ভোট গ্রহণের সহজ ফর্মুলা খুঁজছে স্বাচিপ


প্রকাশিত: ০১:৩৬ পিএম, ০৮ নভেম্বর ২০১৫

স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) আসন্ন নির্বাচনে ভোট গ্রহণের সহজ ফর্মুলা খুঁজছে নির্বাচন কমিশন। ভোটার সংখ্যা ছয়গুণেরও বেশি হওয়ায় নির্বাচন কমিশন বিকল্প পদ্ধতি খুঁজছে বলে জানা গেছে।

এদিকে, সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ আদৌ সম্পন্ন করা সম্ভব কি-না তা নিয়ে সভাপতি মহাসচিব পদপ্রত্যাশী নেতা-কর্মীদের মধ্যে তুমুল বির্তকের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, সর্বশেষ ২০০৩ সালের স্বাচিপের তৃতীয় জাতীয় সম্মেলন তথা নির্বাচনের সময় সর্বসাকুল্যে ভোটারের সংখ্যা ছিল মাত্র ২২শ’। বর্তমানে তা ছড়িয়ে গেছে ১৩ হাজারে।
 
জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে সভাপতি পদ প্রত্যাশী ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের অনুসারী নেতা-কর্মীরা বলেন, নেতৃত্ব নির্বাচনের দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপরই ছেড়ে দেয়া উচিত। তাদের মতে বর্তমানে স্বাচিপের সদস্য ও ভোটার তালিকা ক্রুটিপূর্ণ। স্বাচিপ পরিচয়ে ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাসী সদস্য বনে গেছেন। সরাসরি ভোট গ্রহণ করা হলে সঠিক নেতৃত্ব নির্বাচিত হওয়া দুরুহ হয়ে পড়বে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শীর্ষ স্বাচিপ নেতাদের মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি ও সংঘর্ষের মতো ঘটনাও ঘটতে পারে।
 
তারা আরও বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হতে হলে সারাদেশ থেকে প্রথমে স্বাচিপের পরিক্ষীত নেতাদের মধ্যে থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত করে তাদের ভোটে নির্বাচন হলে তবেই সঠিক নেতা বাছাই করা সম্ভব হবে। সরাসরি ভোটে নির্বাচন হলে তা প্রহসনের নির্বাচন হবে।

অপরদিকে আরেক সভাপতি পদ প্রত্যাশী ডা. ইকবাল আর্সলানের অনুসারীরা বলছেন, সরাসরি নির্বাচন হলে পরাজয় নিশ্চিত জেনে ডা. জালালের অনুসারীরা নানা প্রপাগান্ডা চালানো হচ্ছে। তারা জানান, সম্প্রতি স্বাচিপের শীর্ষ নেতাদের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করে স্বাচিপের সদস্য সংখ্যা চূড়ান্ত হয়েছে। ফলে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে লাভ নেই বলে মন্তব্য করেন তারা।

জানা যায়, শনিবার রাজধানীর তোপখানা রোডের বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) ভবনে স্বাচিপের কেন্দ্রীয় কমিটি ও জেলা পর্যায়ের নেতা ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির অংশগ্রহণে দুপুর ১২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত টানা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া একাধিক বৈঠকে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাচিপের আসন্ন সম্মেলনে মহাসচিব ও কোষাধক্ষ্যের রিপোর্ট, সংবিধান সংশোধনসহ সম্মেলন সফল করার আলোচনার পাশাপাশি নির্বাচন নিয়ে কথা হয়। নেতাদের এক পক্ষ সরাসরি নির্বাচন ও অপর পক্ষ সিলেকশনের পক্ষে মত দেন। তবে দুই পক্ষই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে চাইবেন সেটাই মেনে নেবেন বলে একমত হন।
 
এদিকে ডা. সি এম দেলওয়ার রানাকে চেয়ারম্যান ও ডা. মোসাদ্দেক আহমেদকে সদস্যসচিব করে গঠিত নির্বাচন কমিশন কমিটি আসন্ন সম্মেলনে নির্বাচন পরিচালনার লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরু করেছেন বলে জানা গেছে।

শনিবার রাতে জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, তারা স্বাচিপের নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। তবে কী প্রক্রিয়ায় ভোটগ্রহণ করবেন তা আগামী ২/৩ দিনের মধ্যে নির্ধারণ করা হবে।
 
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বর্তমান স্বাচিপ মহাসচিব ও সভাপতি পদপ্রত্যাশী অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচিত করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। সে হিসেবেই নির্বাচন কমিশন ব্যালট পেপারসহ বুথ স্থাপনসহ সার্বিক প্রস্তুতি নেবেন।
 
এদিকে হিসেব করে দেখেছেন সভাপতি ও মহাসচিব এ দুটি পদে ভোট গ্রহণের জন্য সেদিন দেড়শ’টি বুথ স্থাপন করা হলে প্রতি দুই মিনিটে একজন ভোট দিতে পারলে দুই থেকে তিন ঘণ্টার মধ্যেই নির্বাচন শেষ করা সম্ভব হবে। ডা. আর্সলান বলেন, নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুুতি থাকলেও প্রধানমন্ত্রী যদি কাউকে নির্বাচিত করে দেন তিনি তা মেনে নেবেন বলে মন্তব্য করেন।

এমইউ/আরএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।