হাসপাতালের খাবার দেয়া হচ্ছে না মুক্তামণির বাবা-মাকে
রক্তনালির টিউমারে আক্রান্ত মুক্তামণির বাবা-মায়ের জন্য হাসপাতাল থেকে বরাদ্দকৃত খাবার (ডায়েট) বন্ধ হয়ে গেছে। গত ১১ জুলাই হাসপাতালে ভর্তির পর প্রায় সাড়ে তিনমাস মুক্তামণির বাবা-মাসহ তিনজনের জন্য হাসপাতাল থেকে বিনামূল্যে খাবার সরবরাহ করা হত। কিন্তু মাসখানেক ধরে শুধুমাত্র মুক্তামণিকেই খাবার দেয়া হচ্ছে। ফলে মুক্তামণির বাবা-মা ও ছোট দুই ভা্ইবোন প্রতিদিন হোটেল থেকে খাবার কিনে খাচ্ছে। নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
নাম প্রকাশ না করার সূত্রে মুক্তামণির পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ট একজন মিডিয়াকর্মী জাগো নিউজকে জানান, মিডিয়ার কল্যাণে মুক্তামণির নাম এখন মানুষের মুখে মুখে। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তামণির সার্বিক চিকিৎসাসেবার দায়িত্ব গ্রহণ নেয়ার পর হাসপাতালের সবাই মুক্তামণি ও তার পরিবারের প্রতি ভীষণ আন্তরিকতা দেখালেও অজ্ঞাত কারণে এখন বিরুপ আচরণ করছে!
বিশেষ করে হাসপাতালের খাবার সরবরাহ, ড্রেসিং ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারীরা নানা দুর্ব্যবহার করছেন বলে ওই মিডিয়াকর্মী জানতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী যেখানে মুক্তামণির দায়িত্ব নিয়েছেন সেখানে তার বাবা-মায়ের জন্য হাসপাতাল থেকে খাবার সরবরাহ বন্ধ করে দেয়াটা দুঃখজনক।
সূত্র জানায়, মুক্তামণির বাবা-মা অভিমান করে খাবার নেয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। অভিমানের কারণ অনুসন্ধানে জানা গেছে, শুরুর দিকে মুক্তামণি ও তার বাবা-মা এ তিনজনের খাবার দেয়া হলেও পরবর্তীতে মুক্তামণিসহ দু'জনের খাবার দেয়া হয়। মুক্তামণির সঙ্গে হাসপাতালের কেবিনে তার মা-বাবা, ছোট জমজ বোন ও দেড় বছরের ছোট ভাই রয়েছে। দুজনের খাবার দিয়ে এতোজনের ক্ষুধা মেটানো সম্ভব নয় বিধায় অভিমান করে অতিরিক্ত একটি খাবার নিতে অস্বীকৃতি জানান মুক্তামণির পরিবার।
জানা গেছে, মুক্তামণির চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্যসচিবসহ বিভিন্ন লোকজন আর্থিক সহায়তা দিয়েছিলেন। ওই টাকা খরচ করেই মাসখানেক ধরে হোটেল থেকে খাবার কিনে খাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মুক্তামণির বাবা ইব্রাহিম হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এমইউ/জেএইচ/এমএস