‘কারাবাসে অভ্যস্ত’ হয়ে উঠেছেন খালেদা জিয়া

মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল
মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল , বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ১০:৪৩ পিএম, ০৪ মার্চ ২০১৮

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে ২৪তম দিন অতিবাহিত করেছেন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে পাঠানো হয়।

পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা নেত্রীর খোঁজ-খবর নিতে প্রতিদিনই দলের নেতাকর্মীরা কারাগারের আশপাশে ভিড় জমাচ্ছেন। দলটির নেতাকর্মীদের মনে একটাই প্রশ্ন কেমন আছেন বেগম খালেদা জিয়া?

bnp-1এ ব্যাপারে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে রাজি নন কারা অধিদফতরের কর্মকর্তারা। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কারা অধিদফতরের এক কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, ‘কারাবাসে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন খালেদা জিয়া। শারীরিকভাবে সুস্থ রয়েছেন। ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দি হিসেবে তাকে যে খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে তা তিনি খাচ্ছেন। খাবার নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই।’

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়া সকালে নাস্তা খান না। তিনি দুপুর ও রাতের খাবার খান। জেলকোড অনুসারে অন্যান্য ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দির মতো তার প্রতিদিনের খাবারের মেনুতে আছে মাছ কিংবা মাংস, সবজি ও ডাল। খালেদা জিয়া বাসাবাড়িতে যেভাবে দিন কাটাতেন ঠিক সেভাবেই কারাগারের ভেতরে ডে কেয়ার সেন্টারে সময় কাটাচ্ছেন।’

bnp-3আদালতের নির্দেশে খালেদা জিয়ার সঙ্গে গৃহপরিচারিকা ফাতেমাও কারাগারে আছেন। তবে কোনো অপরাধ না করেও কেন তাকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কারাগারে থাকতে দেয়া হলো এ নিয়েও নানা বিতর্ক হয়েছে।

এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেল কোডের ৯৪৮ নম্বর ধারায় বলা রয়েছে- ‘যখন মহিলা ওয়ার্ডে শুধু একজন মহিলা বন্দি থাকেন এবং সেখানে যদি মহিলা কারারক্ষী না থাকেন সেক্ষেত্রে বন্দির সঙ্গে সাক্ষাৎ ও বসবাসের জন্য একজন বন্ধুকে থাকতে দিতে পারেন জেল সুপারিনটেনডেন্ট।’

bnp-2রোববার কারা সদর অধিদফতরের সামনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষক এবং নবাবগঞ্জ দোহার থেকে কয়েকজন বিএনপি নেতাকর্মী আসেন। নাসপাতি, আঙুর, আনার ও আপেল দিয়ে সাজানো একটি ফলের ঝুড়ি হাতে নিয়ে তাদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। তারা এগুলো বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্য আনেন।

সেখানে থাকা শামীম আরা নামে এক তরুণী বলেন, ‘ফলগুলো খেতে ভালোবাসেন তিনি কিন্তু এগুলো পাঠানোর অনুমতি দিচ্ছে না কারা কর্তৃপক্ষ।’ কিছুক্ষণ পর তাদের ফলের ঝুড়ি হাতে মোবাইলে ছবি তুলতে দেখা যায়।

এমইউ/জেডএ/এমএআর

 

জেল কোডের ৯৪৮ নম্বর ধারায় বলা রয়েছে- ‘যখন মহিলা ওয়ার্ডে শুধু একজন মহিলা বন্দি থাকেন এবং সেখানে যদি মহিলা কারারক্ষী না থাকেন সেক্ষেত্রে বন্দির সঙ্গে সাক্ষাৎ ও বসবাসের জন্য একজন বন্ধুকে থাকতে দিতে পারেন জেল সুপারিনটেনডেন্ট।’

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।