আ. লীগ-বিএনপিতে অস্বস্তি, সুযোগ নিতে চায় জাপা-জামায়াত

আবু আজাদ
আবু আজাদ আবু আজাদ , নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ০৬:৪৬ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮

আগামী ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচন নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা কাজ করলেও এরই মাঝে ‘দৌড়ঝাঁপ' শুরু করেছেন প্রায় সব রাজনৈতিক দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। এক্ষেত্রে নির্বাচনের আগে শেষ ঈদে ‘এক ঢিলে দুই পাখি' মেরেছেন চট্টগ্রাম অঞ্চলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা।

ঈদুল আজহায় চট্টগ্রামের শহর-গ্রাম সব স্থানেই চোখে পড়েছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের জনসংযোগ। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি- বড় এই তিন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা গেছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। প্রায় প্রতিটি আসনেই বড় দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থিতার ছড়াছড়ি। মন্ত্রী-এমপিরা ঘন ঘন যাচ্ছেন নিজ এলাকায়। ভোটাররাও চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছেন তাদের কর্মকাণ্ডের।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে রাজনৈতিক দলগুলোর আসনভিত্তিক প্রস্তুতি, দলের অভ্যন্তরীণ সমস্যা, সর্বশেষ অবস্থান এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা, মাঠের অবস্থাইবা কী- এসব নিয়ে জাগো নিউজ’র ধারাবাহিক প্রতিবেদন ‘ভোটের বাদ্য’। চতুর্থ কিস্তিতে আজ থাকছে ‘চট্টগ্রাম-৪’ এর সার্বিক চিত্র।

চট্টগ্রাম-৪ আসনটি সীতাকুণ্ড উপজেলা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৯ (আকবরশাহ) ও ১০নং (পাহাড়তলী) ওয়ার্ডের আংশিক নিয়ে গঠিত। এ সংসদীয় আসনে মোট ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ৯৪ হাজার ৬৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ আট হাজার ৭৩৫ এবং মহিলা ভোটার এক লাখ ৮৫ হাজার ৩৩৪ জন।

জাহাজভাঙা শিল্পসহ বিভিন্ন কারখানার কারণে সীতাকুণ্ড মূলত শিল্প এলাকা হিসেবে পরিচিত। দেশের লাইফ লাইনখ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহসড়ক ও রেলপথের চট্টগ্রামের দিকটার শুরু এখান থেকে। তাই বিভিন্ন রাজনৈতিক আন্দোলন-সংগ্রামে আলোচিত নাম সীতাকুণ্ড। 

আওয়ামী লীগ ও বিএনপি- উভয়ই চায় এই মহাসড়কে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে। তবে জামায়াত-শিবিরের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত সীতাকুণ্ডে ২০১৪ সালের নির্বাচনপরবর্তী জ্বালাও-পোড়াওয়ের কথা মনে পড়লে এখনও গা শিউরে ওঠে চট্টগ্রামবাসীর।

election

আওয়ামী লীগের সম্ভাব্যপ্রার্থী দিদারুল আলম, এস এম আল-মামুন ও মোস্তফা কামাল চৌধুরী

আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি দিদারুল আলম ও উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আল-মামুন দুজনেই এবার ‘নৌকার মাঝি’ হতে চান। তাদের কোন্দলে অস্থির সীতাকুণ্ড আওয়ামী লীগ। প্রার্থী হতে পারেন সীতাকুণ্ড উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল বাকের ভূঁইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মোস্তফা কামাল চৌধুরী ও ব্যবসায়ী সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীরও। 

এদিক থেকে বিএনপি কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। তবে দলটির সম্ভাব্যপ্রার্থী যাকে ভাবা হচ্ছে সেই আসলাম চৌধুরীর ঋণখেলাপি হওয়ার শঙ্কা অস্বস্তিতে ফেলেছে বিএনপিকে। বড় দুই দলের সমস্যাকে সুযোগে পরিণত করতে মাঠে তৎপর উপজেলা জামায়াতে আমির আনোয়ার সিদ্দিকী ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব দিদারুল কবির।

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম-৪) আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি দিদারুল আলম এবারও মনোনয়ন পেতে চেষ্টা চালাচ্ছেন। নিজে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হওয়ার পাশাপাশি তার পরিবারও চট্টগ্রামের একটি রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী পরিবার হিসেবে সবার কাছে পরিচিত। চাচা মনজুর আলম সাবেক মেয়র। কিন্তু এবার তাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে আটঘাট বেঁধে নেমেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আল-মামুন। তিনি উত্তর জেলা যুবলীগের সভাপতি। এ আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত এ বি এম আবুল কাশেম তার বাবা। তিনি ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হন। ২০১৪ সালের উপজেলা নির্বাচনে জয়ী হন এস এম আল-মামুন। 

সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে দিদারুল আলমের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আসতে থাকে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় অভিযোগ হলো- আওয়ামী রাজনীতি না করে আওয়ামী লীগের টোকেনে এমপি হওয়া এবং বিএনপির নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঢাকাতে সাক্ষাৎ করা। তার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে। সীতাকুণ্ডে দলীয় কোন্দল সৃষ্টি, উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করা এবং চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আ জ ম নাছির উদ্দিনকে পরিপূর্ণ সমর্থন না দেয়া। মাঠপর্যায়ে এসব নিয়ে দিদারুল আলমের সঙ্গে আল-মামুনের অনুসারীদের রয়েছে চরম দ্বন্দ্ব।

স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলছেন, কোন্দল এড়াতে এখানে বিকল্প ভাবতে পারে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। গত নির্বাচনেও মনোনয়নের আগে বিকল্প ভাবা হয়েছিল। শেষপর্যন্ত কী হয়, তা সময়ই বলে দেবে।

আওয়ামী লীগের সম্ভাব্যপ্রার্থী বেশি হওয়ার সুযোগ কাজে লাগাতে চায় দলটির মিত্র ও সরকারের শরিক জাতীয় পার্টি। আওয়ামী লীগের কোন্দল কাজে লাগিয়ে এ আসন থেকে জাতীয় পার্টির জয়ী হওয়ার সুযোগ রয়েছে বলে মনে করেন দলটির নেতারা।

আওয়ামী লীগ যখন ঘরের আগুনে পুড়ছে, তখন এ আসনে বিএনপির সমস্যাটা ভিন্ন। এখানে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে এককভাবে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক লায়ন আসলাম চৌধুরীর অবস্থান বেশ শক্ত। তিনি ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের এ বি এম আবুল কাশেম মাস্টারের কাছে ২৭ হাজার ভোটের ব্যবধানে হেরে যান। সেই আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ নাশকতার অর্ধশতাধিক মামলা রয়েছে; আছে চেক প্রতারণাও। ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে জেলও খেটেছেন। বেশিরভাগ মামলায় জামিন পেলেও চেক জালিয়াতির মামলায় এখনও কারাগারে আছেন আসলাম চৌধুরী। রয়েছে বিভিন্ন ব্যাংকে বিপুল পরিমাণ ঋণ। এসব ঋণের কিস্তি শোধ না করায় ঋণখেলাপি হয়ে নির্বাচনে অযোগ্য হওয়ার আশঙ্কা আছে তার। সেক্ষেত্রে এ আসনে বিএনপির পছন্দের প্রার্থী হচ্ছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক এ ওয়াই বি আই সিদ্দিকী। উল্লেখ্য, সিদ্দিকীর বড় ভাই এল কে সিদ্দিকী এ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি একাধিকবার মন্ত্রীও ছিলেন।

11-th-election-

বিএনপির সম্ভাব্যপ্রার্থী লায়ন আসলাম চৌধুরী, জামায়াতের আনোয়ার সিদ্দিকী চৌধুরী ও জাতীয় পার্টির দিদারুল কবির

অন্যদিকে ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামীও বসে নেই। জোট অথবা এককভাবে আসনটি পেতে মরিয়া তারা। বিগত সময়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে জ্বালাও-পোড়াও ও নাশকতা সৃষ্টির কারণে জামায়াতে ইসলামের বেশিরভাগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তাই এখনও তারা এলাকা ও ঘরবাড়িছাড়া। এ অবস্থায় একাদশ সংসদ নির্বাচনে উপজেলা জামায়াতের আমির আনোয়ার সিদ্দিকী চৌধুরীকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়ে রেখেছে দলটি। 

আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি দিদারুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, ‘২০১৩-১৪ সালের নির্বাচনের আগে ও পরে বিএনপি-জামায়াত অধ্যুষিত সীতাকুণ্ডে যে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিলে তা শক্ত হাতে প্রতিরোধ করেছি। নাশকতার সময়ই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার ওপর আস্থা রেখে মনোনয়ন দিয়েছিলেন। এমপি হওয়ার পর আমি এলাকার উন্নয়নে আত্মনিয়োগ করি। পাঁচ বছরে প্রায় আড়াইশ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ করেছি। আমি সরকারি বরাদ্দের দিকে তাকিয়ে থাকি না। টিআর-কাবিখা ও থোক বরাদ্দের কোটি কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে এলাকার উন্নয়নে। নিজ খরচে এরই মধ্যে বাঁশবাড়িয়া ১০০ শতক জায়গার ওপর তাহের-মনজু কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছি। সীতাকুণ্ড মহিলা কলেজ সরকারিকরণ হয়েছে।’

Ctg--4-pre-election-pic-bal

দিদারুল আলমের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা

‘অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ও সীতাকুণ্ডের ভোটারদের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করেছি। আশা করি, আগামীতেও দল আমাকে মনোনয়ন দেবে।’

দিদারুল আলমের এমন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে অপর মনোনয়নপ্রত্যাশী এস এম আল-মামুন বলেন, ‘বর্তমান এমপি সীতাকুণ্ডে উড়ে এসে জুড়ে বসেছেন। তার সঙ্গে তৃণমূল নেতাকর্মীদের যোগাযোগ নেই। এমপি দিদারুলের বিরুদ্ধে ইয়ার্ড, জায়গা দখলসহ নানা অভিযোগ আছে। তার কারণে দলের ইমেজও ক্ষুণ্ন হয়েছে।’

নৌকার মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে নিজের আশার কথা ব্যক্ত করে তিনি আরও বলেন, ‘আমার বাবা ৫০ বছর আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছেন। দুবার এমপি ছাড়াও একটি সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। সীতাকুণ্ডের আনাচে-কানাচে তার বিচরণ ছিল। ১৯৭৯ সালে স্কুল ছাত্রলীগের মধ্য দিয়ে রাজনীতি শুরু করি। ২০০৪ সালে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি এবং ২০১৩ সালে সভাপতি নির্বাচিত হই। পাশাপাশি সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে দল ও এলাকার উন্নয়নে কাজ করেছি।’

‘উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে সরকারি বরাদ্দ ও নিজের ব্যক্তিগত অর্থে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনার মাধ্যমে দলের সুনাম বাড়ানোর পাশাপাশি দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছি। দলের হাইকমান্ড এসব বিষয়ে অবগত। তাই এবার এ আসনে মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী আমি। আশা করছি, জননেত্রী শেখ হাসিনা বিষয়গুলো সুবিবেচনায় নেবেন।’

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল বাকের ভূঁইয়া বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে সীতাকুণ্ড আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত রেখেছি। ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত সবসময় দলের জন্য কাজ করেছি। গত ২৬ বছর ধরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছি। বিগত দিনেও মনোনয়ন চেয়েছি; কিন্তু দল যখন যাকে মনোনয়ন দিয়েছে, তার জন্য কাজ করেছি। কখনও কারও বিরোধিতা করিনি। এখনও দলকে শক্তিশালী করতে সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম এবং এলাকাবাসীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগের মাধ্যমে দলের প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি।’

Ctg--4-pre-election-pic-jat

দিদারুল কবিরের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা

‘আমার বিশ্বাস, দলের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে এবার প্রথমবারের মতো দলীয় নেত্রী বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা আমাকে এমপিপ্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করবেন।’

আওয়ামী লীগে গৃহদাহের সুযোগে মহাজোটের অংশ হিসেবে জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব দিদারুল কবির এ আসনে মনোনয়ন চাইবেন বলে শোনা যাচ্ছে। জোটগত নির্বাচন হলে আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয়ার জন্য বলা হতে পারে। দিদারুল কবির এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘জোটগত নির্বাচন হলে সেক্ষেত্রে জাতীয় পার্টি সীতাকুণ্ড আসনটি চাইবে। যদি জাতীয় পার্টি এককভাবে নির্বাচন করে, সেক্ষেত্রেও সীতাকুণ্ড থেকে আমিই নির্বাচন করবো। দল আমাকেই মনোনয়ন দেবে।’

এদিকে, জেলে থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি বিএনপির সম্ভাব্যপ্রার্থী আসলাম চৌধুরীর। তার পক্ষে সীতাকুণ্ড উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব জহুরুল আলম বলেন, ‘সীতাকুণ্ডে আসলাম চৌধুরী বিএনপির একক প্রার্থী। তিনি বিএনপির পার্লামেন্টারি বোর্ডেরও সদস্য। দল থেকে তিনিই মনোনয়ন পাবেন। প্রয়োজনে জেলে থেকে নির্বাচন করবেন। মনোনয়নের ব্যাপারে তার বিকল্প কোনো চিন্তা নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বের কারণে সীতাকুণ্ডের উন্নয়ন চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এ অবস্থায় যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, সীতাকুণ্ডের ভোটাররা এলাকার উন্নয়নে বিএনপিকেই জয়ী করবেন।’

উপজেলা জামায়াতের আমির আনোয়ার সিদ্দিকী চৌধুরী বলেন, ‘রাজনৈতিক কারণে জামায়াতের নেতাকর্মীরা এলাকা ও ঘরছাড়া। তবে দল তো নিষিদ্ধ হয়নি। জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের এ দেশে রাজনীতি ও নির্বাচন করার গণতান্ত্রিক অধিকার রয়েছে। আমি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর একক প্রার্থী হিসেবে সীতাকুণ্ড আসনে নির্বাচন করবো।’

বিগত নির্বাচনের ফলাফল

১৯৯১ সাল থেকে পাঁচ দফা নির্বাচনে সীতাকুণ্ড আসনে দুবার বিএনপি এবং তিনবার আওয়ামী লীগ জয়লাভ করে। ১৯৯১ ও ২০০১ সালে বিএনপির প্রার্থী এল কে সিদ্দিকী এবং ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে জয়লাভ করেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ বি এম আবুল কাসেম মাস্টার। বর্তমানে এ আসনের এমপি আওয়ামী লীগের দিদারুল আলম।

[‘ভোটের বাদ্য’র পঞ্চম কিস্তিতে থাকছে ‘চট্টগ্রাম-৫’ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম এবং তাদের নিয়ে স্থানীয়দের চুলচেরা বিশ্লেষণ। বিস্তারিত জানতে চোখ রাখুন জাগো নিউজে]

আবু আজাদ/এমএআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।