স্বার্থের কারণে এমন অপরাজনীতি করতে পারেন শিক্ষকরা?
অধ্যাপক ড. মু. আবুল কাসেম। উপাচার্য, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি)। ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এ অধ্যাপক বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে বিশ্বব্যাংকেও দায়িত্ব পালন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি, অনিয়ম, ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতির প্রসঙ্গ নিয় সম্প্রতি মুখোমুখি হন জাগো নিউজ’র। বলেন, শিক্ষকদের অপরাজনীতির কারণেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার অগ্রগতি ব্যাহত হচ্ছে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সায়েম সাবু।
জাগো নিউজ : হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের পক্ষ থেকে তদন্ত করছে। অনিয়ম ও তদন্তের ব্যাপারে আপনার মন্তব্য কী?
আবুল কাসেম : আমি উপাচার্যের দায়িত্ব নেয়ার পর যতগুলো নিয়োগ হয়েছে, তাতে কোনো প্রকার অনিয়ম হয়নি। আমরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সর্বোচ্চ সতর্ক ও সচ্ছতার পরিচয় দিয়ে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য যে নীতিমালা করেছে, তার আলোকেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। এ কারণে আমি মনে করি, নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো সুযোগ নেই। এসএসসি থেকে মাস্টার্স রেজাল্টের ওপর ১২ নম্বর, অতিরিক্ত ডিগ্রি ও অভিজ্ঞতার ওপর ৩ নম্বর এবং লিখিততে ৫০ নম্বরের পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। মৌখিক পরীক্ষায় ২০ নম্বর এবং শ্রেণিকক্ষে পড়ানোর দক্ষতা প্রদর্শনে ১৫ নম্বরের (সর্বমোট ১০০ নম্বর) ওপর মূল্যায়ন করেই শিক্ষক বাছাই করা হয়েছে।
দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অভিজ্ঞ শিক্ষকরা নিয়োগ বোর্ডে ছিলেন। প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ এড়াতে আমি নিজে প্রশ্ন টাইপ করে সংরক্ষণ করেছি। লিখিত পরীক্ষার পর কোড নম্বর ব্যবহার করে খাতা মূল্যায়ন করা হয়েছে। অতি সজাগ থাকার কারণেই নিয়োগে কোনো অনিয়ম ছিল না।
জাগো নিউজ : তাহলে অভিযোগ কেন? কারা করলেন অভিযোগ?
আবুল কাসেম : এই অভিযোগকে আমি ষড়যন্ত্র বলে মনে করি। প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের শিক্ষকদের একটি অংশ এ ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত বলে আমি মনে করি।
জাগো নিউজ : কেন ষড়যন্ত্র মনে করছেন?
আবুল কাসেম : আমি মূলত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসে এখানে উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। যোগদানের সময়ই প্রাক্তন ভাইস-চ্যান্সেলর দম্ভ করে বলেছিলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাইরের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য নিয়োগ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে চার বছর পিছিয়ে দিলেন’।
জাগো নিউজ : তারা কী চেয়েছিলেন?
আবুল কাসেম : তারা সাবেক উপাচার্য অথবা তার বলয় থেকে কেউ উপাচার্য হবেন, তা-ই চেয়েছিলেন সম্ভবত। বিশেষ সিন্ডিকেট তৈরি করে হয়তো নিজেদের স্বার্থ হাসিলের পরিকল্পনা ছিল তাদের। আমার কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। এর আগে, শিক্ষক নিয়োগে অর্থ লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তদন্ত করলে সব তথ্য পাওয়া যাবে।
জাগো নিউজ : বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ মূলত ওই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই হয়ে থাকে। কিন্তু এখানে বিশেষ সিন্ডিকেট কোন শক্তির বলে?
আবুল কাসেম : শিক্ষক রাজনীতি, গ্রুপিং সব বিশ্ববিদ্যালয়েই আছে। কিন্তু এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাজনীতি, গ্রুপিং আমাকে অবাক করেছে। আমি রীতিমতো বিব্রত। স্বার্থের কারণে শিক্ষকরা এমন অপরাজনীতি করতে পারেন, এটি ধারণাতীত।
আমার আগে যিনি উপাচার্য ছিলেন, তিনি ছয় বছর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি স্থানীয়। তার নেতৃত্বেই স্থানীয়দের নিয়ে একটি বলয় তৈরি হয়েছিল। সকল প্রকার নিয়োগ ও কর্মকাণ্ডে স্থানীয়দের মধ্য থেকে হতে হবে- এমন একটি নীতি তিনি চালু করেছিলেন।
আমি দৃঢ় কণ্ঠে বলতে চাই, আমি ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর যেসব শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ হয়েছে সেখানে কোনোপ্রকার অর্থ বাণিজ্য হয়নি এবং কোনোপ্রকার অনিয়মও হয়নি। যারা অনিয়মের কথা বলছেন, তাদের চ্যালেঞ্জ করছি, অনিয়মের প্রমাণ দিন। প্রমাণ পেলে সবার আগে আমি নিজেই ব্যবস্থা নেব।
জাগো নিউজ : আপনি চ্যালেঞ্জ করছেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় নিয়োগে অনিয়ম তো পুরোনো খবর। স্বজনপ্রীতি, বাণিজ্যের বিষয় অনেকাংশই প্রমাণিত…
আবুল কাসেম : হ্যাঁ। সেসব খবর অস্বীকার করার উপায় নেই। এ বিশ্ববিদ্যালয়েও আগে অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু আমার সময় নিয়োগে কোনো অনিয়ম হয়নি, তা আবারও চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি।
দুর্নীতি হয়নি বলেই অন্যদের গাত্রদাহ হচ্ছে। তারা সুবিধা নিতে পারেনি। ঢাবি, বুয়েট, রাবি, কৃষি ও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিয়োগ বোর্ডে এসে আমার সচ্ছতার প্রশংসা করে গেছেন। আমি এখনও বলছি, কোনো অনিয়মের প্রমাণ থাকলে দিন, আমি ব্যবস্থা নেব। অযথা মিথ্যাচার করে জাতির সামনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবেন না।
জাগো নিউজ : যারা অভিযোগ তুলছেন, তারা আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের একাংশ। বিরোধটা আসলে কোথায়?
আবুল কাসেম : এখানেও তারা অসত্য বলছেন। যারা ক্যাম্পাসে আন্দোলন করে পরিবেশ নষ্ট করতে চাইছেন, তারা আওয়ামী লীগের মূলধারার রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন। যেমন- জনশ্রুতি আছে যে, প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের সাধারণ সম্পাদক একসময় বিএনপি করতেন। তার পরিবারও সক্রিয়ভাবে বিএনপি করত। তিনি জামায়াতের সহযোগী সদস্য ছিলেন বলেও শোনা যায়। তিনি একসময় শিবিরকে মাসিক এক হাজার করে চাঁদা দিতেন, তার প্রমাণও আছে।
বিরোধিতাকারী অন্যদের বেলাতেও তেমন পরিচয় মেলে। কেউ বিএনপি, আবার কেউ জামায়াত থেকে এসেছে। তারাই এখন আওয়ামী লীগের ছায়াতলে ঠাঁই নিয়ে পানি ঘোলা করতে চাইছে।
আমি উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে আশাবাদী মানুষ। উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে বিশ্বব্যাংকে দায়িত্ব পালন করেছি। আমি কোনো লবিং করে এখানে আসিনি। আমার যোগ্যতার বিবেচনায়ই সরকার এখানে আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে। আমার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের চেষ্টা করছি। অবকাঠামো উন্নয়নে নজির স্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু শিক্ষক অপরাজনীতির কারণে আশানুরূপভাবে উচ্চশিক্ষার উন্নয়নে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছি। আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করে শিক্ষার মানোন্নয় করে যাচ্ছি। আমি চেয়েছিলাম, পুরো কারিকুলাম ঢেলে সাজিয়ে নতুনত্ব আনতে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি এক্সপার্ট থেকে শিক্ষার উন্নয়নে সহায়তা করেছি।
জাগো নিউজ : শিক্ষকদের এ রাজনৈতিক বিরোধিতা মোকাবিলা করছেন কীভাবে?
আবুল কাসেম : সহকর্মীদের এমন বিরোধিতা আমাকে দারুণভাবে ব্যথিত করে। কিন্তু আমি হাল ছাড়িনি। সততাই আমার শক্তি।
দায়িত্ব নেয়ার প্রাক্কালে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী আমাকে বলেছিলেন, এটি চ্যালেঞ্জের দায়িত্ব। শিক্ষকদের মধ্যে অসন্তোষ আছে, গ্রুপিং আছে। আপনি চ্যালেঞ্জ নিতে পারবেন কি-না? আমি বললাম, আমি আমার সততা দিয়েই সব মোকাবিলার চেষ্টা করব। সংশ্লিষ্ট সবার সহায়তায় ভালো কিছুই দিতে পারব বলে আশা রাখি।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পরিচালনা করতে গেলে নানা বাধা আসবেই। রাজনৈতিক ও স্থানীয় বাধা থাকবেই। এমনকি প্রশাসনিক বাধাও আসে। আবার সহায়তা আসে তাদের মধ্য থেকেই।
জাগো নিউজ : বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যের বিরুদ্ধে কর্তৃত্ব, ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ তো আছেই। এটিও তো অস্বীকার করা যায় না…
আবুল কাসেম : মিডিয়াতে অনেক কিছুই দেখতে পাচ্ছি। কোনো কোনো উপাচার্যের অনিয়মের বিষয়টি আমাকেও অবাক করেছে। তবে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার প্রশাসনের কেউ ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে বলে আমি মনে করি না। অন্য কোনো দুর্বলতা নেই বলেই আমার পক্ষ থেকে ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রশ্নই আসে না।
জাগো নিউজ : উপাচার্যদের অনিয়ম, ছাত্র-শিক্ষকদের আন্দোলন উচ্চশিক্ষায় প্রতিবন্ধকতা তো সৃষ্টি করছে…
আবুল কাসেম : বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্বায়ত্তশাসন দেয়া হয়েছে উচ্চশিক্ষার বিস্তারে যোগ্য উপাচার্য নিয়োগ এবং উপাচার্যের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখার জন্য। সৎ, যোগ্য, মেধাবীদের ভাইস-চ্যান্সেলর হওয়ার কথা। কিন্তু কোনো কোনো উপাচার্যের কর্মকাণ্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারণার সঙ্গে একবারেই বেমানান। শিক্ষকদের ব্যক্তিস্বার্থের আন্দোলনও শিক্ষার মানোন্নয়নে অন্তরায়। হীন স্বার্থে শিক্ষকদের মধ্যে দলাদলি ও অপরাজনীতি উচ্চশিক্ষার অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়।
জাগো নিউজ : বছর কয়েক আগে এখানে দুজন ছাত্র নিহত হন রাজনৈতিক কোন্দলে। এখনকার পরিস্থিতি নিয়ে কী বলবেন?
আবুল কাসেম : আমি হত্যাকাণ্ডের সময় ছিলাম না। কাজই এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য নেই। তবে এখন পরিস্থিতি মোটামুটি ভালো। সবার মধ্যে একধরনের সহাবস্থান আছে। সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য সহায়তা করছেন।
জাগো নিউজ : শিক্ষা ও ক্যাম্পাসের উন্নয়নে আপনার বিশেষ কোনো পরিকল্পনা?
আবুল কাসেম : আমাদের লক্ষ্য চারটি। শিক্ষা, গবেষণা, প্রশিক্ষণ ও গ্রামোন্নয়ন। দায়ের জায়গা থেকেই গ্রামোন্নয়ন বিষয়টি গুরুত্ব পায়। আগের তুলনায় শিক্ষা-গবেষণার মান বাড়ছে। গবেষণা ফান্ড বাড়ানো হয়েছে।
এখানে প্রশিক্ষণ একেবারে অবহেলিত ছিল। এখন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য চাহিদাভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এককথায়, ক্যাম্পাসের সবাইকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হচ্ছে। এমনকি কৃষকদেরও প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
কৃষকদের সেবার লক্ষ্য নিয়ে বৃহত্তর দিনাজপুর অঞ্চলে গ্রামের উন্নয়নে কাজ করা হবে। কৃষক সেবাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, যাতে কৃষকরা শিক্ষক ও ছাত্রদের কাছ থেকে সরাসরি সেবা পায়। অচিরেই কৃষকের সেবায় ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। কৃষকের চাহিদাভিত্তিক প্রায়োগিক গবেষণায় জোর দিচ্ছি। কৃষকের সেবায় গুরুত্ব দেয়া উচিত অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও।
একই সঙ্গে ক্যাম্পাসের অবকাঠামো নির্মাণে আমরা সর্বাত্মক গুরুত্ব দিচ্ছি। সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের জন্য ২৫টি সংগঠন প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষার পাশাপাশি মূল্যবোধ জাগ্রত করতে পারলেই উচ্চশিক্ষা গ্রহণ সার্থক হবে বলে বিশ্বাস করি।
সবশেষে বলতে চাই, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি বিষয় যেমন- (১) শিক্ষা, (২) গবেষণা, (৩) প্রশিক্ষণ ও (৪) গ্রামোন্নয়নের ওপরেই সমানভাবে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাবার জন্য আমি বদ্ধপরিকর। এ চারটি বিষয়ের উন্নতির পাশাপাশি কো-কারিকুলার ও এক্সট্রা-কারিকুলার কার্যক্রমকেও ত্বরান্বিতের প্রতি নজর দেয়া হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাসরুম ও ল্যাব ফ্যাসিলিটিস বৃদ্ধি ও শিক্ষকদের গবেষণা কার্যক্রম জোরদারের লক্ষ্যে অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। আশা করছি, আগামী এক বছর উপরোল্লিখিত বিভিন্ন বিষয়ে আশানুরূপ উন্নত সাধন করতে পারব, ইনশাআল্লাহ।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকার উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে নানাবিধ বিষয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত থাকলে আশা করি অচিরেই বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের শিক্ষার মানোন্নয়নে আশানুরূপ সাফল্য আসবে।
এএসএস/এমএআর/এমকেএইচ