রোজায় কেমন হবে আ.লীগের ইফতারকেন্দ্রিক ‘রাজনীতি’
* ঘন ঘন এলাকায় যাবেন মন্ত্রী, এমপিরা
* এটাকে আমরা রাজনীতি হিসেবে দেখি না
* নেতাকর্মীদের মধ্যে বন্ধন গড়ে তুলতে এ মাসই উত্তম
নির্বাচনী বছর। আগামী ডিসেম্বরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। সে হিসেবে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে এবারের রমজান মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা এ মাসকে কেন্দ্র করে ইফতারকেন্দ্রিক রাজনীতিতে ব্যস্ত থাকবেন। সারাদেশে ইফতার মাহফিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে নেতা-কর্মীদের মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময়, এলাকার রাজনীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজ-খবর নেবেন কেন্দ্রীয় নেতারা। অর্থাৎ পুরো মাসকে তারা রাজনৈতিক কাজে লাগাবেন।
গত বছর এতিমদের সঙ্গে ইফতার করেন প্রধানমন্ত্রী।
দলটির শীর্ষ পর্যায়ের বেশ কয়েকজন নেতা এই তথ্য জানিয়েছেন। তারা বলছেন, রমজান মাসে ঘন ঘন এলাকায় যাবেন আওয়ামী লীগের অধিকাংশ মন্ত্রী, এমপি ও কেন্দ্রীয় নেতারা। ইফতার মাহফিলে তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। লক্ষ্য করবেন নেতাকর্মীদের গতিবিধিও। কোনো নেতাকর্মী কোনো গ্রুপের সঙ্গে জড়াচ্ছে কি না, ভোট পর্যন্ত তাকে ধরে রাখাসহ নানা পদক্ষেপ নেবেন তারা। কারণ রমজান মাস ও ঈদ চলে গেলে হাতে বেশি সময় থাকবে না। সে করণে দল গোছাতে ও নেতাকর্মীদের মধ্যে বন্ধন গড়ে তুলতে এ মাসই উত্তম বলে মনে করছে আওয়ামী লীগ।
পবিত্র রমজান মাসে দলের রাজনীতি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুর রহমান এমপি জাগো নিউজকে বলেন, প্রতি রমজানেই দলীয় নেতাকর্মীদের এক জাগায় নিয়ে আসা, শুভেচ্ছা বিনিময় ও দল গোছানোর জন্য ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে আওয়ামী লীগ। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। বরং এবারের আয়োজন আরও জোরালো হবে। কারণ আগামী ডিসেম্বরে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা তৃণমূল নেতাকর্মীদের কাছে টানতে ঘন ঘন এলাকায় যাবেন। নানা ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করবেন।
গত বছর ময়মনসিংহে আওয়ামী লীগের ইফতার মাহফিল।
আপনিও কি এলাকায় যাচ্ছেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি নিজেও যাব। স্থানীয়ভাবে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে শরিক হবো।
এ বিষয়ে জাগো নিউজের সঙ্গে কথা বলছিলেন দলটির আরেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। তিনি বলেন, ধর্ম নিয়ে আমরা রাজনীতি করি না। তবে পবিত্র রমজান মাসে ইফতার খাওয়া সুন্নত। তাই প্রথম রোজায় এতিমদের সঙ্গে ইফতার করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারপর রাজনীতিক, পেশাজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ইফতার করবেন। এটাকে আমরা রাজনীতি হিসেবে দেখি না। ধর্মীয় অনুষ্ঠান হিসেবে দেখি। আমরা নিজেরাও এলাকায় এবং ঢাকায় ইফতারের আয়োজন করি, এবারও করবো।
এফএইচএস/জেডএ/এমএস