা সমস্যার চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ ক্লিনিকে নরমাল ডেলিভারি করাও শুরু হয়েছে। কিন্তু পর্যাপ্ত সরঞ্জামাদি না থাকায় নানা রকম সমস্যা হচ্ছে।

বাউশি গ্রামের কাচভান বেগম (৩৫) জাগো নিউজকে জানান, এই আপাটা সকালে এসে  ক্লিনিক খোলেন। সবাইকে যত্ন করে ওষুধ দেন। বড় হাসপাতালে যেতে টাকা লাগে। এই ক্লিনিকই আমাদের ভরসা। আমি প্রায়ই শরীরের নানা সমস্যা নিয়ে এই আাপার কাছে আসি।

উপ-সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তাদের  চিকিৎসা দেয় কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, তার সঙ্গে কখনো দেখা হয়নি। ছোট আপারাই তাদের চিকিৎসা দেন।

উপজেলা সদর থেকে সবচেয়ে দূরত্বে অবস্থিত এরেন্ডাবাড়ি ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন মণ্ডল জাগো নিউজকে জানালেন, কমিউনিটি ক্লিনিক বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। চরাঞ্চলের গ্রামগুলোর স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা একেবারেই নাজুক। সেজন্য স্বাস্থ্য বিভাগের নজরদারি বাড়ানো দরকার। তাহলেই হতদরিদ্ররা চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হবনে না।

গাইবান্ধার সিভিল সার্জন নির্মলেন্দু চৌধুরী বললেন, চরাঞ্চলে কমিউনিটি ক্লিনিকের দায়িত্বপ্রাপ্তদের কাজে শৈথিল্যের বিষয় খতিয়ে দেখা হবে। তবে কমিউনিটি ক্লিনিকের সামগ্রিক কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করতেই হয়। বর্তমান সরকার স্বাস্থ্যসেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় নিয়ে যাওয়ার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রমকে গতিশীল করেছেন।

গাইবান্ধা জেলায় সুন্দরগঞ্জের মণ্ডলের হাট, ফুলছড়ির বুড়াইল বোঁচারবাজার, সদরের চাপাদহ, গোবিন্দগঞ্জের বোগদহ, সাদুল্যাপুরের বনগ্রাম, সাঘাটার সিংড়িয়া কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে মডেল ক্লিনিক ঘোষণা করে সেখানে চিকিৎসার পাশাপাশি নরমাল ডেলিভারির ব্যবস্থা করা হযেছে।   

ওষুধ সঙ্কটের বিষয়ে তিনি জানান, এটি সরকারের বিষয়। সরকার যে পরিমাণ বরাদ্দ দেয় কমিউনিটি ক্লিনিকে তা সরবরাহ করা হয়।

এমজেড/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।

আরও পড়ুন