থিয়েটার হচ্ছে হাতিরঝিলে
রাজধানীর দৃষ্টিনন্দন হাতিরঝিল প্রতিদিন হাজার-হাজার দর্শনার্থীর পদচারণায় মুখরিত হয়। আর ছুটির দিনে তো রীতিমতো বিভিন্ন বয়সী মানুষের ঢল নামে এই ঝিলে। ইট-পাথরের এই যান্ত্রিক নগরীতে একটু প্রশান্তি পেতে দর্শনার্থীরা ভিড় জমান হাতিরঝিলে। কিন্তু নান্দনিক এ স্থান এখনও দর্শন উপযোগী হয়নি।
হাতিরঝিলের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে জাগো নিউজে থাকছে তিন পর্বের ধারাবাহিক প্রতিবেদন। আজ দ্বিতীয় পর্বে হাতিরঝিলের সৌন্দর্য বাড়ানোর কার্যক্রম নিয়ে থাকছে মানিক মিয়াজীর বিশেষ প্রতিবেদন।
সৌন্দর্য প্রেমিদের জন্য হাতিরঝিলকে আরও নান্দনিক করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সরকার। দর্শনার্থীদের জন্য রবীন্দ্র সরোবরের আদলে নির্মাণ করা হচ্ছে থিয়েটার, যেখানে একসঙ্গে প্রায় আড়াই হাজার দর্শক উপভোগ করবে নানা ধরনের অনুষ্ঠান। এখানে ১৫ তলা ফাউন্ডেশন বিশিষ্ট ম্যানেজমেন্ট ইউনিট নির্মাণ করা হবে।
এছাড়াও ঝিলের পানিতে চলবে ওয়াটার ট্যাক্সি। মাঝে মাঝে থাকবে পানির ফোয়ারা। ঝিলের চারপাশে বিনোদন প্রেমীদের যাতায়াত সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সার্কুলার এসি ও নন এসি বাস চালু করা হবে।
বর্ধিত সময়ে প্রকল্পের নিরাপত্তা ও সৌন্দর্য রক্ষার জন্য সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করারও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রকল্প এলাকায় ১০টি পাম্পও নির্মাণ করা হবে।
ঝিলের গুণগত মান ঠিক রাখার জন্য ইউলুপ নির্মাণের কাজ করছে কর্তৃপক্ষ। এ কাজে ৮ দশমিক ৯ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এখানে ১৫তলা ফাউন্ডেশন বিশিষ্ট ম্যানেজমেন্ট ইউনিট নির্মাণ করা হবে। সব কাজ শেষ করতে ডিসেম্বর ২০১৬ সাল পর্যন্ত প্রকল্পের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, প্রকল্পের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য চারটি ঘাস কাটার যন্ত্রও কেনা হবে। লেকে যেন ময়লা না জমে সেজন্য স্পেশাল ডাইভারশন স্ট্রাকচারের (এসএসডিএস) মুখে চারটি মেকানিক্যাল স্ক্রিন স্থাপন করা হবে।
হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রকল্পে ব্যয় হবে ২ হাজার ২৩৬ কোটি টাকা। এর আগে তিনবার প্রকল্পের ব্যয় বাড়ানো হয়েছিল। মূল প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৪৭৩ কোটি টাকা। মূল প্রকল্প থেকে প্রথম সংশোধনীতে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৪৮১ কোটি টাকা। এরপর দ্বিতীয় সংশোধনীতে ব্যয় দাঁড়ায় ১ হাজার ৯৭১ কোটি টাকা। তৃতীয় সংশোধনীতে প্রকল্পের অতিরিক্ত ব্যয় বাড়ে ২৬৬ কোটি টাকা। সর্বশেষ খরচ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২৩৬ কোটি টাকা। এ প্রকল্পটি গড়ে উঠেছে ৩০২ একর জমির ওপর।
হাতিরঝিল প্রকল্পের পরিচালক মো. জামাল আক্তার ভূঁইয়া বলেন, আশা করছি নির্ধারিত সময়েই হাতিরঝিলকে নতুনভাবে দেখতে পাবে নগরবাসী।
এ প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়নে কাজ করছে রাজউক, এলজিইডি, ঢাকা ওয়াসা এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্পেশাল ওয়ার্কস অর্গানাইজেশন।
এএম/একে/আরআইপি