বাণিজ্যে বাধা ‘মমতা’, দ্রুত বন্দর খোলার দাবি ব্যবসায়ীদের
>> রাজ্য সরকারের আপত্তি ও অসহযোগিতায় বন্দর সচল হচ্ছে না
>> বন্দরের কার্যক্রম ২৪ ঘণ্টা সচল চান বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা
>> লোড-আনলোড শেড ও অবকাঠামো সমস্যা দূর করতে হবে
>> খরচ কমাতে ফিরতি ট্রেনে পণ্য পাঠাতে চান রফতানিকারকরা
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত বিশ্ব। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। ‘লকডাউন’ নামক বিধিনিষেধের কারণে আন্তর্জাতিক পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় বাণিজ্যের অংশীদার বাংলাদেশ-ভারতের ব্যবসায়ীরা।
শর্তসাপেক্ষে বাংলাদেশে কিছুটা শিথিলতা আনা হলেও ভারতের চিত্র ভিন্ন। কেন্দ্রীয় সরকার চাইলেও পশ্চিমবঙ্গের বাধায় বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক স্থলবন্দর বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে দেশটি। দিল্লির পক্ষ থেকে ‘কড়া ভাষায়’ চিঠি দিয়েও মমতা ব্যানার্জিকে স্থলবন্দর না খোলার সিদ্ধান্ত থেকে টলানো যায়নি। ফলে তিস্তার পানি ইস্যুতে টানাপোড়েনের পর এবার দু’দেশের বাণিজ্য সম্পর্কেও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।
বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত প্রায় দুই মাসের মতো বাংলাদেশ-ভারতের স্থলবন্দরগুলোর কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে মুখ থুবড়ে পড়ছে আমদানি-রফতানি। মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অর্থনীতি। দু’দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে যেকোনো মূল্যে ভারতের সব স্থলবন্দর খোলা ও পুরোপুরি কার্যকরের দাবি ব্যবসায়ী নেতাদের।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে আগরতলা ছাড়া ভারতের সব স্থলবন্দর বন্ধ রয়েছে। আগরতলা দিয়ে পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করছে, তাও সীমিত পর্যায়ে। প্রতিদিন মাত্র ২৫টি গাড়ি ছাড়া হচ্ছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই নগণ্য। এতে দু’দেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।
ব্যবসায়ী উদ্যোক্তারা বলছেন, বর্তমানে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যের প্রধান অন্তরায় হলো বন্দরগুলো বন্ধ; এগুলো খোলা রাখার ব্যবস্থা করে পুরোপুরি কার্যকর করতে হবে। লোড-আনলোড শেড, গুদামজাতকরণ ইত্যাদির মতো অবকাঠামোগত সুবিধা বাড়াতে হবে। পণ্য রফতানির চালান দ্রুত নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগ দেয়াও জরুরি। পাশাপাশি বিমানবন্দরগুলোর মতো স্থলবন্দরের কার্যক্রম ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা দরকার।
“দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক মুক্তবাণিজ্য চুক্তির (সাফটা) আওতায় বাংলাদেশের বেশির ভাগ পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা পেলেও কিছু কিছু পণ্য রফতানিতে সমস্যা হচ্ছে। এসব সমস্যা সমাধানে দু’দেশের সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে”— বলেন ব্যবসায়ীরা।
এ বিষয়ে ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (আইবিসিসিআই) সহ-সভাপতি এইচএসটিসি লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম. শোয়েব চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, বর্তমানে ভারতের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্যের সবচেয়ে বড় বাধা হলো স্থলবন্দরগুলো বন্ধ রাখা। ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে সরকারসহ সবপক্ষকে জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার স্থলবন্দর খুলে দেয়ার জন্য রাজ্য সরকারগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে। কিন্তু রাজ্য সরকারের নিজস্ব পলিসির কারণে বন্দরগুলো খুলে দেয়া হচ্ছে না। বন্দরগুলো দ্রুত খুলে দেয়ার জন্য আমাদের সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। ভারতের হাইকমিশনারসহ ওই দেশের কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের সঙ্গে উচ্চপর্যায় আলোচনা করতে হবে। এক্ষেত্রে আমাদের পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উচিত হবে এখনই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা।
তিনি আরও বলেন, বেনাপোল-হিলিসহ বিভিন্ন বন্দরে এখন পণ্যবোঝাই ট্রাকের পর ট্রাক লাইন ধরে বসে আছে। পণ্য খালাস করতে পারছে না। এখানে কাঁচামালও আছে। অনেক পণ্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এটি তো একধরনের বিপর্যয়। এ মুহূর্তে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে হলেও পণ্য খালাসের ব্যবস্থা করতে হবে। এতে ক্ষতি কিছুটা কম হবে। ব্যবসার চাকাও সচল থাকবে।
‘আমরা সমস্যায় আছি। এর সমাধান করতে হবে সরকারকে। তাদের কেন্দ্রীয় সরকার বন্দর খুলে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে কিন্তু রাজ্য সরকার খুলছে না। তাদের আপত্তি আর অসহযোগিতার কারণে বন্দর সচল হচ্ছে না। এজন্য আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে তাদের রাজ্য সরকারকে চাপ দিতে হবে’— বলেন এম. শোয়েব চৌধুরী।
পণ্য পরিবহন খরচ কমাতে ট্রেন ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে এই উদ্যোক্তা বলেন, প্রতিদিন ভারত থেকে পেঁয়াজসহ বিভিন্ন পণ্য নিয়ে বাংলাদেশে আসছে কিন্তু ট্রেনগুলো ফিরে যাওয়ার সময় ফাঁকা যাচ্ছে। আমরা যদি রফতানি পণ্যগুলো ওইসব ট্রেনে পাঠাতে পারতাম তাহলে উভয় দেশই উপকৃত হতো। পাশাপাশি আমাদের রফতানি খরচ কমে যেত।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার পণ্য ৮২ দিন ধরে আটকে আছে। আমি টাকা দিয়ে পণ্য কিনেছি। কিন্তু আনতে পারছি না। আমার আমদানির কাগজপত্র এসেছে ২৬ দিন হলো। কিন্তু কাস্টমস খোলা না থাকায় এটি হস্তান্তর হচ্ছে না। চিন্ত করা যায়, কী বিপর্যয়ের মধ্যে আছি আমরা। এভাবে চললে ব্যবসা করব কীভাবে? বন্দরের সমস্যা, সরকারের সমন্বয়হীনতার কারণে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। এসব সমস্যা যত দ্রুত সম্ভব সমাধান করতে হবে। সরকার এগিয়ে না এলে ভয়াবহ বিপদের মধ্যে পড়তে হবে আমাদের।’
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের এক আমদানিকারক জানান, গত দেড় মাসের বেশি সময় ধরে হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ। সম্প্রতি সরকারের পক্ষ থেকে জরুরি পণ্য আমদানি-রফতানির অনুমতি দেয়া হয়। অনুমতি পাওয়ার পরও রফতানি কার্যক্রম চালু হচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে ভারতের ব্যবসায়ীদের অনুরোধও জানানো হয়েছে। কিন্তু লকডাউন চলমান থাকায় রাজ্য সরকারের অনুমতি পাচ্ছে না বলে তারা জানান।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বব্যাপী সমস্যা তৈরি হয়েছে। আমদানি-রফতানি জটিলতা, বন্দর খুলে দেয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে সরকার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারকে ভার্চুয়াল যোগাযোগের মাধ্যমে সম্প্রতি আমরা জানিয়েছি। হাইকমিশনার বলেছেন, তাদের রাজ্য সরকারের কিছু সমস্যা আছে। বিষয়গুলো নিয়ে তারা আলোচনা করছেন। খুব শিগগিরই সমস্যার সমাধান হবে। বন্দরগুলো খুলে দেয়া হবে।
তিনি বলেন, আমদানি-রফতানির খরচ কমানোর জন্য আমরা বিভিন্ন প্রস্তাব দিয়েছি। আমদানি করা পণ্যের ট্রেনে রফতানি করতে পারলে খরচ অনেকটা কমে যাবে। তবে আমাদের আমদানি বেশি, রফতানি কম। তাই কীভাবে এ সুবিধা নেয়া যায় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।
ভারতের সঙ্গে পণ্য আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ থাকা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে। কারণ পশ্চিমবঙ্গ সরকার লকডাউন করে রেখেছে। কেন্দ্রীয় সরকার যদিও রাজি হয়েছিল কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকার তথা মমতা ব্যানার্জি রাজি হচ্ছেন না।’
‘উনি কোনো ট্রাকই আসতে দিচ্ছেন না। কেউ যদি আসে তারা ফেরত যেতে পারছেন না। সেখানে ১৪ দিনের (কোয়ারেন্টাইন) কোনো ব্যাপার নয়। যিনি আসবেন তিনি যেতেই পারবেন না! ফলে হাজার খানেক ট্রাক ওখানে লাইন ধরে বসে আছে,’ বলেন তিনি।
ড. মোমেন বলেন, ‘একবার আলোচনা হলো দু’দেশের জিরো পয়েন্টে ট্রাক থেকে মালামাল ওঠা-নামা করা হবে। তাতে দেখা যায়, মাত্র চার-পাঁচটি ট্রাক পরিবর্তন সম্ভব। কিন্তু তাতেও পশ্চিমবঙ্গ রাজি নয়। সবাই লকডাউন, করোনাভাইরাস নিয়ে ব্যস্ত।’
‘তবে বিষয়টি নিয়ে ভারতের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছিল। বর্তমানে স্থলবন্দরের বিকল্প হিসেবে ভারতের সঙ্গে আমাদের চারটি পথে রেল যোগাযোগ চালু আছে। সেসব পথে এখন মালামাল আসা-যাওয়া করছে,’ বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ঠিক কবে স্থলবন্দরগুলো চালু হবে সে কথা এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না বলে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকির যুক্তি দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ এখন পেট্রাপোল বা হিলির মতো স্থলবন্দরগুলো চালু করেনি। গত মাসের শেষ দিন সীমিত আকারে চালু হওয়ার তিনদিন পরই পেট্রাপোল-বেনাপোল স্থলবন্দরে স্থানীয়দের বাধায় মালপত্র ওঠানামা বন্ধ হয়ে যায়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার আর রাজ্যে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রচ্ছন্ন সায় ছিল।
এদিকে বাংলাদেশে মালপত্র পাঠানোর ক্ষেত্রে ‘ভারতের আন্তর্জাতিক দায়বদ্ধতা’র কথা রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে কড়া ভাষায় চিঠি লেখেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা। চিঠিতে পণ্য পরিবহনে অবিলম্বে বাংলাদেশ সীমান্ত খুলে দিতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে তাতে এতটুকু টলেনি মমতা ব্যানার্জি ও তার সরকার।
গত ৫ মে পাঠানো ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিবহনে গত ২৪ এপ্রিল অনুমতি দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকার বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে পণ্য পরিবহন এখনো শুরু করেনি। ফলে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হওয়া বিপুলসংখ্যক পণ্যবাহী ট্রাক বিভিন্ন বর্ডার ক্রসিং পোস্টে আটকে রয়েছে। একইভাবে বাংলাদেশে যেসব ট্রাক ও এর চালক পণ্য সরবরাহ করতে গিয়েছিলেন তারাও সীমান্তের ওপাড়ে আটকে রয়েছেন। তাদেরও ভারতে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
এতে বাংলাদেশের প্রতি যেমন ভারতের আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি বাধাগ্রস্ত হয়েছে তেমনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অবমাননা করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার শুধু আইন লঙ্ঘন করেনি, তা ভারতের সংবিধান লঙ্ঘনেরও শামিল।
এ বিষয়ে ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনের অ্যাটাশে (প্রেস) দেবব্রত পাল জাগো নিউজকে বলেন, ভারত ফেডারেল রাষ্ট্র। এর রাজ্যগুলো স্বায়ত্তশাসন ভোগ করে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার এখনই স্থলবন্দর খুলতে রাজি নয়। কবে নাগাদ এটি খুলবে সেটি বলাও যাচ্ছে না। কেন্দ্রীয় সরকার এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে আলোচনা করছে বলেও জানান তিনি।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গত ২৪ মার্চ থেকে ভারতজুড়ে ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করে দেশটির সরকার। এরপর চতুর্থ দফা লকডাউনে মেয়াদ বাড়িয়ে ৩১ মে পর্যন্ত করা হয়। প্রথম দফায় লকডাউন ঘোষণার পরপরই বন্ধ হয়ে যায় ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সব ধরনের আমদানি-রফতানি বাণিজ্য। ভারতের সঙ্গে দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোলসহ ১১টি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম চলে। তবে বন্দরগুলো বর্তমানে প্রায় অচল অবস্থায় পড়ে আছে। কয়েকটি বন্দরে কিছু কার্যক্রম চলছে, তাও সামান্য। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে দু’দেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্য।
দেশের স্থলবন্দর গুলোর মধ্যে রয়েছে- বেনাপোল, হিলি, আখাউড়া, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, হালুয়াঘাট, বিবিরবাজার, টেকনাফ, বুড়িমারী ও তামাবিল স্থলবন্দর। এসব বন্দর দিয়ে শুধুমাত্র ভারত থেকে ছয় কোটি ৬৭ লাখ টন পণ্য আমদানি হয়ে থাকে।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবির) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশের মোট বৈদেশিক বাণিজ্যের প্রায় ১০ শতাংশ এককভাবে ভারতের সঙ্গে হয়। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দুই দেশের মোট বাণিজ্যের পরিমাণ ৮৯০ কোটি ডলার। যার সিংহভাগ পণ্য ভারত থেকে বাংলাদেশে এসেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে রফতানি হয় মাত্র ১২৫ কোটি ডলারের পণ্য। অর্থাৎ দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ৭৬৫ কোটি ডলার।
এসআই/এমএআর/জেআইএম