হিমঘরে জামায়াতের বিচার

মুহাম্মদ ফজলুল হক
মুহাম্মদ ফজলুল হক মুহাম্মদ ফজলুল হক , জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:১৭ পিএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

স্বাধীনতার ৪৭ বছরেও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিচারের উদ্যোগ আলোর মুখ দেখেনি। ক্রিমিনাল সংগঠন হিসেবে জামায়াতের বিচার নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব মহল সোচ্চার থাকলেও তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই।

মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের প্রধান দলসহ একাধিক দল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকলেও হয়তো ভোটের রাজনীতির কারণে জামায়াতের বিচার এখন হিমঘরে। কবে নাগাদ এ সন্ত্রাসী সংগঠনের বিচার শুরু হবে, এখন পর্যন্ত তা অনিশ্চয়তার ধোঁয়াশায় ঢাকা।

মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিচারের জন্য তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে চার বছর আগে। তদন্ত শেষ হওয়ার পরপরই প্রসিকিউশনের প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

জানা গেছে, জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে সরকারের মনোভাব ইতিবাচক হলেও বর্তমানে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। আদালত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যেহেতু জামায়াত নিষিদ্ধের প্রশ্নটি আদালতে বিচারাধীন, সেহেতু আদালতের রায় অনুযায়ীই এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া যুক্তিযুক্ত। এতে বিতর্ক এড়ানো যাবে, একই সঙ্গে বহির্বিশ্বের চাপও মোকাবেলা সহজ হবে।

তবে, সংগঠন হিসেবে জামায়াতের বিচারিক কাজ শুরু না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার সংশ্লিষ্টরা এবং বিচারপ্রার্থী ভিকটিমরা। সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা মনে করেন, জামায়াতের অতীত ও বর্তমান তৎপরতা সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদে বর্ণিত শর্তের পরিপন্থী হওয়ায় রাজনৈতিক দল হিসেবে এ দল নিষিদ্ধ করা যেতে পারে। দেশের সংবিধান ও প্রচলিত আইন অনুযায়ী জামায়াতে ইসলামী ও তাদের অঙ্গ-সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরকেও নিষিদ্ধ করা যায়।

জামায়াতের আমির অধ্যাপক গোলাম আযমের মামলার রায়ে জামায়াতকে একটি ‘ক্রিমিনাল সংগঠন’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে বলা হয়, ‘জামায়াত একটি অপরাধী সংগঠন। একাত্তরে তাদের ভূমিকা ছিল দেশের স্বার্থের পরিপন্থী। এরপর বিভিন্ন মহল থেকে দল হিসেবে জামায়াতের বিচারের দাবি জোরালো হয়ে উঠলে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা তদন্ত শুরু করে। এরপর জামায়াতের বিচার করতে সরকারের পক্ষ থেকে আইনের খসড়া প্রণয়ন করা হলেও গত চার বছরেও তা চূড়ান্ত হয়নি।

মুক্তিযুদ্ধের পর জামায়াত-শিবির জনগণের মধ্যে ধর্মীয় বিদ্বেষ সৃষ্টি করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে। রাষ্ট্র ও মানুষের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী তৎপরতা চালিয়ে আসছে বলে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগও ওঠে। তাদের সাম্প্রদায়িক তৎপরতা সংবিধান পরিপন্থী বলে প্রতীয়মান হয়।

আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যমান আইনে মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্তদের বিচারের ক্ষেত্রে যেসব স্থানে ব্যক্তির কথা উল্লেখ রয়েছে, সেসব স্থানে অর্গানাইজেশন বা সংগঠন শব্দ জুড়ে দিয়ে আইনটি সংশোধন করা হলে বিদ্যমান আইনে যেভাবে ব্যক্তির বিচার করা সম্ভব, একইভাবে অভিযুক্ত কোনো সংগঠন বা দলেরও বিচার করা সম্ভব। এ নিয়ে একাধিকবার উদ্যোগ নেয়া হলেও মন্ত্রিসভার নীতিগত সিদ্ধান্ত না হওয়ায় আটকে আছে জামায়াতের বিচার।

তবে, পাকিস্তানে দুবার এবং ভারতে চারবার সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ হয় জামায়াত। বাংলাদেশে ১৯৭২ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত নিষিদ্ধ ছিল জামায়াত। ১৯৮৬ সালে প্রথম বাংলাদেশে নির্বাচনে অংশ নেয় দলটি।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য ২০১০ সালে গঠিত হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। শুরু হয় বহু প্রতীক্ষিত বিচার কার্যক্রম। এরপর থেকে ‘যুদ্ধাপরাধী দল’ হিসেবে জামায়াত নিষিদ্ধের দাবিও জোরালো হয়। একে একে ৭৫ যুদ্ধাপরাধীর বিচার শেষ হলেও দল হিসেবে জামায়াতের বিচার করা হচ্ছে না।

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সংগঠন হিসেবে অভিযোগ এনে জামায়াতে ইসলামীর বিচার শুরুর জন্য আবারও আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হবে বলে ২০১৯ সালের ৯ জানুয়ারি জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। টানা দ্বিতীয় মেয়াদে আইনমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার পর সচিবালয়ে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের গত মেয়াদে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হলেও তা আর আলোর মুখ দেখেনি। এ বিষয়ে আইন মন্ত্রী বলেন, আমারা তাড়াহুড়ো করে তদন্ত করে দিয়েছি ২০১৪ সালের ২৭ মার্চ। প্রায় পাঁচ বছর হতে চলল।

আইন সংশোধনের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইন সংশোধন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছিলাম। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ লেজিসলেটিভ ভাষা আবারও একটু ইয়ে করার জন্য বলেছে, আইনটি আমাদের কাছে আছে।’

‘আমরা চেষ্টা করব, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা নিয়ে আবারও আইনটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়ে দেব, যাতে এটা মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হয়।’

এদিকে, আইসিটি অ্যাক্ট সংশোধন করা হলে জামায়াতের বিচার করা যেতে পারে বলে মনে করেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিনি বলেন, আপিল বিভাগে এমন একটি আবেদন বিচারাধীন। সেটা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না। তবে, কবে নাগাদ সংগঠন হিসেবে জামায়াতের বিচারের আইন সংশোধন করা হবে- সেটি আইনমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করা হবে বলে জানান তিনি।

সংগঠন হিসেবে জামায়াতের বিচার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তদন্ত সংস্থার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এম সানাউল হক জাগো নিউজকে বলেন, সংগঠন হিসেবে জামায়াতের বিচারের জন্য আইনটি সংশোধনের প্রক্রিয়াধীন। যেহেতু আইনটি সংশোধনের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেছেন, সে হিসেবে আমরা অপেক্ষায় রয়েছি। আইন সংশোধনের পরই প্রসিকিউশন প্রসেসিং শুরু করবে। এ বিষয়ে যদি তদন্ত সংস্থার কোনো সহযোগিতা লাগে তা করতেও আমরা প্রস্তুত আছি।

তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের লোক হিসেবে আমরা মনে করি, যেকোনো উপায়ে হোক, জামায়াতের বিচার হওয়া দরকার। এম সানাউল হক বলেন, ‘জনদাবির পরিপ্রেক্ষিতেই সংগঠন হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর অপরাধের তদন্ত শেষ করেছে তদন্ত সংস্থা। এখন শুধু আইন সংশোধনের অপেক্ষা। আমরা প্রসিকিউশনকে বলে রেখেছি, জামায়াতের মামলাটি যদি আবার পুনঃতদন্তের প্রয়োজন হয়, সেটাও আমাদের বলতে পারেন।’

জামায়াতের বিচার শুরুর বিষয়ে তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক মো. আব্দুল হান্নান খান জাগো নিউজকে বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তিনটি অঙ্গ রয়েছে। এর মধ্যে- একটি হলো বিচারিক বিভাগ, যেখানে রয়েছেন বিচারকরা। দ্বিতীয়টি হলো- আদালতে মামলা পরিচালনাকারী প্রসিকিউশন। তৃতীয়টি হলো- তদন্ত সংস্থা।

‘আমাদের কাজ হলো, মামলাটি তদন্ত করে তা রিপোর্ট আকারে প্রসিকিউশনের কাছে দাখিল করা। প্রতিবেদন দাখিলের পর এর ওপর তদারকি করা আমাদের কাজ নয়।’

আব্দুল হান্নান খান বলেন, ‘২০১৪ সালে জামায়াতের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে দাখিল করেছি। এরপর সংগঠন হিসেবে জামায়াতের বিচারের জন্য আইন সংশোধন করতে প্রসিকিউশনেই আটকে আছে প্রায় চার বছর।’

তিনি আরও বলেন, ‘এরই মধ্যে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া, বিভিন্ন বিচারিক রায়েও জামায়াতকে অপরাধী সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন আদালত। সর্বশেষ জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, জামায়াতের বিচারটি অবিলম্বে সুরাহা হওয়া উচিত।’

জামায়াতের বিচার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘সংগঠন হিসেবে জামায়াতের বিচার এখন সময়ের দাবি। নির্বাচনের আগেও আমরা সংবাদ সম্মেলন করে জামায়াতের বিচারের দাবি করেছি। এখনও দাবি করছি। আমরা আশা করছি, এবার সরকার দ্রুত এ মামলার বিচার কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগ নেবে।’

ট্রাইব্যুনালের অন্যতম প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী জাগো নিউজকে বলেন, ‘একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের অপরাধের দায়ে সংগঠন হিসেবে জামায়াতের বিচারের জন্য প্রসিকিউশন সর্বদাই প্রস্তুত। এখন শুধু আইন সংশোধনের অপেক্ষা।’

তিনি বলেন, ‘সংগঠন হিসেবে জামায়াতের বিচার আইন সংশোধনের জন্য আটকে আছে। ব্যক্তির বিচারের পাশাপাশি সংগঠনের শাস্তি কী হবে, তা নির্ধারণে আইনটির সংশোধন প্রয়োজন। আমি যতটুকু জানি, আইন সংশোধনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। ধারণা করছি, আইনের খসড়া তৈরি করা হয়েছে। এখন পার্লামেন্টে উপস্থাপন করে আইনটি সংশোধন করে দিলেই জামায়াতের বিচার শুরু হবে।’

‘নতুন সরকারের আইন মন্ত্রণালয় শিগগিরই আইনটি সংশোধন করবে’ বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

ট্রাইব্যুনালের অপর প্রসিকিউটর রানা দাস গুপ্ত বলেন, ‘প্রথম কথা হলো, রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বিচারের জন্য তদন্ত শেষ করে একটি প্রতিবেদন চিফ প্রসিকিউটর বরাবর জমা দেয়া হয়েছে তদন্ত সংস্থার পক্ষ থেকে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর জামায়াতের মামলা পরিচালনার জন্য প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে একটি টিমও গঠন করা হয়। সেই টিম থেকে সংগঠন হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) গঠন করার জন্য প্রস্তুতিও নেয়া হয়। এরপর গো স্লো (আস্তে চলো), বিষয়টি ট্রাইব্যুনালে আর উপস্থাপন করা হয়নি। পরে ট্রাইব্যুনালের আইনটি সংশোধনের প্রয়োজন দেখা দেয়। তৎকালীন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রীর পক্ষে আইনটি সংসদে উপস্থাপনের কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি। আশা করি, এবার সেটি উপস্থাপিত হবে এবং সংসদে পাস হবে।’

তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীনতাবিরোধী পক্ষে কাজ করার দায়ে সংগঠন হিসেবে জামায়াতের বিচার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার তাগিদেই হওয়া দরকার। কারণ সংগঠন হিসেবে জামায়াতের বিচার করলে ভবিষ্যতে দেশে আর কোনো দল অপরাধ করতে সাহস পাবে না।’

তিনি আরও বলেন, ট্রাইব্যুনালের আইনে ১৯৭১ সালের মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি, ব্যক্তি মালিকানাধীন সংস্থা, সংগঠন- যেই জড়িত থাকুক না কেন তাদের বিচার হওয়া উচিত।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে জামায়াতে ইসলামীকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন দেয়া হয়। এরপর দলটির নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৯ সালে রিট আবেদন করেন তরিকত ফেডারেশনের তৎকালীন মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ২৫ ব্যক্তি। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ২৫ জানুয়ারি হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ রুল জারি করেন। এরপর ২০১৩ সালের ১ আগস্ট বিচারপতি এম মোয়াজ্জাম হোসেন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে রায় ঘোষণা করেন। ২০১৮ সালের ২৮ অক্টোবর দলটির নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন।

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ২০১৪ সালে সংগঠন হিসেবে জামায়াতের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। একই বছরের ২৫ মার্চ তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে দাখিল করা হয়। সেই তদন্ত প্রতিবেদনে জামায়াতের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সাত ধরনের অভিযোগ তুলে ধরা হয়। একই সঙ্গে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার সুপারিশও করা হয় ওই তদন্ত প্রতিবেদনে।

এফএইচ/এমএআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।