মন্ত্রিপাড়ায়ও মশার রাজত্ব!

মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল
মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল , বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৭:৩৫ পিএম, ০৫ মার্চ ২০১৮
ছবি : মাহবুব আলম

মশার যন্ত্রণায় অস্থির নগরবাসী। অভিজাত এলাকা মন্ত্রিপাড়া খ্যাত মিন্টুরোড, বেইলি রোড, ধানমন্ডি, বনানীসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় যেন মশার রামরাজত্ব চলছে! ঋতু পরিবর্তনে দিনের বেলায় অতিরিক্ত গরম আর সন্ধ্যা না নামতেই ঝাঁকে ঝাঁকে মশা বাসাবাড়িতে ঢুকছে। মশার যন্ত্রণায় বহু পরিবারের রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। অতীতে এ সময়ে এমন মশার উৎপাত আর কখনও লক্ষ্য করেনি নগরবাসী।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বাস্থ্য অধিদফতরের উদ্যোগে গত ১১-২০ জানুয়ারি পর্যন্ত ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৯৩টি ওয়ার্ডের ১০০টি সাইটে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়াবাহী এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র বিষয়ে জরিপ পরিচালিত হয়।

জরিপকারীরা ১০০টি প্রতি ওয়ার্ড/সাইটের ২০টি করে হোল্ডিংয়ে (দেয়ালের ভেতরে ও ঘরের চারপাশে) মোট দুই হাজার হোল্ডিংয়ে জরিপ চালায়। জরিপে দেখা গেছে, মশার দাপট ডিসিসিতে দক্ষিণের চেয়ে উত্তরে মশার দাপট বেশি।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ (সিডিসি) পরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা জাগো নিউজকে জানান, ব্রুটো ইনডেক্সের মাধ্যমে মশার প্রকোপ নির্ধারণ করা হয়। জরিপকারীরা বাসাবাড়িতে পরিত্যক্ত অবস্থায় কৌটা, খালি টিন, টায়ার পড়ে আছে কি-না তা দেখার পাশাপাশি মশার লার্ভা সংগ্রহ করেন। ব্রুটো ইনডেক্স ২০ হলো স্বাভাবিক মাত্রা।

তিনি জানান, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১১টি এলাকা-বনানী, বসুন্ধরা, গাবতলী, মগবাজার, মালিবাগ (একাংশ), মিরপুর, মহাখালী, নাখালপাড়া, পূর্ব শ্যাওড়াপাড়া, টোলারবাগ ও উত্তরা-৯ নম্বর সেক্টর এবং দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৮টি এলাকা- মিন্টুরোড-বেইলি রোড, শান্তিনগর, ধানমন্ডি, এলিফ্যান্ট রোড, কলাবাগান, গুলবাগ, বাংলাবাজার ও মেরাদিয়ায় মশার ব্রুটো ইনডেক্সের স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি পাওয়া যায়।

তিনি আরও জানান, মশার প্রকোপ মারাত্মকভাবে বাড়ায় ১-৫ মার্চ পর্যন্ত দ্বিতীয় দফা জরিপ চালায়। কোনো কোনো এলাকায় এ জরিপ পরিচালিত হয়েছে জানতে চাইলে তিনি জানান, গত জানুয়ারিতে পরিচালিত জরিপে উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের যে ১৯টি এলাকা অধিক মশকপ্রবণ চিহ্নিত হয়েছিল, সেসব এলাকাতে ফের জরিপ চালানো হয়। জানুয়ারিতে শুধুমাত্র এডিসবাহী মশার নমুনা সংগ্রহ করা হলেও এ মাসের জরিপে তিন ধরনের মশার নমুনা-এডিস (ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, জিকাবাহী), কিউলেক্স (ফাইলেরিয়াবাহী) ও এনোফিলিসের (ম্যালেরিয়াবাহী) ওপর জরিপ পরিচালিত হয়। এ জরিপ প্রতিবেদন ২/১ দিনের মধ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করতে পারেন।

এমইউ/জেএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।